এটিএম বুথ থেকে প্রযুক্তি দক্ষ হ্যাকাররা অন্য কারো অ্যাকাউন্টের টাকা তুলে নিতে পারেন। এমন একজন বিশেষজ্ঞ চোরের চেয়ে এটিএম বুথের নিরাপত্তা ত্রুটির খোঁজ আর কে ভালো জানে? রোমানিয়ান হ্যাকার ভ্যালেনটিন বোয়ান্টা সম্প্রতি তাঁর এ প্রযুক্তি জ্ঞান এটিএম বুথের নিরাপত্তায় কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করেছেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ভ্যালেনটিন বোয়ান্টা এর আগে অপরাধ জগতের বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে এটিএম থেকে চুরি করা তথ্য আর ভুয়া ব্যাংক কার্ড তৈরির প্রযুক্তি সরবরাহ করতেন। ২০০৯ সালে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন বোয়ান্টা এবং বিচারে তাঁর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। কিন্তু জেলে বসে মাস পাঁচেকের মধ্যেই তিনি এমনই এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন যা এটিএমের তথ্য আর টাকা চুরি ঠেকাতে সক্ষম।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বোয়ান্টা জানিয়েছেন, পুলিশ আমাকে ধরে ফেলায় আমি খুশিই হয়েছি। এখন নিশ্চিন্তে বসে ভালো কাজ করতে পারছি আমি।
বোয়ান্টা আরও বলেন, আমি ‘স্কিমিং’ বা ক্রেডিট বা ডেবিক কার্ডের চুম্বকটিকে নকল করে হুবহু আরেকটি কপি বানিয়ে এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতাম, পাশাপাশি বিভিন্ন অপরাধজগতের লোকেদের কাছে এ প্রযুক্তি সরবরাহ করতাম।
এ ধরনের চুরি ঠেকানোর জন্য সিকিউর রিভলভিং সিস্টেম বা এসআরএস নামে একটি নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন বোয়ান্টা। এ পদ্ধতিতে কার্ডের ম্যাগনেটিক স্ট্রিপটির কোনো তথ্য অন্য কোনো ডিভাইসে ধরা পড়ে না।
রোমানিয়ার জেলখানার নিজ কুঠুরিতে বসেই বোয়ান্টা তাঁর এই নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। এরমধ্যেই বোয়ান্টার সঙ্গে এমবি টেলিকম নামের রোমানিয়ান একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানএ প্রযুক্তিটির জন্য চুক্তি এবং প্রযুক্তিটির পেটেন্টও করিয়েছে আর বোয়ান্টা জেল থেকে ছাড়া পেলে এমবি টেলিকমে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে বড় পদের নিশ্চিন্ত এক চাকরিও।
[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে জানতে “এখানে ক্লিক করুণ” তুলে ধরুন নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। ]]