• Sun. Dec ১, ২০২৪

আমিওপারি ডট কম

ইতালি,ইউরোপের ভিসা,ইম্মিগ্রেসন,স্টুডেন্ট ভিসা,ইউরোপে উচ্চ শিক্ষা

অক্টোবর থেকে ব্রিটিশ সিটিজেনশীপে নতুন নিয়ম!

Byadilzaman

May 17, 2013

ব্রিটিশ সিটিজেনশীপের জন্য যারা আবেদন করবেন তাদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে ইংলিশ টেস্ট পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে হবে। পাশাপাশি লাইফ ইন দ্যা ইউকে টেস্টেরও মুখোমুখি হতে হবে তাদের। আগামী অক্টোবর থেকেই নতুন এই নিয়ম কার্যকর হবে। বর্তমানে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, শুধুমাত্র লাইফ ইন দ্যা ইউকে টেস্ট দিয়েও ব্রিটিশ সিটিজেনশীপের জন্য আবেদন করা যায়। কিন্তু অক্টোবর থেকে লাইফ ইন দ্যা ইউকে টেস্টের পাশাপাশি ইংরেজি টেস্টেও কৃতকার্য হতে হবে সিটিজেনশীপ প্রত্যাশীদের। উল্লেখ্য যুক্তরাজ্যে প্রতি বছর ৮০ হাজারের বেশি সিটিজেনশীপের আবেদনকারী এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকেন। নতুন এই পরিবর্তন সম্পর্কে ইমিগ্রেশন মিনিস্টার মার্ক হারপার বলেছেন, নতুন এই পরিবর্তনটি আনা হয়েছে এই কারণেই যে, আমরা নিশ্চিত করতে চাই যারা ব্রিটেনের নাগরিক হবেন তারা যেনো ব্রিটিশ রীতিনীতি ভালোভাবে বুঝতে পারেন এবং ইংরেজিতে কথা বলায়ও তারা যেনো দক্ষ হন। এদিকে কিথ ভাজ এমপির কাছে লেখা এক চিঠিতে হোম সেক্রেটারি থেরেসা মে বলেন, এটি স্পষ্টতই ভুল সিদ্ধান্ত হবে যে যদি এমন একজনকে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব দেওয়া হয় যে ইংরেজিতে দুর্বল।

এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে পরিবর্তন এসেছে লাইফ ইন দ্যা ইউকে টেষ্টও। মার্চ মাস থেকে নতুন প্রকাশিত হ্যান্ডবুকের প্রশ্নের আলোকে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। নতুন গাইডলাইনের নামকরণ করা হয়েছে : লাইফ ইন দ্যা ইউনাইটেড কিংডম : এ গাইড ফর নিউ রেসিডেন্স। নতুন প্রশ্নপত্রে এখন ব্রিটেনের ইতিহাস আর ঐতিহ্যের বিষয়ে পরীক্ষার্থীদের সম্যক ধারণা অর্জনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় ব্রিটেনের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তিত্ব এবং ঘটনাপ্রবাহে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সংযুক্ত করা হয়েছে ব্রিটেনের বৈচিত্রময় ইতিহাস। এর আগে সিটিজেনশীপ আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে এ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক না থাকলেও ২০০৫ সালে ২০০৫ সালে লেবার পার্টির সরকার এই টেস্ট চালু করে। আর আগামী অক্টোবর থেকে সিটিজেনশীপের জন্য লাইফ ইন দ্যা ইউকে টেস্টের পাশাপাশি বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে ইংরেজি টেস্ট।

এদিকে ব্রিটেনের ভিসার জন্য বাংলাদেশ থেকে যারা আবেদন করবেন তাদেরকে এখন থেকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়া আরও উন্নত করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ, আগামী ১৯ মে থেকে পয়েন্টস বেইজড সিস্টেমের (পিবিএস) আওতায় আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনে করতে হবে। অন্যান্য আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনে করা যাবে ২ জুন থেকে। নির্ধারিত এ সময়ের পর হাতে পূরণ করা কোনো আবেদন নেওয়া হবে না। অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করার পর এর একটি প্রিন্ট কপি ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে ঢাকা অথবা সিলেটের ভিসা আবেদন কেন্দ্রে যেতে হবে। আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া আর ছবি তোলার প্রক্রিয়া আছে আগের মতোই। অনলাইনে আবেদন করায় আবেদনকারীকে ভিসা আবেদনকেন্দ্রে কম সময় কাটাতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় অনলাইন আবেদনপত্র পূরণে স্বজনরাও সহায়তা করতে পারবেন। যাদের ইন্টারনেট ও প্রিন্টারযুক্ত কম্পিউটার ব্যবহারের সুবিধা নেই তারা সামান্য ফির বিনিময়ে আগে থেকে যোগাযোগ করে যুক্তরাজ্যের ব্যবসা পার্টনার ভিএফএস গ্লোবালের আবেদনকেন্দ্রের কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবেন। একই সময় তারা আবেদনপত্র ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র জমা দিতে পারবেন। ভিসা আবেদনকেন্দ্রের প্রিমিয়াম লাউঞ্জ, ফার্স্ট ট্র্যাক এবং প্রাইম টাইম সেবা আগের মতোই থাকছে।

[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে জানতে “এখানে ক্লিক করুণ” তুলে ধরুন  নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। ]]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *