বর্তমানে ইতালির আর্থিক অবস্থা এতো পরিমান অবনতি হয়েছে যা আপনাদের বলে বুঝানো যাবে না। তবে এখানে আপনাদের সামান্য কিছু উধারহন দেই তাহলে কিছুটা হলেও বুঝতে পারবেন। ইতালিতে বিভিন্ন ব্যবসায়ী বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার আভাষ পাওয়া শুরু করে ২০০৬ থেকে। এবং তখন থেকে তাদের সকলের মনে একটি বিশ্বাস ছিল যে যাক এবছর ব্যবসা খারাপ গেলো, কিন্তু আগামী বছর থেকে মনে হয় ভালোর দিকে মোড় নিবে। এবং এই আশায় আশায় তারা বিগত দিন গুলোতে ইতালিতে ব্যবসা করে যা উপার্জন করেছিলো সেখান থেকে মানে নিজের পকেট থেকে ব্যবসায় লস গুনে আসছে। আবার পরের বছর গিয়ে হিসাব করে দেখা যায় এবারে গত বছরের চেয়েও খারাপ ব্যবসা হয়েছে, তার মানে এবছরেও নিজের পকেট থেকে জমানো টাকা দিয়ে কোনরকম ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হবে? মনে কিন্তু সেই একটাই আশা যে আগামী বছর মনে হয় সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু না এভাবে ২০০৬ থেকে শুরু করে বর্তমানে এর অবস্থা অনেক ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।অনেকে ইতিমধ্যে নিজের পকেট থেকে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে রাখতে শেষ পর্যন্ত শেষ সম্বল যা ছিল সব হারিয়ে বর্তমানে সর্বহারা। কারন ইতালির মতো একটি দেশে একটি দোকান ভাড়া দোকানের করমচারি সহ বিভিন্ন খরচ রয়েছে যা ২০০৬ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত নিজের পকেট থেকে দিয়ে টিকে থাকা চারটি খানে কথা নয়। কাজেই আমাদের দেখা অনেক বাংলাদেশী ব্যবসায়ী অনেক অগেই ব্যবসা বাণিজ্য ইত্যাদি সব হারিয়ে বর্তমানে সর্বহারা। আর যারা এখনো টিকে আছে তারা কোনরকম খরচ পাতি দিয়ে সমান সমান।এবং যারা এর মধ্যে ইতালিয়ান পাসপোর্ট পাচ্ছে তারা নিজ নিজ পরিবার নিয়ে ইতালি থেকে উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে স্থায়ী ভাবে পারি জমাচ্ছেন। যেমন এর মধ্যে ১ হাজারের বেশি ইতালিয়ান পাসপোর্ট ধারী পরিবার লন্ডনে চলে গিয়েছে এ নিয়ে আমিওপারিতে একটি লেখা রয়েছে চাইলে এখানে ক্লিক করে পরে নিতে পারেন। এরক লন্ডন সহ অন্যান্য দেশে তারা পারি জমাচ্ছেন।
এটা গেলো আমাদের বাংলাদেশী ব্যবসায়ী ও কর্মজীবী প্রবাসীদের কথা। এবার আসুন কিছু ইতালিয়ান দের কথা শুনি। আমাদের দেশের মানুষ খেটে খাওয়া মানুষ, আর টাই তারা ৮ ঘণ্টার যায়গায় প্রয়োজনে ১৪ ঘণ্টাও নিজের ব্যবসার পিছনে স্রম দেয়, এবং এর পরেও অনেকে নিজেদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পারেনি। আর ইতালিয়ান ওরা অনেক অলস প্রকৃতির, দিনে সর্বমোট ৮ ঘণ্টা কাজ করতেই ওদের বারোটা বেজে যায়। তবে এটাও মূল বিষয় নয়। প্রধান সমস্যা ঐ একোনমিক ক্রাইসিস। ঠিক আমাদের বাংলাদেশী দের মতোই ওরা একি ভরসায় প্রতি বছর নিজের পকেট থেকে লসের ভার বইতে বইতে শেষ পর্যন্ত কোমর ভেঙ্গে ফেলেছে। এবং সব মিলিয়ে এই পর্যন্ত ইতালিতে এ সংক্রান্ত সকল ঘটনা নিয়ে একটি জরীপ চালানো হয়েছে তার বিস্তারিত আমরা নীচে আপনাদের কাছে তুলে ধরছি তাহলে আর আপনাদের মনে কোন প্রশ্ন থাকবে না, ইতালির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ধারণা নিতে!!!
বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারনে ইতালিতে এই পর্যন্তঃ
- ৩৬০ হাজার কম্পানি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
- ৮ মিলিয়ন ইতালিয়ান গরিবের খাতায় নাম লিখিয়েছে।
- ৪ শত এরও বেশি ইতালিয়ান আত্মহত্যা করেছে।
- ১,৫ মিলিয়ন ইতালিয়ান বাসাবাড়ি ছাড়া রয়েছে।
- ২০০ হাজার বৃদ্ধ পেনশন থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
- ৩৫০ হাজার অসুস্থ ইতালির আজ টাকার জন্য চিকিৎসা পাচ্ছে না।
- ৪০ হাজার ইতালিয়ানের লোণের মাধ্যমে কেনা বাসা ব্যাংক জব্দ করেছে।
- ১০ মিলিয়ন ইতালিয়ান বর্তমানে কাজ ছাড়া বেকার রয়েছে।
তাহলে এবার নিজেকে নিজে ভালো করে প্রশ্ন করুন এবং ১০০০ বার ভেবে দেখুন এখনো আপনি ইতালিতে আসতে চান কিনা? তবে আমরা জানি এর পরেও আপনারা এখানে আসার জন্য এক পায়ে রাজি? কারন আমরা যাতে বাঙ্গালী এবং আমরা পরনির্ভরশীল! আত্মনির্ভরশীল না …… তাই?
যারা আপনাদের ফেসবুকে আমাদের সাইটের প্রতিটি লেখা পেতে চান তারা এখানে ক্লিক করে আমাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে গিয়ে লাইক দিয়ে রাখতে পারেন।তাহলে আমিওপারিতে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা আপনার ফেসবুক নিউজ ফিডে পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ।
How a illigal or student can be legal in uk by the European passport plz let me know …..