লোকমান হোসেন স্পেন থেকেঃবীরের জাতি হিসেবে আমরা বাংলাদেশীরা বিশ্ব দরবারে পরিচিত আর আমাদের এই অর্জনকে ধরে রাখতে না পারা সম্ভবত আমাদের জাতীয় সংস্কৃতিরই অন্যতম অংশ! সংবাদ মাধ্যম ঘাটালে বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনার উল্লেখযোগ্য অংশই গুম এবং হত্যাকে নিয়ে। এগুলো দেশের ঘটনা কিন্তু সভ্যতায় ঘেরা প্রবাসে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে তা আবার আমাদের বাংলাদেশীদের ঘিরে এটা সত্যিই সচেতন মহলকে ভাবায়। দেশের এ ধরনের ঘৃন্য অপকর্মগুলো এখন কেবলমাত্র বেড়ে উঠা স্পেনের নতুনবাংলাদেশী কমিউনিটিতে আঘাত হানা শুরু করেছে।
স্পেনের বার্সেলোনার শান্তাকলমায় বাংলাদেশীদের বৃহৎ একটি অংশের বসবাস আর এখানেই গুম অতঃপর হত্যা ভাইরাসের শিকার হন ৩৮ বছর বয়সী ৫ সন্তানের জননী প্রবাসী বাংলাদেশী নীলুফা আলী খাঁন। তিনি বিগত ২০০৩ সাল থেকে স্বামী ইউনোছ আলী খাঁন এবং সন্তানাদি নিয়ে বেশ সূখেই সংসারধর্ম পালন করে আসছিলেন কিন্তু হঠ্যাৎই শান্তি বিনষ্ট করে দিল গুম এবং হত্যা কাহিনী। শান্তাকলমার কাইয়্যে শান্ত আন্দ্রেজের পাঁচ নম্বরের বাসায় বসবাসের সময় প্রতিদিনেরন্যায় গত ৭ ফেব্রুয়ারী ‘১৪ বিকেল আনুমানিক ৫ ঘটিকায় বাচ্চাদের নিয়ে ইকেয়ার পার্শ্ববর্তী পার্কে বেড়াতে গিয়ে পিপাসা মিটাতে পানি কিনতে গিয়ে গুম হয়ে যান।
অবশেষে অনেক গুঞ্জনের অবসান ঘঠান স্প্যানিস পুলিশ লাশ উদ্ধারের মাধ্যমে। দির্ঘ্য প্রায় দুইমাস পর গত ২৬ এপ্রিল ‘১৪ বাসার নিকটবর্তী বাদালোনার মন্টিগালা পাহাড়ের চুড়া থেকে প্লাষ্টিক মূড়ানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে ৩০ এপ্রিল ডিএনএ টেষ্টের মাধ্যমে তাঁরা অফিশিয়ালি জানায় এটাই গুম হওয়া নীলুফা আলী খাঁন এর লাশ। পুলিশে রিপোর্ট করায় গুম হয়ার ৮ দিনের মাথায় তিন ব্যাডরোমের একই বাসায় পেইং গেষ্ট হিসেবে বসবাসকারী শহিদুর রহমান এবং আলি মিয়া হাওলাদার কে সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে নিলে একই দিনই শহিদুর রহমানকে ছেড়ে দিলেও মাদারীপুরের শীবচরের আলি মিয়া হাওলাদার কে আজবদি জেল হাজতের ঘানি টানতে হচ্ছে।
বিভিন্ন তথ্যের প্রেক্ষিতে নিহতের স্বামী ইউনোছ আলী খাঁনের শতভাগ বিশ্বাস ঐ আলি মিয়া হাওলাদারই তাঁর অর্ধাংগীর মৃত্যুর অন্যতম দোষী ব্যাক্তি। এখন মামলাটি পুলিশ তদন্ত করে আদালতের কাছে হস্তান্তর করায় নিহতের পরিবারকে আদালতের প্রক্রিত রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। উল্লেখ্য, নিহত নীলুফা আলী খাঁন পিতা আয়ুব আলী চট্টগ্রামের পাচলাইছ থানার পশ্চিম শোলশহর ইউনিয়নের মোহাম্মদনগরে উনার পিতার বাড়ি থেকে বৈবাহিক সূত্রে স্বামী ইউনোছ আলী খাঁন পিতা সুলেমান মোঃ দুদু এর সাথে মাদারীপুরের শীবচর থানার বাবলাতলা ইউনিয়নের আটনংচর গ্রামে সংসার শুরু করলেও পরবর্তীতে ২০০৮ সালে স্বামীর সাথে শান্তাকলমায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন।
নিহত নীলুফা আলী খাঁন ৫ সন্তান মধ্যে ১,রায়হান আলী খাঁন ১৭, রিতু আলী খাঁন ১৪,সেতু আলী খাঁন ১২,রশনী আলী খাঁন সাড়ে ৩ বছর,আমেনা আলী খাঁন দেড় বছর ।এদের ভিতর ২ জনের জন্ম স্পেনে হয়েছে ।
[[ আপনি জানেন কি? আমিওপারি ওয়েব সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে এই লেখায় ক্লিক করে জানুন এবং তুলে ধরুন। নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। আর আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে রয়েছে অনেক মজার মজার সব ভিডিও সহ আরো অনেক মজার মজার টিপস তাই এগুলো থেকেবঞ্চিত হতে না চাইলে এক্ষনি আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে লাইক দিয়ে আসুন এখানে ক্লিক করে। এবং আপনি এখন থেকে প্রবাস জীবনে আমাদের সাইটের মাধ্যমে আপনার যেকোনো বেক্তিগত জিনিসের ক্রয়/বিক্রয় সহ সকল ধরনের বিজ্ঞাপন ফ্রিতে দিতে পাড়বেন বিস্তারিতু জানতে এখানে ক্লিক করুণ। ]]