জাহাঙ্গীর আলম সিকদারঃপ্রবাসে বাংলাদেশীদের রাজনীতির কোন বৈধতা নেই কিন্ত পৃথিবীর আর কোন দেশের আছে কিনা তাও জানা নেই আমার।তাই নিজের পাশাপাশি দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে জানিনা কেন বিবেকের সাথে মাঝে মধ্যে যুদ্ধ আমার। ইতালির বোলজানো শহরে বসবাস করে নিজেকে গুছিয়ে নিতে না পারলেও মিশে আছি ধুলু বালির মত আমার প্রানের মাতৃভূমির মানুষের সাথে, এতেই আমার অনেক আনন্দ অনেক পাওয়া। কারো কাছে অপ্রিয় হতেই পারে তবু ও শান্তি।
তবে তিন ধরনের নেটওয়ার্ক আমাদের বিব্রত করে জরাজীর্ণতায় আঁকড়ে বসেছে। নিন্মে উদাহরন দিতে কৃপণতা করব না প্রবাসের কমিউনিটিতে।
(১) রাজা হবু চন্দ্রের গবু মন্ত্রী।
(২) পুতুল সরকার গঠন।
(৩) ভাইরাসজনিত আক্রমণাত্মক রাজনীতির স্বীকার।
দেশের দলীয় রাজনীতির ব্যানার তো আছেই তার পরেও প্রবাসে আঞ্চলিক ভিত্তিক সভা সমিতিও বাধা গ্রস্থ করছে কমিউনিটিকে অগ্রসর হওয়ার হাতিয়ার যা দেশের মান সম্মান। তবে উপরোক্ত তিন ধরনের রাজনীতি আমাদের কমিউনিটিকে কুক্রে খাচ্ছে।
(১) একটি বৈধ সরকার কে পরিবার ভুক্ত করার লোভ দেখিয়ে জনগন থেকে সরকার কে বিচ্ছিন্ন করা কমিউনিটি কতটাই লাভমান ?
(২) বিবেক সম্পন্ন এবং বুদ্ধিজীবীদের কমিউনিটির স্বার্থে পুতুল সরকার বসানো জাতির এক কলঙ্ক অদ্ধায় রচনা বৈ অন্য কিছু কি ?
(৩) কাউকে আঙ্গুল ফুলিয়ে কলা গাছ বানানো অথবা বাজারের বেচা কেনার মত অথবা বুদ্ধি থাকলে আহাম্মকও ম্যাজিস্ট্রেট হয় ভীরু ও সেনাপতি হয় অথবা কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করে নিজেকে বড় করার টেকনিক এ ধরনের চর্চা বেক্তিগত স্বার্থ লাভ ছাড়া কমিউনিটির কোন লাভ আছে কি ?
নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার অভিপ্রায় কমিউনিটির কত বড় ক্ষতি তা অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্কর লোকদের বোধগম্মে উপনীত হওয়ার কথা নয় ।তাই দিন, মাস, বছর, যুগ পেরিয়ে গেলেও কার কি ? এই সুত্র ধরেই এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের পরিক্রমা। অভিজ্ঞ লোকদের সম্মুখে না এনে জী হুজুর আচ্ছা হুজুরের সাংঘাতিক মাখামাখিতে আমরা পারদর্শী।
গত কিছু দিন হল এক লেখায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক ভদ্রলোক তার লেখায় লিখলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা শেখ হাসিনার কোন অবদান নেই । কত বড় হলুদ সাংবাদিক হলে এ ধরনের লেখা লিখতে পারে অথবা কোন দলের কট্টর পন্থি সমর্থক হলে অথবা গণ্ড ম্রুক্ষতার আছর কতটাই আঁকড়ে বসেছে তাকে জানিনা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্ব প্রথম জাতিসংঘে বাংলায় বক্তৃতা দিয়েছেন এবং আমলাতন্ত্রের কারনে দেরি হলেও শেখ হাসিনার আমলেই মন্ত্রনালয় থেকে তার নির্দেশে সকল নিয়ম উপেক্ষা করে রফিকুল আলমের দেয়া চিঠিতে সাড়া দিয়ে তরি ঘড়ি করে সকল নথি পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন ইউনেস্কোর প্যারিস সদর দপ্তরে। তা ছাড়া হতে পারে যে কোন সময়ের সরকার কিংবা সরকারের জনগন কেউ।কিন্ত আপত্তি কোথায় ?সেতো আমার দেশের ভাগ্য উদয়।সত্য কে ঢেকে মিথ্যের আশ্রয়ে জাতিকে আর কত কাল পিছিয়ে নিবেন এই অল্প বিদ্দ্যার হলুদ সাংবাদিক আর রাজনীতির ডিপ্লোম্যাসির বিজনিসম্যানরা ? জাতীয় স্বার্থে এগিয়ে আসার কামনাই করি ইতালির পাহার ঘেরা সপ্নের বোলজানো থেকে প্রবাসের সকল কমিউনিটিতে।