দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আবিষ্কৃত মেথঅ্যাম্ফিটামিন ও ক্যাফেইন এর মিশ্রণে প্রস্তুত বর্তমানের মরন নেশা ইয়াবা। বাংলাদেশে ইয়াবার প্রথম আগমন ১৯৯৭ সালে। তারপর ২০০০ সালে শুরু হয় যার বাণিজ্যিক আমদানি। আর এই মরন নেশা বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে সুদূর রোমে নিয়ে এসেছে আমাদেরই মত ইমিগ্র্যান্ট ধারী কিছু ঘৃণ্য অপরাধী। তবে কোন পথে বা কোন পন্থায় তারা ইয়াবা ইউরোপ এ প্রবেশ করাচ্ছে সে রহস্য এখনও আমাদের অজানা। তবে আতঙ্কের বিষয় এটা যে এর গ্রাহক হচ্ছে রোমে ইমিগ্র্যান্ট বাংলাদেশী মধ্যবয়সী তরুণরা। বাংলাদেশী ব্যাপক প্রচলিত এই নেশাটি ইউরোপ এর মত জায়গায় পেয়ে তারা যেমন দিশহারা তেমনি এ নেশা গ্রহনের প্রতি রয়েছে তাদের প্রবল আগ্রহ। তাই উচ্চমূল্যে ডিলাররা ইয়াবা সরবরাহ করছে সাধারন এজেন্টদের কাছে। আর এজেন্ট এর কাছ থেকে মোবাইলের মাধ্যমে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে গ্রাহকের হাতে। এজেন্টকে কল করে অর্ডার দিলেই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকের বাসায়। তরপিনাত্তারার একটি আলিমেন্তারি দোকান কেন্দ্রিক এই ব্যবসার মুল ঘাটি। কেউ কেউ আবার দোকানে এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আগে কিনে নিয়ে যাওয়া কোন পরিচিত বন্ধুর রেফারেন্স দিতে হয়। বাংলাদেশের মত এখানেও রয়েছে ইয়াবার ক্লাসিফিকেসন । আসল এক পিস ইয়াবা বিক্রি হয় সর্বনিম্ন ৯ ইউরো করে, আর কম দামী ইয়াবা বিক্রি হয় সর্বনিম্ন ৫ ইউরো। রোমে নিয়মিত ইয়াবা গ্রহন করছে এমন এক যুবকের সাথে কথা বলে জানা গেল, তার জানা মতে ইয়াবা আসলে যুদ্ধের সৈনিকদের জন্য বানানো মেডিসিন। তার মতে রেগুলার না খেলে এর কোন সমস্যা নেই। আর এক নিয়মিত সেবনকারী যুবক বললো, তার জানা মতে ইয়াবা কিডনির ক্ষতি করে , তাই সে বেশি করে পানি খায় যাতে কোন সমস্যা না হয়। তাদের ধারনা যাই ই হোকনা কেন ইয়াবা যে নিয়মিত সেবনকারীকে এক বসরের মধ্যে ধ্বংস করে দেয় এটা সুস্পষ্ট।কাজেই সময় থাকতে আমরা যদি এর বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়াই তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বলতে কিছুই থাকবে না। তাই আপনাদের সবার কাছে অনুরধ যে যেভাবে পারেন এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। কেননা কিছু সংখ্যক অসাধু ও ঘৃণ্য অপরাধীদের জন্য আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নষ্ট হতে দিতে পারিনা!! এদের প্রতি রুখে দারান এটি আপনার,আমার ও আমাদের সকলের কর্তব্য এবং আপনার সন্তানদের প্রতি যত্নবান হন ও তাদের এর খারাপদিক গুলো সম্পর্কে সচেতন করে তুলুন। নিচে এই মরন নেশার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ও কিভাবে এর মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আমাদের যুবসমাজ তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন তুলে ধরা হলোঃ
[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে এই লেখায় ক্লিক করে জানুন এবং তুলে ধরুন। নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। আর আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে রয়েছে অনেক মজার মজার সব ভিডিও সহ আরো অনেক মজার মজার টিপস তাই এগুলো থেকে বঞ্চিত হতে না চাইলে এক্ষনি আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে লাইক দিয়ে আসুন। এবং আপনি এখন থেকে প্রবাস জীবনে আমাদের সাইটের মাধ্যমে আপনার যেকোনো বেক্তিগত জিনিসের ক্রয়/বিক্রয় সহ সকল ধরনের বিজ্ঞাপন ফ্রিতে দিতে পাড়বেন। ]]