খুলনা মহনগরীতে ভাসমান যৌনকমীদের কারনে নানা ভাবে হয়রানি হচ্ছে পথচারীরা ও স্কুল কলেজগামী কিশোর ও যুবকেরা।
যৌনকর্মীদের খপ্পরে পড়ে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারন পেশার মানুষ সর্বশান্ত হচ্ছে। বর্তমানে মহানগরী খুলনার বাংলাদেশ ব্যাংক সংলগ্ন রাস্তায় এখন ভাসমান যৌন কর্মীদের দখলে।সন্ধ্যার পর রাস্তর দুই পাশে অবস্থান কারী ভাসমান যৌন কর্মীরা পথচারীদের নানা ভাবে হয়রানী করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্রে জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা শাখা সংলগ্ন রাস্থার দু পাশে সন্ধ্যা হলেই ভাসমান যৌন কর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
তারা রাস্তার দু পাশের ফুটপথ দখল করে দাড়িয়ে থাকে অথবা পায়চারী করতে থাকে। এবং পথচারীদের লক্ষ্য করে অশ্রীল অংগ ভঙ্গি করতে থাকে। অনেক সময় যৌন কর্মীরা পথচারীদের থামিয়ে তাদের দেহ বিক্রির মত ঘৃন তম কথা বলে।পথচারীরা তাদের নেওয়ার জন্য বাসা নেই এই অজুহাত দেখিয়ে চলে আসতে চাইলে যৌনকর্মীরা তাদের নিজেদের বাসা বা বিভিন্ন ভাড়া বাসায় যাওয়ার জন্য প্রস্তাব করে। খরদ্দির রাজি হলে যৌনকর্মীরা তাদের সঙ্গে চুক্তি করে নেয়। চুক্তি অনুযায়ী যৌনকর্মীরা খরিদ্দাদের রিক্সায় উঠতে বলে।রিক্সয় উঠানোর পর যৌনকর্মীরা খরিদ্দার বাসায় না নিয়ে বিভিন্ন ঝুঁকি পূর্ন বা তাদের সুবিধা মত জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর তারা খরিদ্দারচের চুক্তি বা শর্ত পূরব না করে তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা মোবাইল ফোন সহ যাবতীয় জিনিস পত্র ছিনিয়ে নেয়।
খরিদ্দার টাকা, জিনিসপত্র দিতে না চাইলে জনগনরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের আগে থেকে বলে রাখা সহযোগী পুরুষ বা পুলিশ ডেকে নিয়ে আসে। বিধায় খরিদ্দার নিরুপায় হয়ে দিতে বাধ্য হয়। এভাবে তারা প্রতিনিয়ত পথচারীদের প্রতারনামুলক হয়রানী করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এছাড়া বাসা বাড়ী ভাড়া করে যৌনকর্মীরা পথচারী ও ব্যবসায়ীদের ভুলিয়ে ভালিয়ে বাসাতে নিয়ে নানা ভাবে হয়রানী করে। এ সব যৌন কর্মীদের সাথে কিছু হলুদ সাংবাদিক ও পুলিশের সখ্যতা থাকায় তাদের দিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়।
এদিকে প্রতিদিন যৌনকর্মীরা ফুটপাতে দাড়িয়ে পথচারীদের লক্ষ্য করে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গী করায় অনেক ভদ্র লোক ঐ রাস্তা দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভুক্তভোগী জানান গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সে ঐ রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল।বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে আসলে ওখানে অবস্থানরত যৌনকর্মীরা তাকে ডাক দেয়। ডাক দিলে সে তার কাছে যায় এবং যাওয়ার পর তাকে পটিয়ে ফরেষ্ট ঘাট এলাকায় খুলনা জিলা পুলিশ স্কুলে দায়িত্বরত দায়োনের বাসায় যেতে বলে। প্রস্তাবে সে রাজি হলে রিক্সায় করে ঐ স্কুলের সামনে যেয়ে বলে নামো ভাই (দারোয়ান) স্কুল থেকে বেরোচ্ছে।নামার পর তার কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল সেট দিতে বলে। দিতে আপত্তি জানালে তার আগে থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বলে রাখা সহযোগী পুরুষ লোক ডেকে নিয়ে আসে। পরে তার কাছ থেকে জোর পূর্বক নগদ টাকা সহ মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
এ সব যৌন কর্মী খুলনা বিভাগের বিভিন্ন যাইগা থেকে এসে খুলনায় ভীড় করে। এ সব যৌন কর্মীদের নিদিষ্ঠ দালাল রয়েছে। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে নিজেদের পরিচয় ব্যবসায়ী ও অর্থবৃত্ত শালীদের সাথে সম্পর্ক করে ভালভাবে খোজখবর নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ঐসব লোকের কাছে যৌনকর্মীদের পাঠায়।কৌশালে এসব ব্যবসায়ী ও অর্থবৃত্ত শালীদের বেকায়দায় ফেলে তাদের কাছে থাকা সর্বস্ব হাতিয়ে নেয়। অনেক সময় যৌনকর্মীরা অসৎ পুলিশের সহযোগীতায় এ ধরনের কাজ করে বলেও অভিযোগ রয়েছে।এসব যৌন কর্মীরা নিজেদের বোরকা দ্বারা এমন ভাবে মানুষের কাছে নিজেকে উপস্থাপন করে যে কেউ দেখে এদের খারাপ ভাবার কোন উপায় নেই ফলে এরা অতি সহজে যেকোন যাইগায় যেয়ে যে কোন পুরুষকে অতি সহজে নাজেহাল করতে পারে। তাই এ সমস্ত ঝামেলা থেকে বাঁচতে আপনাকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। নিজে বাঁচুন ও অন্যকে জানিয়ে তাদের এই খপ্পর থেকে বাঁচতে সাহায্য করুন।
[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে জানতে “এখানে ক্লিক করুণ” তুলে ধরুন নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। ]]