লেখাপড়া করেন? সঙ্গে সংসারও সামলাতে হয়? স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে বলে দিশেহারা? জার্মানিতে যাঁরা লেখাপড়া করছেন তাঁদের কিন্তু এতটা অসহায়ত্ব পেয়ে বসে না৷ টাকা দিয়েও সহায়তা করা হয় তাঁদের৷
কারলা কেলারের লেখাপড়াই বন্ধ হতে বসেছিল৷ জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ বছর বয়সি এই ছাত্রী ভেবেই পাচ্ছিলেন না দুটি সন্তান লালন-পালনের পাশাপাশি কী করে লেখাপড়াও চালাবেন৷ এক পর্যায়ে মানসিকভাবে এতটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন যে মনস্তাত্ত্বিকের শরণাপন্ন হতে হয় তাঁকে৷ মানসিক বিপর্যস্ততা দূর হয়েছে৷ এখন দিব্যি সামলাচ্ছেন বাবার স্নেহবঞ্চিত দুটি শিশু সন্তানকে, সঙ্গে পড়ালেখাও চলছে স্বাভাবিক গতিতে৷ কারণ একটাই –সংসার এবং লেখাপড়ার খরচ সামলানোর যে চাপ তা অনেকটাই হালকা করে দিয়েছে জার্মান সরকার৷
জার্মানিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করা হয়৷ এ কারণে বিশেষ নজর রাখা হয় ছাত্র বাবা বা ছাত্রী মায়ের দিকেও৷ একক মা বা বাবাকে সন্তান লালন-পালনের জন্য দেয়া হয় বিশেষ আর্থিক সহায়তা৷ প্রতিটি সন্তানের জন্য দেয়া হয় ১৮৪ ইউরো করে৷ স্বল্প আয়ের পরিবার থেকে উঠে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে রয়েছে আরেকটি পরিষেবা৷ খুব সহজ শর্তে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৬৭০ ইউরো পর্যন্ত ঋণ দেয়া হয় তাঁদের৷
জার্মানিতে লেখাপড়া করতে করতেই সন্তানের জনক বা জননী হয়ে যাওয়া শিক্ষার্থী আছে অনেক৷ ২০১০ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী দেশের মোট শিক্ষার্থীর শতকরা ৫ ভাগই বাবা কিংবা মা৷ তাঁদের মধ্যে যাঁদের স্বামী, স্ত্রী বা পার্টনার নেই তাঁরা কেমন করে সংসার আর লেখাপড়া একই সঙ্গে করে যাচ্ছেন ঠিকভাবে? আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা যদি না থাকত তাহলে যে কারলা কেলারের মতো অনেকেরই চরম দুর্দশায় পড়তে হতো এবং অবস্থার উন্নতি হওয়ার আগে সন্তান বা লেখাপড়ার যে অনেক ক্ষতি হয়ে যেত, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷
[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে জানতে “এখানে ক্লিক করুণ” তুলে ধরুন নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। ]]