মাঈনুল ইসলাম নাসিম : ল্যাটিন আমেরিকা জুড়ে দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে বাংলাদেশি পন্যের বাজার। প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে পাহাড়িয়া রাষ্ট্র পেরুও ব্যতিক্রম নয় এক্ষেত্রে। ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ বেশ আগেই স্থান করেছে দেশটিতে। বাংলাদেশে তৈরী গার্মেন্টস সামগ্রী (আরএমজি) ও জুতো অনেক আগ থেকেই আসছে পেরুর বাজারে।
এর পাশাপাশি বাংলাদেশের এক সময়ের ‘সোনালী আঁশ’ পাট ও পাটজাত পন্যের ব্যাপক বাজার সৃষ্টি করা এখানে সম্ভব বলে মনে করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আবদুল মোমেন। গত ৫ বছর ধরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি ল্যাটিন আমেরিকার দুই দেশ চিলি ও পেরুর দায়িত্বেও আছেন এই হাই প্রোফাইল শিক্ষাবিদ ও কূটনীতিক।
এই প্রতিবেদকের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় রাষ্ট্রদূত ড. মোমেন বলেন, প্রতি বছর প্রায় ৪ থেকে ৫ মিলিয়ন ইউএস ডলারের আরএমজি এবং কয়েক লাখ ডলারের জুতো পেরুতে রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। ড. মোমেন আরো বলেন, পেরুতে কৃষিপন্যের ব্যাপক প্রোডাকশন এবং এর বাজারজাতকরণ নিশ্চিত করতে তাদের বিপুল পরিমাণ চটের ব্যাগের প্রয়োজন হয়, যা তারা নিয়মিত আমদানি করে আসছে ভারত থেকে।
বাংলাদেশ চাইলে খুব সহজেই পাটজাত পন্যের বিশাল এই বাজারটি ধরতে পারে বলে মনে করেন পেরুর দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রদূত ড. মোমেন। দেশটির আইটি সেক্টরেও বাংলাদেশের সম্ভাবনা উজ্জল বলে জানান তিনি। ল্যাটিন আমেরিকায় আমদানি-রপ্তানি বানিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অভিজ্ঞ মহল থেকেও বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ সরকারের ‘এক্সপোর্ট বাস্কেট এক্সপানশন এন্ড ডাইভার্সিফিকেশন’ পলিসিকে সফল করতে পেরুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বাজারটি দ্রুত ধরার এখনি সময়।