বাংলাদেশের চিহ্নিত কিছু ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও গোষ্ঠী গুগল-ফেসবুকসহ বিদেশি ওয়েব সাইটে অবৈধভাবে বিজ্ঞাপন প্রচারের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে অবৈধভাবে পাচার করছে বলে অভিযোগ করেছেন আইসিটি মুভমেন্টের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক জুলীয়াস চৌধুরী।
তিনি আমিওপারি.কমকে জানিয়েছেন, ফেসবুক মোবাইল নোটিফিকেশনের মাধ্যমে টেলিকম অপারেটরদের মাধ্যমে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এসব পাচারকারীরাই ফরেক্স ও ফরেন এমএলএম ব্যবসার নাম করে অসংখ্য নাগরিকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা দালালদের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়ে বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশে শতাধিক অবৈধ অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে বিদেশে অর্থ পাচার করছে। ডিজিটাল সরকারের সংশ্লিষ্ট কিছু অসাধু ব্যক্তির মদদে নুতুন করে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ডিজিটাল অর্থ পাচারকারী চক্র। তারা আইসিটি খাতে এক চক্র অন্য চক্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলকভাবে এক চক্র অন্য চক্রের চেয়ে বেশি অর্থ পাচার করছে। অবিলম্বে অর্থ পাচার বন্ধ, পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনা এবং অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত চেয়েছে আইসিটি মুভমেন্ট। জুলীয়াস চৌধুরী জানিয়েছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়, ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক, অ্যাটর্নি জেনারেল, দুর্নীতি দমন কমিশনে বিষয়টি জানানো হলেও তারা কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে তাঁর কার্যালয়ে ই-মেইল পাঠানো হয়েছে। ইন্টারনেটের ম্যাধ্যমে ব্যবসার প্রচার-প্রসার তথা বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য বাংলাদেশে যথেষ্ট অবকাঠমো রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের অনলাইন গণমাধ্যম ও ওয়েব সাইটগুলোতে বিজ্ঞাপন না দিয়ে মাত্রাতিরিক্ত এবং অন্যান্য খাতের অর্থ পাচরের জন্যই পাচারকারী চক্র এই পথ বেছে নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই খাতে গুগল বাংলাদেশে ঘুষ দেওয়া শুরু করেছে। আইসিটি মুভমেন্ট ইতিমধ্যে পাচারকারীদের একটি তালিকা তৈরী করেছে। এই তালিকা প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
বার্তা প্রেরক
জুলীয়াস চৌধুরী
Julius Choudhury, Coordinator, ICT Movement.