জাহাঙ্গীর আলম শিকদার:পারিবারিক ভাবে বৈশাখী আনন্দ হয়ে গেলো ইতালির বোলজানো প্রদেশে বোলজানোর ডনবসকো পার্কে ।বৈশাখের আনন্দ হয়েছিল । ছিল প্রবল ঘূর্ণায়ণ বাতাস । তাই হলনা গানে গানে আনন্দও। কথা ছিল পান্তাভাত আর ইলিশ মাছ খাওয়ার আয়োজন ।যদিও ছিল না বট বৃক্ষ ছিল না পান্তা ভাত ,ইলিশ ছিল একটু পান্তা ভাতের অপেক্ষায়।তাই গরম ভাত দিয়ে হলেও থেমে থাকেনি, ভুলেনি বাংলাদেশের সমাজ , সংস্কার, বাংলার ঐতিহ্য আর পহেলা বৈশাখ । সম্রাট আকবরের আমলে জমির খাজনা উঠানোর সেই গ্রাম বাংলার ইতিহাস। ইতিহাস বিকৃতকারীদের মতো যারা ভাল দেখতে চায় পহেলা বৈশাখ পালনকারীদের যারা বিবি তালাকের কুসংস্কার হিসেবে ধরে নিয়েছিলো, ধরে নিয়েছিলো হিন্দু প্রথা হিসাবে, অথবা গরীবদের খাবার এই পান্তা ইলিশ যারা মনে করেছিল । কিন্তু দমে রাখতে পারেনি আজও সৃতি হিসাবে রয়ে গেল অদম্য গ্রাম থেকে ঊঠে আসা উজ্জ্বল খলিফার মতো হাজারও উজ্জ্বল খলিফারা । মায়ার টানে বড় লোকরাও রাস্তায় নেমে আসতো পান্তা ভাত আর ইলিশ মাছ খেতে সাথে হরেক রকমের ভর্ত।
প্রবাসের এই ডন বসকো পার্ক ছিল ভরা আনন্দ, কেননা এটা সেদিনের সেই রমনার বট মূল নয় জঙ্গিবাদের হামলার ভয়ও নেই । তবু ও বাঙ্গালীর বর্ষ বরনের এই সংস্কৃতিকে লালন করে আসার কৃতজ্ঞতা ও হামলার নিন্দা ও বিচারের রায়ের অপেক্ষয় প্রবাসে ইতালির বোলজানো থেকে। যদি তোর ডাক শুনে কেঊ না আসে তবে একলা চলরে রবি ঠাকুরের এই অমুঘ বানী যেন চির সত্য ।সম্প্রীতির এই সুর গড়ে উঠা ১৪২০ কে ভুলে ১৪২১ কে বরন করতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিল প্রানবন্ত বাঙ্গালী সমাজ । নব বর্ষের এই পহেলা বৈশাখে নানা রঙের শাড়ি পরে বরন করল প্রবাসের বোলজানো প্রভিঞ্চের রমণীরা । শিশু , কিশোর অনেকেই খেলাধুলায় ছিল আনন্দে মাতোয়ারা । সৌহার্দ পূর্ণ ভাব ছিল কিছুটা সময় হলেও দূর দুরান্ত থেকে আসা লোকদের । অতিতের ফেলে আসা সৃতিকে এক দীর্ঘ নিঃশ্বাসে জনাব সিরাজ সিকদার তার ভাষায় বলেন , পহেলা বৈশাখে সবাই একত্রে বসে খেতে পেরে নিজেকে মনে হচ্ছে যেন মাতৃ স্থানেই আছি তাই পুরনো দিনের ভেদাভেদ ভুলে যাওয়ার আলিঙ্গনে যাত্রা শুভ হউক ১৪২১ বাংলা সাল । নতুন দিনের নতুন আয়োজনে সবাই ডন বসকো পার্ক পেলাম যেন পারিবারিক ছোট এক বাংলাদেশ।