মাঈনুল ইসলাম নাসিম : টোকিওর প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্রে বাংলাদেশী মুদ্রায় ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত বাংলাদেশ দূতাবাসের নিজস্ব ভবন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী মাসের শেষ সপ্তাহে জাপান সফরে এলে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে এটিও নির্ধারিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসে দায়িত্বরত রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। প্রসঙ্গত, জাপানী প্রধানমন্ত্রী শিনজো আ্যাবের আমন্ত্রণে জি-৭ দেশসমূহের আউটরিচ মিটিংয়ে যোগ দিতে টোকিও আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। জি-৭ দেশগুলোর এই শীর্ষ সম্মেলন ২৬ ও ২৭ মে অনুষ্ঠিত হবে এখানে।
২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা জানান, “আমরা ইতিমধ্যে যদিও নিজস্ব ভবনে মুভ করেছি, কিন্তু অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমনের এবং আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এখানটায় দূতাবাসের সদ্যনির্মিত ভবনের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন করবেন। বাংলাদেশের জন্য ‘সিম্বল অব প্রাইড’ নতুন এই অনিন্দসুন্দর ভবন”। টোকিও সিটি সেন্টারে অবস্থিত পার্লামেন্ট ভবন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পায়ে হেঁটে পৌঁছে যাবার দূরত্বে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়ণে নির্মিত নতুন ভবনটি সূর্যোদয়ের দেশে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশীদের জন্য গৌরবের বিষয় এবং ‘মর্যাদার প্রতীক’ বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, “বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক আগের চাইতে এখন অনেক বেশি ভাইব্রান্ট। এখানে আমাদের ট্রেড এবং বাংলাদেশে জাপানীজ ইনভেস্টমেন্ট বাড়ছে, আরো বাড়বে। বাংলাদেশের উন্নয়নে এদের সহযোগিতার কমিটমেন্ট অব্যাহত থাকবে”। উল্লেখ করা যেতে পারে, ১শ’ ১১ কোটি ইয়েন (প্রায় ১ কোটি ডলার) দামে জাপানীজ অর্থ মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন ৭১৪ বর্গমিটার সমতল ভূমি সুদবিহীন কিস্তিতে ৫ বছরের মেয়াদে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক কেনার পর সেখানে সাড়ে ৫ বছর আগে ২০১০ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতেই স্থাপিত হয়েছিল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর। ২০১২ সালে নির্মানকাজ শেষ হবার কথা থাকলেও জাপান ও বাংলাদেশ উভয় দেশের আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় লাল-সবুজ পতাকা উড়তে বিলম্বিত হল চার চারটি বছর।