• Sun. Nov ২৪, ২০২৪

আমিওপারি ডট কম

ইতালি,ইউরোপের ভিসা,ইম্মিগ্রেসন,স্টুডেন্ট ভিসা,ইউরোপে উচ্চ শিক্ষা

মাইগ্রেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামের চেয়ারম্যান হচ্ছে বাংলাদেশ : রাষ্ট্রদূত শামীম

ByLesar

Apr 13, 2015

মাঈনুল ইসলাম নাসিম : অভিবাসন ও উন্নয়নকে বিশ্বব্যাপী একই সুতোয় গেঁথে দিতে কাজ করে যাওয়া আন্তর্জাতিক ফোরাম Global Forum on Migration and Development (GFMD)-এর ২০১৫-২০১৬ মেয়াদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আসছে ১২-১৬ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিতব্য ৮ম জিএফএমডি সামিট মিটিংয়ে রচিত হবে বাংলাদেশের জন্য বিশেষ দায়িত্বপূর্ণ অত্যন্ত গৌরবজনক এই অধ্যায়, এমনটাই জানিয়েছেন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশ মিশনে দায়িত্বরত রাষ্ট্রদূত এম শামীম আহসান।

এই প্রতিবেদকের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় জেনেভায় অবস্থিত জাতিসংঘের বিভিন্ন দফতর এবং আন্তর্জাতিক সকল সংস্থায় বাংলাদেশ সক্রিয় ও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত এম শামীম আহসান। জেনেভা ভিত্তিক ‘গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট’ সংক্ষেপে জিএফএমডি-এর যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৭ সালে বেলজিয়াম সামিটের মধ্য দিয়ে। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের এটি একটি আন্তঃসরকার কাঠামো হলেও শুরু থেকেই এর সাথে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন সারা বিশ্বের স্বেচ্ছাসেবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

২০০৮ সালে ফিলিপাইনে দ্বিতীয়, ২০০৯ সালে গ্রীসে তৃতীয়, ২০১০ সালে মেক্সিকোতে চতুর্থ, ২০১১ সালে সুইজারল্যান্ডে পঞ্চম এবং ২০১২ সালে মরিশাসে ষষ্ঠ GFMD Summit অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ অর্থাৎ সপ্তম সামিটের আয়োজক দেশ ছিল সুইডেন। ২০১৪ সালের মে মাসে স্টকহল্ম সামিট মিটিংয়ে ২০১৪-২০১৫-এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় তুরষ্ক, যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আসছে ডিসেম্বরে। রাষ্ট্রদূত এম শামীম আহসান বলেন, “গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট-এর স্টিয়ারিং গ্রুপ মেম্বার কান্ট্রি হিসেবে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা ইতিমধ্যে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। মাইগ্রেশনের সুবাদে বিশ্বময় যে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যাচ্ছে তার স্বপক্ষে একটি শক্তি হিসেবে বাংলাদেশের শক্ত অবস্থান আজ”। সঙ্গতকারণে আসন্ন ইস্তাম্বুল সামিট বাংলাদেশকে ঠিক সেভাবেই মূল্যায়ন করতে যাচ্ছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।

প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, অক্টোবরের ইস্তাম্বুল সামিটে চেয়ারম্যানশিপের দায়িত্ব বাংলাদেশের ওপর এলে Chair-in-Office হিসেবে প্রথা মোতাবেক পরবর্তী সামিট ২০১৬ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে এবং তার আগে ইস্তাম্বুল সামিটের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সংক্রান্ত এবং ঢাকা সামিটের প্রস্তুতিমূলক সভাসমূহ আয়োজনের গুরুদায়িত্ব বর্তাবে বাংলাদেশের ওপরই। Preparatory process and the implementation of each Forum সংক্রান্ত নিয়মিত এই বৈঠকগুলো অবশ্য যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে ফোরামের জেনেভাস্থ সদর দফতরে বাংলাদেশের তত্বাবধানে। সব মিলিয়ে বিশ্বব্যাপী অভিবাসন ও উন্নয়নের অন্যতম সহায়ক শক্তি বাংলাদেশের জন্য ২০১৫ ও ২০১৬ দু’টি বছর এভাবেই হয়ে উঠছে অতীব তাৎপর্যমন্ডিত।

Lesar

আমিওপারি নিয়ে আপনাদের সেবায় নিয়োজিত একজন সাধারণ মানুষ। যদি কোন বিশেষ প্রয়োজন হয় তাহলে আমাকে ফেসবুকে পাবেন এই লিঙ্কে https://www.facebook.com/lesar.hm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *