• u. Nov ২১, ২০২৪

আমিওপারি ডট কম

ইতালি,ইউরোপের ভিসা,ইম্মিগ্রেসন,স্টুডেন্ট ভিসা,ইউরোপে উচ্চ শিক্ষা

কানাডার অভিবাসন ভিসার জন্য আপনি কি আবেদন করতে পারবেন? জেনে নিন আপনার পয়েন্ট ও বিস্তারিত তথ্য

ByLesar

May 12, 2014

উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডায় অভিবাসনের নতুন সুযোগ দিচ্ছে দেশটির সরকার। ফেডারেল স্কিলড ওয়ার্কার নামক এই কার্যক্রমের আওতায় ৫০ ক্যাটাগরিতে ভিসা দেবে দেশটি। চলতি মাসের শুরু থেকেই এই কর্মসূচীর অধীনে আবেদন জমা নেওয়া শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রম প্রায় ১ বছর পর্যন্ত চলবে। সারা পৃথিবী থেকে ২৫ হাজার প্রার্থী কানাডায় পাড়ি জমানোর সুযোগ পাবেন।আবেদনকারীর যোগ্যতা প্রমাণে কিছু শর্ত দিয়েছে দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। সবগুলো শর্ত পরিপালনের ক্ষেত্রে নাম্বার ধরা হয়েছে ১০০ পয়েন্ট। একজন আবেদনকারীর ন্যূনতম ৬৭ পয়েন্ট থাকতে হবে। অর্থসূচকের এ রিপোর্ট থেকে আপনি মিলিয়ে নিতে পারেন আপনার যোগ্যতা আর প্রাপ্য পয়েন্ট।

যে কেউ চাইলেই স্কিলড ওয়ার্কার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। তার জন্য অবশ্যই তাকে প্রয়োজনীয় যোগ্যতার শর্তগুলো পূরণ করতে হবে।

  • পাঠকদের সুবিধার্থে অর্থসূচকের পক্ষ থেকে এই অবশ্য পূরণীয় শর্তগুলো নিম্নে উপস্থাপন করা হল : –
  • প্রার্থীর অবশ্যই সংশ্লিষ্ট পেশায় এক বছরের পূর্ণকালীন কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তবে ১০ বছরের আগের অভিজ্ঞতা অযোগ্যতা বলে পরিগণিত হবে।
  • এই অভিজ্ঞতা অবশ্যই কানাডার জাতীয় পেশাগত শ্রেনীবিভাজনের আওতাধীন হতে হবে।
  • প্রার্থীকে অবশ্যই ইংরেজী অথবা ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষ হতে হবে। এক্ষেত্রে ভাষার দক্ষতা প্রমাণের জন্য আইইএলটিএসের মতো আন্তর্জাতিক পরীক্ষার ফলাফল প্রমাণ হিসাবে দাখিল করা যাবে।
  • প্রার্থীর অবশ্যই ছয়টি সিলেকশন ফ্যাক্টরের ১০০ পয়েন্টের মধ্যে অবশ্যই ৬৭ থাকতে হবে। (এই বিষয়ে নিম্নে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে)।
  • প্রার্থীর কানাডায় নিজের জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করার সক্ষমতা থাকতে হবে।
  • প্রার্থীকে শারীরিকভাবে সুস্থ হতে হবে। কোনো ধরনের অপরাধমূলক ও রাষ্ট্রবিরোধী কাজে সম্পৃক্ততা অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে।

 

সিলেকশন ফ্যাক্টর –
শিক্ষাগত যোগ্যতা, ভাষার দক্ষতা, কাজের অভিজ্ঞতা, বয়স, কানাডায় চাকরি প্রস্তাব এবং অভিযোজ্যতা এই ছয়টি বিষয়কে সিলেকশন ফ্যাক্টর হিসেবে গণ্য করে কানাডা। এই ছয়টি ফ্যাক্টর অধীনের মোট ১০০ পয়েন্টের প্রেক্ষিতে প্রার্থীর যোগ্যতা বিচার করা হয়। এক্ষেত্রে ৬৭ নাম্বার পাওয়া যোগ্যতার প্রাথমিক শর্ত। বলতে গেলে এই সিলেকশন ফ্যাক্টরই কানাডায় আবেদনের প্রধান বিবেচ্য।

শিক্ষা-
শিক্ষার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫ পয়েন্ট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে ডক্টরেটের জন্য ২৫, স্নাতকোত্তরের জন্য ২৩ ও অন্যান্য যোগ্যতার জন্য ক্রমানুসারে পয়েন্ট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। শিক্ষার ক্ষেত্রে কোন সর্বনিম্ন সীমা নেই, তবে কোনো কোনো পেশার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক থাকা বাধ্যতামূলক।

ভাষা-
ইংরেজী ও ফ্রেঞ্চ কানাডার দাপ্তরিক ভাষা। প্রার্থীকে এই দুই ভাষার যে কোন একটিতে বলা, পড়া, লেখা ও শোনার ক্ষেত্রে দক্ষ হতে হবে। ভাষার জন্য সিলেকশন কোটায় মোট ২৪ পয়েন্ট বরাদ্দ রয়েছে। প্রার্থীকে অবশ্যই এর মধ্যে ১৬ পয়েন্ট পেতে হবে।

কাজের অভিজ্ঞতা-
কাজের অভিজ্ঞতার জন্য সর্বোচ্চ ১৫ পয়েন্ট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৯ পয়েন্ট থাকা বাধ্যতামূলক বা কমপক্ষে ১ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বয়স –
বয়সের জন্য মোট ১২ পয়েন্ট বরাদ্দ রেখেছে কানাডা। ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সের জন্য ১২ পয়েন্ট এবং এর অধিক বয়সের ক্ষেত্রে প্রতি বছরের জন্য ১ পয়েন্ট করে বাদ দেওয়া হবে। বয়স ৪৭ এর বেশি হলে কোন পয়েন্ট প্রদান করা হবে না। তবে বয়সের ক্ষেত্রে পয়েন্ট পাওয়া বাধ্যতামূলক নয়।

কানাডায় চাকরি প্রস্তাব-
কানাডায় পৌঁছানোর আগে প্রাপ্ত চাকরি প্রস্তাবের জন্য সর্বোচ্চ ১০ পয়েন্ট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে প্রার্থী বৈধ নিয়োগের জন্য ১০ পয়েন্ট এবং অভিযোজ্যতার কোটায় ৫ পয়েন্ট বোনাস পাবেন। তবে ভিসার আবেদনের জন্য চাকরির প্রস্তাব বাধ্যতামূলক নয়।

অভিযোজন ক্ষমতা-
কানাডায় গিয়ে প্রার্থীর অভিযোজন সম্ভাব্যতা বিচার করা হয় এই ক্যাটাগরির মাধ্যমে। আর এর জন্য মোট দশ পয়েন্ট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কানাডায় কাজের ১ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে পূর্ণ ১০ পয়েন্ট পাবেন। কানাডায় অধ্যয়নের ইতিহাস থাকলে পাবেন ৫ পয়েন্ট। এছাড়া স্বামী/স্ত্রী কিংবা পরিবারের কোন সদস্য কানাডায় অবস্থান করলে পাবেন ৫ পয়েন্ট।

এই শর্তগুলো পূরণ হলে যে কেউ চাইলে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তবে, আগে নিজের যোগ্যতা বিচার করে ভিসার জন্য আবেদন করুন। এক্ষেত্রে স্বীকৃত, বিশ্বস্ত ও পরিচিত কোনো ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নিতে পারেন। অন্যথায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা কন্সালটেন্সি ফার্মগুলোর চাটুকরি কথায় হুঁশ হারিয়ে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কাজেই সবার আগে নিজের যোগ্যতা মানে পয়েন্ট সম্পর্কে ধারণা নিন টার পরেই চিন্তা করে দেখুন আপনি এর জন্য আবেদন করতে পারেন কি না?

[[ আপনি জানেন কি? আমিওপারি ওয়েব সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে এই লেখায় ক্লিক করে জানুন এবং  তুলে ধরুন। নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। আর আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে রয়েছে অনেক মজার মজার সব ভিডিও সহ আরো অনেক মজার মজার টিপস তাই এগুলো থেকেবঞ্চিত হতে না চাইলে এক্ষনি আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে লাইক দিয়ে আসুন এখানে ক্লিক করে। এবং আপনি এখন থেকে প্রবাস জীবনে আমাদের সাইটের মাধ্যমে আপনার যেকোনো বেক্তিগত জিনিসের ক্রয়/বিক্রয় সহ সকল ধরনের বিজ্ঞাপন ফ্রিতে দিতে পাড়বেন বিস্তারিতু জানতে এখানে ক্লিক করুণ। ]]

Lesar

আমিওপারি নিয়ে আপনাদের সেবায় নিয়োজিত একজন সাধারণ মানুষ। যদি কোন বিশেষ প্রয়োজন হয় তাহলে আমাকে ফেসবুকে পাবেন এই লিঙ্কে https://www.facebook.com/lesar.hm

২৬ thoughts on “কানাডার অভিবাসন ভিসার জন্য আপনি কি আবেদন করতে পারবেন? জেনে নিন আপনার পয়েন্ট ও বিস্তারিত তথ্য”
    1. i AM INTERESTED IMMIGRATIONFORCANADA VISSA.PLS. CAN YOU HELF TO ME.MY MOBILE NO 00971553900966 00971502633561

      1. apni wait korun e bisoy niye bistarito aro lekha asche amiopari.com er web sait e…. tai chokh rakhun ekhane…tnx

  1. I AM INTERESTED TO GO TO CANADA .AS POSSIBLE GIVE ME SUGGESTION .HOW CAN POSSIBLE EASILY GO TO CANADA .I AM STILL DOING OFFICIALY JOB IN MALAYSIA .

  2. I am bit confuse about International Credential Assessment Service of Canada(ICAS). Let’s say I have completed my Bachelor degree from Bangladesh and Masters’ from Australia. Do I need to request both universities to send my transcripts or only masters’ transcript will need to assessment by ICAS.

  3. ami bangladesh a thaki…amar vaiyar jonno canada immgrtion ar bepare jante chai…its imprtnt for us to support our family…plz inform the easy process about it..plz..contact no :01741728941

  4. খুবি ভাল তথ্য কানাডায় জাবার জন্য, ধন্যবাদ

  5. ধন্নবাদ অামিও পারি.কম।এরকম লেখা চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *