প্রত্তন্ত গ্রামের মেঠো পথে যদিও কেটেছে শৈশব প্রাচ্যের অর্ধ নগ্ন সুশীল সমাজে এখন বসবাস ! নাড়ির টানে প্রতিদিন দেশকে উপলব্ধি করি তাই সময় করে খবরের কাগজে চোখ বুলাই ! গত দুবছরে পত্রিকার পাতায় যত ধর্ষণের খবর পাওয়া গেছে , বেশীর ভাগের বয়স পনের মাস থেকে শুরু করে ষোল বছর পর্যন্ত । অর্থাৎ তারা সবাই শিশু । এদের মধ্যে যাদের বয়স বার বছরের নিচে , এদের শারীরিক গঠন যৌনতার প্রতি প্রলোভিত করে না কিন্তু , তাহলে আমার প্রশ্ন তাহলে তাদেরকে কেন ধর্ষণের স্বীকার হতে হল ?
আমি মনে করি এর মুল কারণ ধর্ষক আসলে মানসিক ভাবে বিকার গ্রস্ত । তার কাছে যৌনতা মুখ্য বিষয় নয় , মুখ্য হল একটা অসহায় শরীর কে নিজের পেশী শক্তি দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করা । এই অসুস্থ লোকগুলো আমাদের চার পাশেই আছে । একটু চোখ কান খোলা রাখলেই দেখবেন এরা আছে । এরা ভদ্র বেশে আপনার বাসায় ঢোকে আর সুযোগ পেলেই আপনার বাসার সর্ব কনিষ্ঠ মেয়েটির জীবন ধ্বংস করে দেয় । আপনার বোন , মেয়ে কিংবা সেই বাচ্চাটা চরম লজ্জা নিয়ে বড় হতে থাকে , সে ভয়ে কাউকে কিছু বলে না। আর আপনিও জানলে লোক লজ্জার ভয়ে চুপ থাকেন । দয়া করে এই কাজটি করবেন না !
আপনার বাচ্চার গৃহ শিক্ষক , আরবি শিক্ষক , ভাই এর বন্ধু , দূরসম্পর্কের চাচা, মামা , খালু , পাশের বাসার আঙ্কেল , বাড়ির ড্রাইভার , ইত্যাদি মানুষের আচরণ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে খেয়াল করুন । আপনার শিশুটিকে শিখিয়ে দিন শরীরের কোন কোন অঙ্গ গুলোতে কেউ হাত দিতে পারবে না , হাত দিলেই যেন চিৎকার করে প্রতিবাদ করে ।
মনে রাখবেন আপনার এই সচেতনতা অনেকের কাছে বাড়াবাড়ি মনে হতে পারে , কিন্তু এতে আপনার প্রিয় শিশুটির জীবন হবে নিরাপদ । আর সন্তানের সকল নিরাপত্তার দায়িত্ব তার পিতামাতার!!!!!
ভালো থাকার প্রত্যাশায়
ফয়েজ মজুমদার
ইতালীর রোম থেকে
[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে জানতে “এখানে ক্লিক করুণ” তুলে ধরুন নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। ]]