প্রাণ জুসের বোতলে এবার শ্যাওলা জাতীয় ময়লা ও পোকা পাওয়া গেছে। আর এ জুস পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এক যুবক।প্রাণের এ জুস-বোতল পাওয়া গেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার ফরিদার পাড়ার বিসমিল্লাহ কুলিং কর্নারে। সেখানে সোমবার সন্ধ্যায় জুস পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন ফয়সাল নামের ওই যুবক।ফয়সাল বলেন, ‘বিসমিল্লাহ কুলিং কর্নারে আমরা বন্ধুরা প্রায় সময় আড্ডা দিই। সোমবার সন্ধ্যায় আড্ডা দেওয়ার সময় প্রাণ কোম্পানির জুস পান করি। এরপরই বমি শুরু হয়। এতে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি।’তিনি জানান, দোকানের অপরাপর জুসের বোতলগুলো পরীক্ষা করার পর দু’টি বোতলে শ্যাওলা জাতীয় ময়লা পাওয়া যায়।দোকান মালিক মোহাম্মদ হাসান বলেন,‘সোমবার বিকেলে আমি বাসায় ছিলাম। এসময় প্রাণের পরিবেশক দোকানে থাকা আমার ছোট ভাইকে প্রাণ জুসের ৩০টি বোতল দিয়ে যায়। সন্ধ্যায় পরীক্ষা করলে এর মধ্যে দু’টি বোতলের ভেতরে ময়লা পাওয়া গেছে।’তিনি বলেন,‘দোকানের সুনাম ক্ষুণ্ন হবে ভেবে বোতলের ভেতর ময়লা থাকার বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু ক্রেতারা তা ফাঁস করে দিয়েছে।’প্রাণ কোম্পানির পরিবেশক মেসার্স হালদার এন্টারপ্রাইজের সোহেল বলেন,‘ভাই, আমরা তো মালিক না। পরিবেশক মাত্র। টাকা দিয়ে পণ্য কিনি, তা বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ করি।’
প্রাণ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি আবদুল করিম বাংলানিউজকে বলেন,‘জুসের বোতল আমরা তৈরি করি না। কারখানায় তৈরি করার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তা বাজারজাত করা হয়। তাই এর সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব কারখানা কর্তৃপক্ষের।’তিনি বলেন, ‘পণ্যের বিষয়ে দোকান মালিকরা যদি কোনো অভিযোগ পেশ করেন, তাহলে ওইসব পণ্যের বদলে নতুন পণ্য দেওয়া হয়।
এদিকে প্রাণ জুসের একটি বোতলে লোহার নাট-বল্টু পাওয়া গেছে। এ মুহূর্তে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার কাছে বোতলটি কর্ক (ছিপি) না-খোলা অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ দিকটি বেরিয়ে এলো। অনেকেই বলছেন, জুস বা এ ধরনের পানীয়ে প্রায়ই ভেজাল বা দূষিত পদার্থ পাওয়া যাচ্ছে।
গত বুধবার নাজিম চৌধুরী নামের এক ক্রেতা ফেনী শহরের মহিপাল থেকে প্রাণ কোম্পানির তৈরি করা ২৫০ এমএল প্রাণ ফ্রুটো জুস নির্ধারিত মূল্য (২২ টাকা) দিয়ে কেনেন। এর সিরিয়াল নং বিডি এস ১৫৮১। বোতলটি কেনার পরই ক্রেতা উৎপাদন তারিখ দেখেন। মেয়াদ ২৩/৫/১৩ থেকে ২২/৫/১৪ পর্যন্ত। সবই ঠিক আছে। কিন্তু কর্ক খোলার সময় দেখেন, বোতলটি একটু ভারি লাগছে। এখানেই খটকা! একটু নেড়েচেড়ে ক্রেতা দেখেন বোতলের ভেতর আস্ত নাট-বল্টু। ক্রেতা রেগে যান বিক্রেতার ওপর।
দোকানদার তার কাছে মাফ চেয়ে বলেন, “কোম্পানি এভাবেই বাজারজাত করেছে। আমার দোষ নেই।” ক্রেতাও একপর্যায়ে বোতলটি না কিনে চলে যান। কৌতহলবশত এ বোতলটি দাম দিয়ে কিনে নেন সোলায়মান ডালিম নামের একজন। তিনি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা।
এদিকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রাথমিক প্রক্রিয়াজাতকরণ ও মাত্রারিক্ত ফরমালিন মেশানোর কারণে ৯০ টন আম জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বিস্তারিত নিচের ভিডিওটি দেখুনঃ
[youtube 0MuiUnnEGHQ?modestbranding=1&rel=0 nolink]
[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে জানতে “এখানে ক্লিক করুণ” তুলে ধরুন নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। ]]