ফ্রান্সের একটি বাংলাদেশী সংগঠন ‘লোবে দো সুলেইল’ যার ইংরেজী নাম সানরাইজ এসোসিয়েশন। ২১, ২২ এবং ২৩ শে ডিসেম্বর তিন দিন ব্যাপি ২য় বারের মত আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য মেলা নামে প্যারিসে বাংলাদেশী পন্যের বিপনন, তথ্যভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ঘোষনা দেয় সংটনটি। মেলার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন মেলাকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় সেখানে নেই কোন পোষ্টার বা মেলার কোন চিহ্ন। আইনত কোন কারণে মেলা বাতিল হলে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সবাইকে জানানো উচিৎ। কিন্তু তারা কোন কিছুকেই তোয়াক্কা না করে সবাইকে মিথ্যার গোলকধাঁধায় ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা এমনকি দর্শনার্থীদের টিকিটের টাকাটাও নির্লজ্জের মতো পকেটে ঢুকাচ্ছে। এর পিছনে রয়েছে প্যারিসে বসবাসরত কিছু অসাধু ব্যাক্তির হাত , সাথে আছে বাংলাদেশ বিমানবন্দরের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজস।
যার ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন ‘অকেশনের’ অজুহাতে অর্থলোভী কতিপয় ততাকথিত ফ্রান্স-এ বসবাসরত অসাধু বাংলাদেশী’-দের যোগসাজস্যে চলছে কালো টাকার পাহাড় বানানোর এই নোংরা খেলা।
এক অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে অনেক তথ্য । ফ্রান্স-এ বসবাসরত “তথাকতিত বাংলাদেশী কমিউনিটি” ব্যাক্তিদের প্রমাণ সহ নাম। যা “ধারাবাহিক” ভাবে এই “অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে” প্রকাশ করা হবে। যারা জঘন্য অপরাধ করে বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে দিন দিন ছোট করছে। আর ফ্রান্স সহ সব দেশে আমাদের “বৈধ কর্মসংস্থান সহ বসবাসে” ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
প্রথমদিন,প্যারিসের বাইরে থেকে মেলায় আগত এক দম্পতি আয়োজকদের
সাথে টেলিফোনে মেলার বিষয়ে আলাপচারিতা করতে দেখা গেল। মেলাস্থলে ক্ষোভের সাথে দর্শনার্থীরা মেলার নামে টিকেট দিয়ে এভাবে প্রবাসীদের সাথে
মিথ্যাচার করার প্রতিবাদ জানায়।দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনেও দেখা গেছে একই চিত্র। খোঁজ নিয়ে জানা যায় মেলার মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশ থেকে আদম পাচার করা। এবিষয়ে মেলার আয়োজকদের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান ফ্রান্সের সিডিজি এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন বিভাগ মেলায় দেশ থেকে আগতদের আটকে রেখেছে।
বাংলাদেশী পণ্যের বিক্রয় ও প্রদর্শনীর ঘোষনা থাকায় প্যারিসে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের এই মেলার প্রতি আগ্রহ ছিল পাশাপাশি সংগঠনটির উপর অনেকের সন্দেহ ছিল কারণ তাদের আগেরবারের মেলা আয়োজন সম্পূর্নরূপে ব্যর্থ ছিল।সানরাইজ এসোসিয়েশন নামের এই সংগঠনটি চলতি বছর ৬,৭ এবং ৮ জুলাই তিন দিনব্যাপি আরেকটি আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য মেলা এবং বহুজাতিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষনা দিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল। সেই বাণিজ্য মেলায় বাংলাদেশ
থেকে একটি মাত্র স্টল অংশগ্রহন করে। পরবর্তীতে “স্পিড অব ফ্যাশন এন্ড
সাপ্লাইয়ারার্স” নামের স্টলটিতে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তি বাংলাদেশে আর ফেরৎ
যায়নি। মেলা আয়োজকের আত্নীয় সেই লোকটি ফ্রান্সে আশ্রয়ের আবেদন করে অবস্থান করছেন। গতবারের মেলায় টিকেট কেঁটে প্রবেশ করে দেশের উল্লেখযোগ্য কিছু না থাকায় দর্শনার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল এবং বাংলাদেশের দুইজন সঙ্গীত শিল্পীকে দর্শকশূন্য অনুষ্ঠানে গান করতে দেখা গেলেও এবারের মেলায় মানুষ হলে প্রবেশের সুযোগ পায়নি এমনকি মেলাস্থলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে দেখা না যাওয়াতে প্রবাসীরা এটাকে সম্পূর্নভাবে আদম পাচারের একটি ঘটনা বলে মনে করছেন।
এবিষয়ে টেলিফোনে প্যারিসের বাংলাদেশ দূতাবাসের এক উর্ধতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি মেলার কথা জানলেও আদম পাচার অথবা ফ্রান্সের এয়ারপোর্টে বাংলাদেশীদের আটঁকে রাখার ঘটনা সম্পর্কে অবহিত নন বলে জানান। প্যারিসে বসবাসরত বাংলাদেশীরা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন এধরনের ঘটনা দেশ এবং আমাদের জাতির জন্য সুনামহানিকর। প্রবাসীরা সরকারিভাবে এই ঘটনার তদন্ত এবং আদম ব্যবসায়ীর যথোপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।
আগামী পর্বগুলতে প্রকাশ করা হবে হোতাদের নাম সহ আরও অনেক তথ্য যা থেকে মুখোশ উন্মোচিত হবে অপরাধীর, নির্মূল হবে অপরাধী ও অপরাধের। সেই প্রত্যাশা প্রবাসী ও দেশে বসবাসরত বাংলাদেশীদের।
সুত্র > http://www.bdreport24.com/archives/8898
[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার তথ্য তুলে ধরতে জানতে “এখানে ক্লিক করুণ” তুলে ধরুন নিজের ভিতর লুকায়িত প্রতিভা, নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান ও নিজেকে আবিষ্কার করুণ। ]]