বাংলাদেশিদের উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র হিসেবে স্মার্ট কার্ড দিতে যাচ্ছে সরকার। এটি নবায়ন কিংবা হারালে একশ’ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পরিশোধ করে তা সংগ্রহ করা যাবে।নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ আধুনিক প্রযুক্তির এ স্মার্টকার্ডের জন্য অর্থমন্ত্রণালয়ের সম্মতিতে ফি নির্ধারণ করেছে।
আগামী বছরের শুরুতে দেশের ভোটারযোগ্য নাগরিকদের দশ বছর মেয়াদি স্মার্ট কার্ড দেয়ার কথা রয়েছে।এর আগে স্মার্টকার্ড নবায়ন ও হারানোর ক্ষেত্রে পুনরায় তা সংগ্রহে সাধারণ ও জরুরি সময়ে ৫শ’ টাকা থেকে চার হাজার টাকা ফি নির্ধারণের প্রস্তাব দেয় ইসি।
অর্থমন্ত্রণালয় এ বিষয়ে পর্যালোচনা করে প্রতিক্ষেত্রে প্রায় পাঁচভাগের একভাগ ফি নির্ধারণে সম্মতি দেয়।বর্তমানে ভোটারদের লেমিনেটেড পরিচয়পত্র দেয়া হয়। এর মেয়াদ ১০ বছর।আগামী বছরের শুরুতেই নাগরিকদের হাতে স্মার্টকার্ড দিতে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানান জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলনাতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলনাতানুজ্জামান জানান, স্মার্টকার্ড নির্ধারিত মেয়াদ শেষে নবায়নের জন্য ১শ’ টাকা ফি দিতে হবে। জরুরি পেতে চাইলে দিতে হবে দেড়শ’ টাকা। পরিচয়পত্রটি হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলে প্রথমবার সংগ্রহের জন্য সাধারণ সময়ে ২শ’ টাকা, জরুরি সময়ে ৩শ’ টাকা দিতে হবে।এছাড়া দ্বিতীয়বার ৩শ’ টাকা থেকে ৫শ’ টাকা এবং পরবর্তীতে যে কোনোবারের জন্য ৫শ’ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত পরিশোধের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।পরিচয়পত্র সংশোধনে সাধারণ সময়ে ২শ টাকা ও জরুরি সময়ে ৪শ’ টাকা দিতে হবে নাগরিকদের।
প্রস্তাবিত বিধিতে বলা হয়েছে, সাধারণ সময়ের ক্ষেত্রে স্মার্টকার্ড আবেদনের ৩০ দিনের মধ্যে পাওয়া সম্ভব হবে। তবে জরুরি ক্ষেত্রে নির্ধারিত ফি দিয়ে সপ্তাহের মধ্যে তা সংগ্রহ করা যাবে।নতুন অর্থবছরে উন্নতমানের ‘স্মার্ট’ জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানসহ ৯টি কর্মসূচি বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশনকে ৭২৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।ইসির আইন শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মোশারফ হোসেন বলেন, “স্মার্টকার্ডের ফি নির্ধারণসহ বিধিমালা ও প্রবিধানমালার সংশোধনের প্রস্তাব বুধবার এসআরও জারির জন্যে আইনমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।”