ইতালি সহ ইউরোপের বেশ কিছু দেশে এক ধরণের প্রতারক চক্র বিশেষ করে ‘রোমানিয়ানরা’ বিভিন্ন টেকনিক্যাল যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যাংকের হাজার হাজার গ্রাহকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশেও এরকম একটি বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনার ঝড় বয়ে গেছে মানুষের মুখে মুখে। তবে বাংলাদেশের চাইতে এই ধরণের প্রতারণা ইতালি সহ ইউরোপের মধ্যে অনেক বেশি। যাই হোক আজকে আমরা এখানে আলোচনা করবো!! যখনি” আপনি আপনার ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে টাকা তুলতে যাবেন? তখন কিভাবে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন!!? এসব প্রতারকদের হাত থেকে? এবং জানবো এরা কিভাবে বা কোন কৌশলে তাদের ফাঁদ পেতেরাখে আপনাদের বোকা বানানোর জন্য!! যদি আমরা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে নিজে জানি এবং অন্যকে জানাই তাহলেই ওরা আর আমাদের সাথে এই প্রতারণা করতে পারবে না!!! এখানে আমরা একটি ভিডিও সহ তুলে ধরছি যাতে করে আপনারা আরও ভালো করে বুঝতে পারেন।
এরা সাধারণত দুই ভাবে প্রতারণা করে।
১- বাংকের এটিএম বুথ এর যেখান দিয়ে আমরা কার্ডটি প্রবেশ করাই সেখানে তারা আলতো করে আলাদা একটি ইলেক্ট্রনিক চিপ বসিয়ে রাখে যা আপনি বুঝতেও পারবেন না। যেটি একটি ম্যাগনেটিক কার্ড রিডার বা ক্লোন মেশিন। মানে আপনি যখন কার্ডটি প্রবেশ করাবেন তখন সেই ডিভাইসটি আপনার কার্ড এর সকল তথ্য হুবুহু নকল করে ফেলবে। এভাবে প্রথমে তারা আপনার কার্ড এর সকল তথ্য পেয়ে গেল। এবার পালা আপনার গোপন পিন নাম্বারটি সংগ্রহের।
আপনার পিন নাম্বারটি নেওয়ার জন্য তারা ঐ এটিএম বুথ এর উপরে এমন সুন্দর ও কৌশল করে একটি মাইক্রো ক্যামেরা বসিয়ে রেখেছে যা আপনি কখনো কল্পনাও করতে পারবেন না। আর সেই মাইক্রো ক্যামেরাটি আপনার পিন নাম্বার গোপনে ধারণ করে নিচ্ছে। এভাবে তারা আপনার সম্পূর্ণ তথ্য নিয়ে হুবুহু আপনার কার্ড এর মতো একটি কার্ড বানিয়ে ফেলবে। এবং পরবর্তীতে আপনার কার্ড এর হয়ে তারা আপনার একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবে। কাজেই কোন এটিএম বুথ থেকে টাঁকা উত্তোলন করার আগে ভালো করে দেখে নিন, কার্ড প্রবেশ করার আগে সেটি নাড়া -চাড়া করছে কিনা? বা উপরে কোন আলাদা ক্যামেরা দেখতে পাওয়া যায় কিনা।
২- ওরা এটিএম বুথ এর যেখান দিয়ে টাকা বের হয় সেখানে এমন কিছু প্রবেশ করিয়ে রাখে যা মেশিনটিকে টাকা বের করতে বাঁধাগ্রস্ত করে, মানে আপনি আপনার কার্ড প্রবেশ করিয়েছেন, তারপর আপনার পিন নাম্বার দিয়েছেন সাথে টাকার পরিমান দিয়ে ওকে বাটনে প্রেস করে টাকার জন্য অপেক্ষা করছেন!! কিন্তু টাকা বের হচ্ছে না। অন্যদিকে টাকার পরিবর্তে কাগজের রিসিট কিন্তু ঠিকই বের হয়ে গিয়েছে। তখন আপনি মনে করবেন কি ব্যপার টাকা বের না হয়ে রিসিত বের হোল!! তার মানে মেশিনে কোন সমস্যা হয়েছে, এবং এই ভেবে যেই আপনি মেশিন থেকে দূরে যাবেন ততক্ষণে প্রতারক চক্র সেই মেশিনে আপনার আটকিকে যাওয়া টাকা নিয়ে উধাউ। কাজেই যদি দেখেন এরকম আপনার সাথে ঘটতে তাহলে ভুলেও মেশিন থেকে দূরে যাবেন না? এবং সেখানে দারিয়ে থাকা অবস্থায় পুলিশকে বা ব্যাংকে ফোন করে জানাতে হবে, এবং তাদের কেউ না আসা পর্যন্ত সেখানে অপেক্ষা করতে হবে।
এবার নিচের ভিডিওটি ভালো করে দেখুন তাহলে কিছুটা প্রাকটিক্যাল ধারণা পাবেন।
দৃষ্টি আকর্ষণঃ আপনাদের সবার কাছে অনুরোধ এই লেখাটি আপনার পরিচিতি সবার কাছে শেয়ার করে পৌঁছে দিন জাতে করে তারাও এই বিষয়টি জেনে উপকৃত হতে পারে।
[youtube neYmQOS70Yk?modestbranding=1&rel=0 nolink]