• u. Nov ২১, ২০২৪

আমিওপারি ডট কম

ইতালি,ইউরোপের ভিসা,ইম্মিগ্রেসন,স্টুডেন্ট ভিসা,ইউরোপে উচ্চ শিক্ষা

বৃটিশ পর্যটক ভিসার জামানত সাড়ে ৩ লাখ টাকা

Byadilzaman

Jun 24, 2013

বাংলাদেশ থেকে পর্যটক ভিসায় বৃটেন যেতে হলে জামানত হিসেবে দিতে হবে ৩০০০ পাউন্ড বা তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা। পর্যটক ভিসার নির্ধারিত মেয়াদ ৬ মাস শেষে কেউ যদি বৃটেনে অবস্থান করে তাহলে ওই জামানতের টাকা বৃটিশ সরকারের কোষাগারে জমা হবে। অর্থাৎ জামানতের টাকা বাতিল হয়ে যাবে। শুধু বাংলাদেশ নয়, একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে ভারত, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, ঘানা, শ্রীলঙ্কার মতো দেশের ক্ষেত্রেও।

এমনই একটি আইন করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বৃটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের প্রভাবশালী পত্রিকা অনলাইন ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়েছে, ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও সেখানে পর্যটকদের থেকে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। এর ফলে সেখানে বেড়ে যাচ্ছে অভিবাসীর সংখ্যা। তাই এ প্রবণতাকে অনুৎসাহী করতে সরকার এমন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। এ বিষয়ে একটি পাইলট প্রকল্প উত্থাপন করেছেন বৃটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেরেসা মে। মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও বৃটেনে থেকে যাওয়ার প্রবণতাসম্পন্ন উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর হাজার হাজার নাগরিককে লক্ষ্য করে এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। আগামী নভেম্বর থেকে এ নিয়ম চালুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে যারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অধিবাসী তাদের ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রযোজ্য নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থেকে কেউ পর্যটক ভিসায় লন্ডন যেতে চাইলে তাকে জামানত বাবদ দিতে হবে ওই ৩০০০ পাউন্ড। এ অর্থ না দিলে তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভিতরে মুক্তভাবে চলাফেরা করার অধিকার পাবেন না।

বৃটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেরেসা মে বলেছেন, আমাদের অভিবাসন ব্যবস্থা বেশি সিলেকটিভ করা হচ্ছে তা নিশ্চিত করতে এ পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে অভিবাসীর সংখ্যা কয়েক লাখ থেকে কয়েক হাজারে নামিয়ে আনার চেষ্টা রয়েছে। তবে মেধাবী ও উত্তর ব্যক্তিদের আমরা স্বাগত জানাই। দীর্ঘমেয়াদে আমরা জামানত ব্যবস্থা চালু করতে চাই। এতে ভিসার মেয়াদের বেশি সময় বৃটেনে অবস্থানের পথ বন্ধ হবে। বিদেশী কোন নাগরিক যদি আমাদের সরকারি সেবা গ্রহণ করে তা থেকেও আমরা মুক্তি পাবো। এতে আমাদের খরচও কমবে। দ্বিতীয় প্রকল্পের আওতায় রয়েছে কেনিয়ার মতো দেশ। এ দেশটির অভিবাসীদের কম ঝুঁকি ধরা হয়। অর্থাৎ এদেশের পর্যটকরা বৃটেনে গেলে তাদের বেশির ভাগই যথাসময়ে দেশে ফিরে যায়। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, প্রতি বছর বৃটেনে ২২ লাখ বিদেশী পর্যটক ভিসায় প্রবেশ করে। গত বছর বাংলাদেশ থেকে ৬ মাসের ভিজিট ভিসায় বৃটেনে গিয়েছেন ১৪০০০ পর্যটক। শ্রীলঙ্কা থেকেও একই সংখ্যক পর্যটক গিয়েছেন। তবে এক্ষেত্রে ভারতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তা হলো দুই লাখ ৯৬ হাজার। এর পরই রয়েছে নাইজেরিয়া। এদেশের পর্যটক সংখ্যা এক লাখ এক হাজার। পাকিস্তানের ৫৩০০০।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেরেসা মে যে এই ধরনের আইন করতে যাচ্ছেন তা নিয়ে এর আগেই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল। তবে এবারকার রিপোর্টে বলা হচ্ছে, জামানতের এই আইন প্রথম দফায় পর্যটকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। পরে তা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হবে। এসব কর্মসূচির মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০১৫ সালের মধ্যে অভিবাসীর নেট সংখ্যা কমিয়ে এক লাখের মধ্যে রাখার পরিকল্পনা করছে। সরকারি হিসাবে দেখা গেছে, এ বছরের শুরুর দিকে বৃটিশ সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থেকে যাওয়া অভিবাসীর সংখ্যা কমিয়ে দেয়ায় প্রায় এক দশকের মধ্যে বৃটেনে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে অভিবাসীর সংখ্যা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র বলেছেন, অভিবাসীরা যেসব রুটে বৃটেন যান তার সবগুলোতে আমাদের নজর রয়েছে। অভিবাসী কমিয়ে আনতে আমরা সেসব রুটে পদক্ষেপ নিয়েছি। সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলে, অভিবাসীর নেট সংখ্যা কমে গেছে। তারপরও আমাদের কাজ শেষ হয়নি। এর আগে এমন আইন করার বিরোধিতা করেছিলেন হাউস অব কমন্সের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির লেবার দলীয় চেয়ারম্যান কিথ ভাজ। তিনি বলেছিলেন, এমন পদক্ষেপ নেয়া হলে বৃটেনেই বিভিন্ন সমপ্রদায়ের মধ্যে বিরোধ দেখা দিতে পারে। ভারতের মতো মিত্রদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিতে পারে।

[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে জানতেএখানে ক্লিক করুণতুলে ধরুন  নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান ]]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version