রাতের একটি ভালো ঘুম একজন ব্যক্তিকে তার দৈনন্দিন কাজ এবং পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নে তার সকল প্রচেষ্টাকে ভালোভাবে এগিয়ে নিতে সচেষ্ট থাকবে। প্রায় সকল গবেষণায় দেখা যায় যে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতি রাতে গড়ে সাত থেকে নয় ঘণ্টা বিরতিহীন ঘুমের প্রয়োজন হয়। যদিও তা ব্যক্তিবিশেষের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে। আপনি যদি ভালো ঘুম চান তবে নিম্নের পাঁচটি টিপসের সাহায্য নিয়ে চেষ্টা করতে পারেন।
১. শরীর গরম করা
ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনি শরীর গরম করতে পারেন। কারণ ব্যায়ামের ফলে আপনার মাংসপেশি রিলাক্সড হবে এবং আপনি চাপমুক্ত হবেন। তবে মনে রাখবেন দিনের শেষভাগে কখনো ব্যায়াম করবেন না। আপনি যদি ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীর গরম করতে চান তবে ঘুমানোর কমপক্ষে ২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যায়াম করবেন না। অর্থাৎ ব্যায়ামের কাজটি ঘুমানোর ২ ঘণ্টা আগেই সেরে নিন।
২. রিলাক্স এবং মুক্তানুভব
রিলাক্সেশনের মাধ্যমে আপনি প্রশান্তি অনুভব করতে পারেন এবং কিছু সময়ের জন্য আপনার মানসিক চাপকে ভুলে যেতে পারবেন। বিভিন্ন রিলাক্সেশন প্রক্রিয়ার মধ্যে ‘ইয়োগা মেডিটেশন’ উল্লেখযোগ্য। এগুলো শরীর ম্যাসাজ অথবা অল্প গরম পানিতে গোসল করার মতোই উপকারী। ঘুমানোর পূর্বে কিছু সময় ভালোবাসায় নিমগ্ন হওয়াও এক ধরনের প্রাকৃতিক রিলাক্সড এবং বেশ কার্যকর।
৩. ঘুমানোর নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ
একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠা এবং এটাকে ঠিক রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা যেভাবেই এটা নির্ধারণ করি সেভাবেই আমাদের শরীর এবং মন তার সাথে খাপ খেয়ে যায়। ঘন ঘন এবং ব্যতিক্রম হলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। তাই সহজে ঘুমিয়ে পড়ার জন্য ঘুমের নির্দিষ্ট সময় মেনে চলা উচিত।
৪. ভিন্ন দিকে মনকে প্রকাশিত করা
ঘুমাতে গিয়ে যদি আপনি অস্থির থাকেন এবং এপাশ-ওপাশ শুরু করেন তবে আপনি কিছুতেই ঘুমাতে পারবেন না। যদি এ রকম কখনো হয় তবে পাশের রুমে চলে যান এবং আপনি দুটি কাজ করতে পারেন। (ক) একটি বই নিয়ে কিছু সময়ের জন্য তাতে মনোনিবেশ করুন। (খ) পছন্দের কোনো গান শুনতে পারেন। যখন তন্দ্রাচ্ছন্নভাব অনুভব করবেন তখন বিছানায় চলে যাবেন।
৫. খাদ্য উপাদান
ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। খাদ্যে ঝাল, চর্বি এবং ভরাপেটে খাদ্য ভালোভাবে হজম হয় না এবং পেটের অস্বস্তিতে রাতে আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। রাতের খাবারের ৬ ঘণ্টার মধ্যে চা বা কফি পান থেকে বিরত থাকা ভালো। যে সব খাবার সহজে হজম হয় রাতে খাবারের তালিকায় সেগুলো থাকা উচিত। একটি পুরাতন প্রথা না ভোলাই ভালো সেটা হলো খাবারের শেষে একগ্লাস গরম দুধ (যদি দুধে আপনার কোনো ক্ষতি না হয়) যা আপনাকে ঘুমানোর জন্য সাহায্য করবে।
যদি উল্লিখিত পদ্ধতিসমূহ পালন করার পরেও আপনার ভালো ঘুম না হয় এবং পরের ১ দিন আপনি খুবই ক্লান্তবোধ করেন এবং যদি তা দীর্ঘদিন চলতে থাকে তবে আপনার হয়তো অন্য কোনো সমস্যা থাকতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে জানতে “এখানে ক্লিক করুণ” তুলে ধরুন নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। ]]