আজ আমরা জানবো কিভাবে কীটনাশক প্রয়োগ ছাড়াই ঘর থেকে ঘরে মশা, মাছি তেলাপোকা ইত্যাদির উপদ্রপ থেকে বাঁচতে পারবেন।
লেবুর রস
প্রকৃতিতে বিভিন্ন জিনিস রয়েছে যা একে অপরকে প্রতিহত করতে পারে। কিছু জিনিস এক প্রজাতি সহ্য করতে পারলেও কিছু জিনিস অন্য প্রজাতি সহ্য করতে পারেনা। ঠিক তেমন লেবুর রস পিঁপড়া সহ্য করতে পারেনা, লেবুর রস নিয়মিত স্প্রে করলে পিঁপড়ার উপদ্রব কমে।
নিমপাতা বা কালোজিরা
নিমপাতা তেঁতো একটি প্রাকৃতিক কীটনাশক। যদিও এটি পোকামাকড়দের জম তবে মানুষের উপকার ছাড়া এতে অপকার নেই। আলমারিতে বা কাপড় রাখার স্থানে তোশকের নিচে শুকনো নিমপাতা বা কালোজিরা কাপড়ে বেঁধে রাখুন। নিমপাতা পানিতে দিয়ে ঘর মুছুন। পোকা-মাকড়ের উপদ্রব কমবে।
দারচিনি ও লবঙ্গ
দারচিনি ও লবঙ্গ হচ্ছে মশলা জাতীয় উপাদান। তবে এটি তেলাপোকা কিংবা পিঁপড়া তাড়াতে কাজে আসে। দারচিনি এবং লবঙ্গ আপনার ঘরে যেমন সুন্দর গন্ধ ছড়াবে তেমনি দূর করবে পিঁপড়ার যন্ত্রণা। ঘরের বিভিন্ন স্থানে কয়েক টুকরো দারচিনি ও লবঙ্গ রেখে দিন। চিনির পাত্রের প্রতি পিঁপড়াদের আগ্রহ অনেক বেশি, এটা সবাই জানি। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কয়েকটি লবঙ্গ রাখুন।
ফুটন্ত পানি
রান্না ঘরের বেসিনের পানির লাইন ওয়াশ রুমের লাইনগুলোতে ফুটন্ত পানি ঢালুন।
ভিনেগার
ঘরের মেঝে পরিস্কার করার সময় পানিতে দুই টেবিল চামচ ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এতে তেলাপোকা, পিঁপড়া এবং আরশোলা থেকে রেহাই পাবেন।
স্যাভলন
ঘর থেকে মশা-মাছি দূর করতে স্যাভলন দিয়ে ঘর পরিষ্কার করুন। এটি আপনার ঘর জীবাণু মুক্ত রাখবে।
কর্পূর
মশা তাড়াবার একটা সহজ উপায় হল কর্পূর এর ব্যবহার, কয়েক টুকরো কর্পূর আধকাপ পানিতে ভিজিয়ে খাটের নীচে রেখে দিন। এতে নিশ্চিত ভাবে বাসায় মশার উপদ্রপ কমে যাবে।
রোদ
ঘরের, লেপ, তোশক, বালিস, কাপড় ইত্যাদি মাঝেমধ্যে রোদে দিতে হবে। এতে করে নানান পোকা মাকড় কম হয়।
লাইট
খাবার পোকার হাত থেকে রক্ষার জন্য খাবার টেবিল ও রান্নাঘরে চুলার ওপর কোনো লাইট দেয়া যাবে না।
আলোবাতাস ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা
প্রতিটি ঘরের কোনা অবশ্যই পরিষ্কার রাখতে হবে। ঘরে আলো-বাতাস প্রবেশ করার ব্যবস্থা করতে হবে।
আজ এটুকুই, আরো ভালো ভালো প্রাকৃতিক টিপস পেতে আমাদের সাথেই থাকুন আমাদের পরিবারের একজন সদস্য হয়ে।