জরুরী প্রয়োজনে একজনকে দেশে যেতে হচ্ছে। তিনি প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসে গেলেন পাসপোর্ট তুলতে। ২৫০ ইউরো (২৫,০০০ টাকা) দিয়ে ২৪ ঘন্টার আর্জেন্ট পাসপোর্ট হাতে নিয়ে নাম, ছবি, বাসার ঠিকানাটি চেক করে দেশের টিকেট কিনলেন। ফোন পেয়ে আন্কেলটির বাসায় গেলাম, লাগেজ গুছিয়ে সি.ডি.জি এয়ারপোর্টে উনাকে বিদায় দিলাম।
কাতার এয়ারওয়েজে ঠিকমতো পরদিন দেশে পৌছলেন। ৯ দিন পর রিটার্ন টিকেটে প্যারিসের উদ্দেশ্যে আসলেন ঢাকা বিমানবন্দর। যথারীতি বোডিংকার্ড নিয়ে গেলেন ইমিগ্রেশন বিভাগে। ইমিগ্রেশন অফিসার পাসপোর্ট দেখে বললো: আপনি জাল পাসপোর্ট নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন?
এই কথা শুনে উনার মেজাজ গেল চরম খারাপ হয়ে। ব্যাটা বলে কী?
মাত্র ৯ দিন আগে দেশে আসলাম, আমার রিটার্ন টিকেট, কার্ড সবই আছে, পাসপোর্ট জাল হল কিভাবে? কিন্তু অফিসারের এক কথা, এই গলাকাঁটা পাসপোর্টে বিদেশ যেতে পারবেননা….
এরপর উনাকে নেয়া হল একটি রুমে এবং সেখানে র্যাব এর দায়িত্বপ্রাপ্ত উর্ধতন কর্মকর্তার সামনে হাজির করা হল। এবার আন্কেল র্যাব অফিসারকে বোঝাতে লাগল: দেখুন, আমি কেন নিজের পাসপোর্ট নিজে জাল করতে যাব? এটা আমারই পাসপোর্ট যদি বিশ্বাস না হয়, আপনি এখনই ফ্রান্সে বাংলাদেশ এমব্যাসিতে ফোন করুন। সেখানে এখন অফিস আওয়ার। আমাকে এই ফ্লাইটে ফিরে যেতেই হবে কারণ টিকেট নন রিফান্ডএবল এবং পৌছার পরদিন জবে এটেন্ড করতে হবে । তাছাড়া প্যারিসে আমার ফ্যামেলী থাকে। আমি কি জানতে পারি পাসপোর্ট জাল বলার কারণ কী?
উত্তরে অফিসার: আপনার পাসপোর্টে কোন সাক্ষর নেই কেন?
এরপর আন্কেল সেটি হাতে নিয়ে দেখল- সত্যিই তো তাই !!!
বাহকের সাক্ষরের জায়গাটি খালি। খাইছে…
কোনভাবেই যখন অফিসার তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করছেনা তখন আন্কেল তার ওয়ালেট থেকে একে-একে ফ্রান্সের রেসিডেন্সি কার্ড, ট্রান্সপোর্ট কার্ড, মেডিকেল কার্ড, কয়েকটি ক্রেডিট কার্ড প্রমাণ সরূপ টেবিলে রাখল। এবং বলতে লাগল: এটা বাংলাদেশ দূতাবাসের ভুল, আমি এই ভুলের জন্য দায়ী নই।
এবার র্যাব প্রধান সেই ইমিগ্রেশন অফিসারকে তলব করল। সে এসব দেখে বলে: স্যার, উনি ফ্রান্সে থাকেন এটা যেমন সত্যি, ৯ দিন আগে দেশে এসেছেন সেটাও সত্যি। কিন্তু আমি যদি উনাকে যেতে দিই তাহলে কাতার এয়ারপোর্ট তাকে ফেরৎ পাঠাবে, তখন আমার চাকরী নিয়ে টানাটানি হবে।
তখন আন্কেল বললো: দেখুন, বিদেশের এয়ারপোর্টে মূলত রেসিডেন্সি কার্ডটাই দেখে। আর দোহা এয়ারপোর্টের সমস্যা আমি বুঝবো। আপনারা আমাকে যেতে দিন।
অফিসারগন আলোচনা করে উনাকে সাদা কাগজে সিগনেচ্যার দিতে বললো। উপায় না দেখে তিনিও সাক্ষর দিয়ে প্লেনের দিকে ছুঠতে লাগলেন। ততক্ষনে ফ্লাইট ছাড়ার সময় শেষ। যেহেতু বোডিং কার্ড আগেই নেয়া হয়েছে তাই মাইকে উনার নাম ধরে ডাকা হচ্ছে…
পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা এমন ভুলগুলো অহরহ করছে। আমার পাসপোর্ট করার সময় জন্ম তারিখ ভুল করেছে। যেটি আমি পরবর্তীতে আর সংশোধন করতে পারিনি। আমার এক বন্ধুর পাসপোর্টে প্রফেশন বিসনেস এর স্হলে প্রাইভেট সার্ভিস করে দিয়েছে।
জানিনা কবে এসব ঝামেলা থেকে আমরা মুক্তি পাবো?
পোস্ট টি করেছেন হাশেম ভাই > ইমেইলঃ hasem7@yahoo.com .
[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে জানতে “এখানে ক্লিক করুণ” তুলে ধরুন নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। ]] আর আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে রয়েছে অনেক মজার মজার সব ভিডিও সহ আরো অনেক মজার মজার টিপস তাই এগুলো থেকে বঞ্চিত হতে না চাইলে এক্ষনি আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে লাইক দিয়ে আসুন। আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে যেতে এখানে ক্লিক করুন। এবং আপনি এখন থেকে প্রবাস জীবনে আমাদের সাইটের মাধ্যমে আপনার যেকোনো বেক্তিগত জিনিসের ক্রয়/বিক্রয় সহ সকল ধররেন বিজ্ঞাপন দিতে পাড়বেন। জানতে এখানে ক্লিক করুন।
চাকরি বাকরির ক্ষেত্রে তদবিরটাই হৈলগা আসল চিজ। বাংলাদেশে আইজতক যত দল ক্ষেমতায় আইসে অগো সবাই ঘুষ খাইয়া বা তয়তদবিরের কারনে যতসব অকাল কুষ্মান্ডরে বাইরের দেশগুলাতে বাংলাদেশি দুতাবাসে চাকরি করতে পাঠাইসে। হেগো মাইনষের জুতা পরিস্কার করনেরো যোগ্যতা নাই অথচ হেরা করে পাসপোর্ট ইস্যু। অতএব সাবধান! বাংলাদেশ এম্বাসির ধারে কাসে যাইতে অইলে খুব বুইঝা শুইনা….
আমারটার অবস্থা দেখেন। গাধা গুলা পেশা লিখছে চিটাগাং পরে এইটা জানানোর পরে আবার ভিসার একটা পেজ কাইটা ভুলটার কারেকশনের কথা লেইখা দিছে।