প্রিয় আমিওপারি সম্মানিত পাঠক বৃন্দ প্রথমে মহান সৃষ্টিকর্তার নাম নিয়ে শুরু করছি। সবাই আমাদের সালাম ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন। আশা করি আপনারা সবাই পরম করুণাময়ের অশেষ রহমতে ভালোই আছেন।বরাবরের মতো আজকেও আমরা আপনাদের মাঝে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। বন্ধুরা আমাদের আজকের এই পোস্ট এর মাধ্যমে আপনাদের কাছে ইতালির বর্তমান ফ্যামিলি রি ইউনিওন ভিসার সকল প্রশ্নের উত্তর ও এর সাথে কিছু সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করবো।
বন্ধুরা শুরুতেই আপনাদের কাছে একটি বিষয় পরিস্কার করে বলে দিতে চাই, যে বর্তমানে দেশে ইতালিস্থ দুতাবাসে ইতালি আসার ফ্যামিলি রি ইউনিওন ভিসার নিয়ম কানন আগের মতো নেই। এবং ফাইল জমা দেওয়া তথা আবেদন করার সময় কোন প্রকার জালিয়াতি বা প্রতারণা মূলক কোন কাগজ পত্র জমা দেওয়ার দিন শেষ। যদি কেউ মিথ্যে তথ্য দিয়ে কোন ফাইল জমা করান তাহলে নির্ঘাত জেল-জরিমান নিশ্চিত।উক্ত বিষয় গুলোনিয়ে নিন্মে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
বন্ধুরা ইতালির বর্তমান ফ্যামিলি রি ইউনিওন ভিসার ২০১৬ এর মার্চ এর পর থেকে ইতালিস্থ দূতাবাস এর কি অবস্থা? এবং তারা কিভাবে কাজ করছে? কেন জমা করা ফাইল বছরের পর বছর ধরে ঝুলিয়ে রেখেছে? কেন আপনাকে জেল হাজত এর মুখ দেখতে হতে পারে? ইত্যাদি আরও নানা ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো যাতে আপনারা খুব ভালো করে বুঝতে পারেন? সেই জন্যে আমরা ধাপে ধাপে বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।
প্রশ্নঃ যারা ২০১৪ এর শেষের দিকে বা ২০১৫ সালে ফ্যামিলি রি ইউনিওন ভিসার জন্য ফাইল জমা করেছেন? তারা এখনো তাদের ভিসা ডেলিভারি পান নাই? তাদের কি করনীয়?
উত্তরঃ ঢাকাস্থ ইতালীয়ান দূতাবাসে বিগত বছর গুলোতে বিভিন্ন ধরনের জালিয়াতি ও প্রতারণা মূলক ফাইল জমা পরায়? এবং ভিসা প্রতারনার শিকার হওয়া এড়াতে এবং অতিরিক্ত পরিমানে নকল ডকুমেন্টস জমা পড়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে দূতাবাস নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েও সুফল না পাওয়ায়? তারা ২০১৬ সালের ২৩ শে মার্চ- এক বৈঠকে দূতাবাসের ভিতরে ব্যাপক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। আর সেই সাথে তারা ভিসার জন্য আবেদন পত্র জমা পরার পর থেকে সেই সকল ফাইল নিয়ে কার্যক্রম সম্পাদন করার বিষয়ে ব্যাপক পরিবর্তন সাধন করেন। যার ফলে যারা ২০১৬ এর ২৩ শে মার্চ এর আগে ফাইল জমা করিয়েছেন তাদের সকলের ফাইল পুনরায় যাচাই বাচাই করার জন্য দেওয়া হয়। এবং আবেদন করার ফি পূর্বের ফি থেকে পরিবর্তন করে!!!! তথা ১২৫০০ টাকা থেকে পরিবর্তন করে ৫১ হাজার টাকার মত নির্ধারণ করে।আর তাই যারা ২০১৬ এর মার্চ এর আগে তথা ১২৫০০ টাকা ভিসা ফি জমা দিয়ে ফাইল জমা করেছেন? তাদের সকল কে দূতাবাস এর পক্ষ থেকে ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যাতে করে তারা ৪০২৫০ টাকা জমা দিয়ে আসেন। তবে অবশ্যই আপনাকে দূতাবাসের পক্ষ হতে তাদের ফোনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।টাকা জমা দেওয়ার পর থেকে আপনাদের ফাইল এর কাজ শুরু করা হবে।তথা পুনরায় যাচাই বাঁচাই এর কাজ শুরু হবে। এবং সকল ডকুমেন্টস সঠিক ও বৈধ হলে দূতাবাস আপনাদের ভিসা দিবে। উল্লেখ্য অনেকের ক্ষেত্রে আবার দেখা যাচ্ছে উনাদের উক্ত বিষয় সম্পর্কে ভিএফএস এর ওয়েব সাইটে নিন্মের ছবির মতো করে প্রদর্শন করার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
প্রশ্নঃ যারা ২০১৬ এর মার্চ এর ২৩ তারিখ এর পরে তথা ৫০ হাজার টাকার মত ফি দিয়ে ফাইল জমা করিয়েছেন? তাদের ফাইল এর কি অবস্থা?
উত্তরঃ যারা ঢাকাস্থ ইতালীয়ান দূতাবাসের ধার্য করা নতুন নিয়মে ফাইল জমা করিয়েছেন তাদের ফাইলের কাজ খুব দ্রুত সম্পাদন করা হচ্ছে। এবং আপনার ফাইল বর্তমানে কোলকাতার তথা ইন্ডিয়ার ভিসা আবেদন কেন্দ্র ভিএফএস গ্লোবালের তত্ত্বাবধানে প্রাইভেট কিছু ইনভেস্টিগেশন টিম দ্বারা পরিচালনা করা হচ্ছে তথা প্রাইভেট কোম্পানি গুলো তাদের নিজ দায়িত্তে আপনার সকল তথ্য যাচাই বাঁচাই করে দূতাবাসের কাছে রিপোর্ট করে। কাজেই বর্তমানে কোন প্রকার দালাল চক্র বা দূতাবাসে কাজ করে কোন কর্মকর্তার পক্ষে সম্ভব নয়, যে পূর্বের মতো টাকার বিনিময়ে আপনার ফাইল দ্রুত বের করিয়ে দিবে অথবা আপনার অবৈধ কোন কাজ টাকার বিনিময়ে বৈধ করে দূতাবাসে উপস্থাপন করিয়ে ফাইল বের করিয়ে দিবে। কাজেই দালাল হতে সাবধান।
প্রশ্নঃ দেশে ঢাকাস্থ ইতালীয়ান দূতাবাসে বর্তমানে কি কি ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে?
উত্তরঃ ২০১৬ এর ২৩ শে মার্চ এর পরে ঢাকাস্থ ইতালীয়ান দূতাবাসে বেশ কিছু বিষয়ে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্যঃ
১- ভিসা ফি পরিবর্তন করা হয়েছে।
২- দূতাবাসে সর্বদা পুলিশ প্রশাসনের নজরদারি বারিয়ে দেওয়া হয়েছে।
৩- ফাইল জমা পড়ার পর থেকেই প্রাইভেট কোম্পানি দ্বারা আপনার ফাইল যাচাই বাঁচাই করার জন্য পাঠানো হচ্ছে।
৪- যদি কোন প্রকার জালিয়াটি ধরা পড়ে তাহলে সাথে সাথে গুলসান থানার পুলিশের কাছে জালিয়াটির মামলা করে তাৎক্ষণিক আবেদন কারিকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
৫- দূতাবাস অতি সাধারণ কারন এবং সামান্য ভুলের কারন দেখিয়ে আপনার ফাইল রিজেক্ত করে দিচ্ছে।
৬- দূতাবাস ও ঢাকাস্থ ইতালীয়ান দূতাবাসের নিয়োগকৃত এজেন্সি ‘ভিএফএস গ্লোবাল’এর চতুর দিকে ভিডিও ক্যামেরা সেটআপ করার মাধ্যমে সর্বদা উক্ত ভবন গুলোর আঁশে-পাঁশে কে বা কারা ঘোরাফেরা করছে? উক্ত বিষয়ে সর্বদা নজরদারী করা হচ্ছে, এবং যদি কাউকে উক্ত একালায় দুই,তিন বার এর অধিক কাউকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়, তাহলে তাৎক্ষণিক গোয়েন্দা বিভাগ এর কাছে জানিয়ে উক্ত ব্যক্তিকে এরেস্ট করার জন্য অনুরোধ করা হয়।(কাজেই বর্তমানে ইতালিয়ান দূতাবাস ফাঁকা এবং ভিএফএস গ্লোবাল ও ফাঁকা) শুধু মাত্র আবেদনকারী ছাড়া কেউ এর ধারে কাছে প্রবেশ করতে পাড়ছে না।
বন্ধুরা বর্তমানে ঢাকাস্থ ইতালীয়ান দূতাবাসে অনেক কড়াকড়ি করা হয়েছে, কাজেই বর্তমানে কোন প্রকার জালিয়াটি ও প্রতারণা মূলক কোন ফাইল জমা দিয়ে কেউ রেহাই পাচ্ছেনা, উক্ত বিষয় গুলো আরও পরিস্কার করে বোঝানোর জন্য এবং আপনাদের সতর্ক করিয়ে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে কিছু আবেদন কারীর সাথে কি ঘটেছে উক্ত বিষয় গুলো নিন্মে তুলে ধরা হলঃ
১-আবেদন কারী জনাব মোহাম্মদ ময়িন উদ্দিন এর কাহানীঃ জনাব ময়িন উদ্দিন ইতালিতে ১৫ বছর পূর্বে উনার চাচার মাধ্যমে ফ্যামিলি ভিসায় আসেন। তখন দূতাবাসে বর্তমানের মতো এতো যাচাই বাঁচাই না হওয়ার কারনে উনি চাচাকে বাবা বানিয়ে সেই পরিচয়ে আসেন এবং সেই মোতাবেক বর্তমানে উনি ইতালির Carta di soggiorno তথা স্থায়ী রেসিডেন্স পারমিট ধারী এবং ভালো বেতনে একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। দীর্ঘ ১৫ বছর পর জনাব মোহাম্মদ ময়িন উদ্দিন ইতালির তরিনো নগরী থেকে উনার স্ত্রীকে ইতালি নিয়ে আসার জন্য নুল্লা অস্তা বের করে দেশে ২০১৫ এর ডিসেম্বরে আবেদন করেন। আবেদন করার পর দূতাবাস তার সকল প্রতারনার বিষয়গুলো অনুসন্ধান করে বের করে নিয়ে আসে, এবং সেই মোতাবেক উনার স্ত্রীকে দূতাবাসে ডেকে নিয়ে ভিসা দেওয়া প্রত্যাখ্যান করে দেয় এবং উনার উক্ত বিষয় সম্পর্কে ইতালিতে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হলে ইতালিতে উনার ডকুমেন্টস এ সমস্যার সৃষ্টি করে। কাজেই যারা বর্তমানে ভাবছেন যে অন্যের সন্তান কে নিজের সন্তান বানিয়ে নিয়ে আসবেন? উক্ত বিষয় গুলো নজরে রাখার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে এবং যারা ইতিমধ্যে এই ধরনের কাজ করে বর্তমানে ইতালিতে অবস্থান করছেন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে যে, আপনারা ভুলেও আপনার পরিবার কে ফ্যামিলি ভিসায় নিয়ে আসার জন্য আবেদন করবেন না।আপনাদের বিষয়টি পরিস্কার করে দেওয়ার জন্য জনাব ময়িন উদ্দিন কে ইতালিয়ান দূতাবাস থেকে দেওয়া সেই ভিসা প্রত্যাখ্যান করার কাগজটি তুলে ধরা হল।
২-আবেদন কারী জনাব কামরুজ্জামান এর কাহানীঃ জনাব কামরুজ্জামান উনার শ্বশুর-শাশুড়ির জন্য ২০১৫ তে দূতাবাসে নুল্লা অস্তা জমা দেন। উনার একটাই ভুল উনি উনার শ্বশুর-শাশুড়ির জন্য আবেদন করার সময় দূতাবাসে উনাদের ফ্যামিলি সার্টিফিকেটে শ্বশুর-শাশুড়ির ১৮ বছরের নিচে একজন সন্তান কে সেই সার্টিফিকেট থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছিল। আর সেই বিষয় সম্পর্কে অনুসন্ধান করার জন্য দূতাবাস এর পক্ষ থেকে রাত ৩ তার দিকে উনার শ্বশুর-শাশুড়ির বাসায় লোকাল পুলিশ গিয়ে হাজির এবং সকল তথ্য বের করে নিয়ে যায় লোকাল পুলিশ। এর পর উনার শ্বশুর-শাশুড়িকে দূতাবাসে দেকে নিয়ে জালিয়াটির মামলায় গুলসান থানায় সমর্পণ করা হয়।
৩-আবেদন কারী জনাব কাউসার হোসেন এর কাহিনীঃ জনাব কাউসার হোসেন ইতালির মিলান শহরে উনার ফ্যামিলির জন্য কাগজ বের করে দেশে জমা করান। উনার স্ত্রী এবং দুই সন্তান এর জন্য। কিন্তু সে তার বড় ছেলের দেশে পরীক্ষার বিষয়টির জন্য দেরি করেই ইতালিতে কাগজ বের করান। উনি যখন উনার ফ্যামিলির জন্য নুল্লা অস্তা বের করান? সেই সময়ে তার বড় ছেলের বয়স ১৮ পেড়িয়ে ১৯ গড়িয়ে যায়। কাজেই উনি চলাকি করে উনার বড় ছেলের পাসপোর্ট করার সময় ১ বছর কম দেখিয়ে ফাইল জমা করান। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস উনাকে সঙ্গ দেইনি। দূতাবাস থেকে উনার সন্তান যে স্কুলে ছোট বেলা থেকে পড়াশোনা করেছে এবং যেখান থেকে সে এসএসসি পরিক্ষা দিয়েছে, সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এর কাছে গিয়ে উনার ছেলের সম্পর্কে সকল তথ্য বের করে নিয়ে আসে। এবং প্রতারণা করার দায়ে সকল কে গুলসান থানায় ধরিয়ে দেওয়া হয়। কাজেই যারা বয়স কমিয়ে ফাইল জমা করার কথা ভাবছেন? তারা উক্ত বিষয়টি মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিবেন।
৪- নাম প্রকাশ করতে রাজি নয়ঃ এই ভাই অন্যের স্ত্রীকে নিজের স্ত্রী বানিয়ে আনার জন্য ফাইল জমা করিয়েছিলেন ইতালি পাদোভা প্রভিঞ্চি থেকে। কিন্তু বর্তমানে যারা স্ত্রী/স্বামীর জন্য ফাইল জমা করায়, তাদের সকল তথ্য বিভিন্ন কায়দায় দূতাবাস এর পক্ষ থেকে যাচাই বাঁচাই করা হয়, কাজেই উক্ত ভাইয়ের বানানো স্ত্রীকেও দূতাবাসে ডেকে নিয়ে জালিয়াটির মামলায় থানায় ধরিয়ে দেয়।
৫- নাম প্রকাশ করতে রাজি নয় সম্প্রতি রোমের একটি ঘটনাঃ ঈদের আগের দিনের ঘটনা। রোমের এক ভাই উনার বাবা/মা কে নিয়ে আসার জন্য ২০১৫ তে ফাইল জমা করান। এবং উনার সব কিছুই সঠিক থাকার পরেও উনার সামান্য কিছু ভুলের কারনে উনার বাবা-মাকে কুরবানীর ঈদ কাটাতে হয় জেল হাজতে।উনি ফাইল জমা করার সময় উনার ফামিল্যি সার্টিফিকেটে উনার বোন এর নাম উল্লেখ করান ঠিকই কিন্তু উনার বোন যে বিবাহিত!! উক্ত বিষয়টি ফ্যামিলি সার্টিফিকেটে উল্লেখ্য করেন নাই। উল্লেখ্য যখন উনি উনার ফাইল জমা করান তখন উনার বোনের সবেমাত্র বিয়ে হয়। যাই হোক মাস খানেক আগে উনার পরিবার কে দূতাবাস থেকে কল করে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বলা হয় যে, আমাদের অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে যে, আপনার মেয়ে বিবাহিত, কিন্তু আপনারা উক্ত বিষয়টি কেন এখানে উল্লেখ্য করেন কি? আর এই বিষয় এর উপর উনাদের নানা ধরনের প্রশ্ন করে ১০ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয় এবং বলা হয় যে এই সার্টিফিকেট আপনারা সংশোধন করিয়ে পুনরায় জমা করান। অতঃপর পড়িবারের বড় ছেলের সাথে পরামর্শ করে উনারা নতুন করে এই সার্টিফিকেট তৈরি করেন, কিন্তু যেহেতু বর্তমানে উনার বোন আর বাবা/মার সাথে থাকে না। স্বামীর ঘর সংসার করে। তাই উনারা নতুন ফ্যামিলি সার্টিফিকেটে বোনের সম্পূর্ণ নামই বাদ দিয়ে দেন, এবং সেই সার্টিফিকেট জমা করান। আর এই কারনে গত ৫ দিন আগে দূতাবাস উনার বাবা/মাকে ডেকে নিয়ে মিথ্যে ও জালিয়াটির ৪টা মামলা ঠুকে দেন। এবং রোমে বসবাসকারী ঐ ভাই নানা ভাবে চেষ্টা করেও উকিল এর মাধ্যমে আদালত থেকে বাবা মার জামিন করাতে পারেনি, এবং সামনে ঈদ ঘনিয়ে আসার কারনে কোর্ট কাচারি সব বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, উনার বয়স্ক বাবা মাকে জেল হাজতে ঈদ করতে হয়। কাজেই আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ দয়া করে বর্তমানে কোন ভাবেই ইতালিয়ান দূতাবাসে কোন প্রকার মিথ্যে ও প্রতারণা মূলক তথ্য দিয়ে ফাইল জমা করাবেন না।
৬- ২০১৬ এর মার্চ এর পরের সেই বৈঠকের পর থেকে ঢাকাস্থ ইতালীয়ান দূতাবাস প্রচুর পরিমাণ বাংলাদেশী ফাইল ভিসা দেওয়া থেকে দূতাবাস তাদের বঞ্চিত করে যাচ্ছে। আর তারা এক অদ্ভুত কারন দেখিয়ে ২০১৪,২০১৫ তে জমা কৃত ফাইল গুলো প্রত্যাখ্যান করে যাচ্ছে। আর সেই কারন সরূপ তারা বলছে, যে তাদের ফাইল নাকি ৬ মাসের মধ্যে ঢাকাস্থ ইতালীয়ান দূতাবাসে জমা পড়ে নাই। আর এই কারন দেখিয়ে শত শত ফাইল তারা ইতিমধ্যে প্রত্যাখ্যান করছে। তার কিছু নমুনা নিন্মে তুলে ধরা হল।
উপরের ফাইলটি যথা সময়ের মধ্যে দূতাবাসে জমা করার পড়েও তারা উক্ত বেক্তিকে ভিসা দেওয়া প্রত্যাখ্যান করেছে উক্ত বিষয় দেখিয়ে। উল্লেখ্য এই ধরনের সমস্যায় যারা পড়বেন? তাদের জন্য পরামর্শ হচ্ছে অতি সত্বর দেরি না করে ইতালিতে ভালো কোন উকিল দ্বারা আপিল করার জন্য। তাহলে তারা ইতালির আদালতের রায়ের মাধ্যমে দেশ থেকে খুব সহজেই ভিসা পেয়ে যাবেন। আর এই বিষয়ে আপনাদের পরিচিত কোন উকিল না থাকলে সরাসরি আমিওপারি টিম এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
উপরের ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে উনার কাছে তার বিয়ের পর কবে ইতালিতে প্রবেশ করেছে সেই বিষয়ে বিস্তারিত বিবৃতি দিয়ে ভিসা আবেদন কেন্দ্রে একটি সার্টিফিকেট জমা দিতে বলেছে। কিন্তু দুক্ষের বিষয় উনি ফাইল জমা করার সময় উনার পূর্বে সকল পাসপোর্ট এর সকল পেজ এর ফটোকপি দূতাবাসে জমা করিয়েছে। যেখানে স্পষ্ট দেখা যায় উনি করে ইতালিতে প্রবেশ করেছে এবং উনার কাবিন নামায় লিখা আছে উনি করে বিয়ে করেছে। এখন এই ভাইয়ের প্রশ্ন আমি দেশে বিয়ে করেছি ২০০২ সালে আর ইতালিতে আসি ২০১২ তে। এখন আমি দূতাবাসে আমার বিয়ের পর কবে ইতালি আসছি এই ধরনের বিস্তারিত বিবৃতি কিভাবে বা কোথা থেকে জমা করাবো? অবশেষে উনার ফাইল টিকেও প্রত্যাখ্যান করে দেওয়া হয়েছে। এরকম আরও নানা ধরনের অদ্ভুত কারন দেখিয়ে ফাইল প্রত্যাখ্যান করে দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্যঃ যাদের প্রতারনার কারনে দূতাবাস পুলিশে ধরিয়ে দিচ্ছে তারা কোন প্রকার দেরি না করে দ্রুত আমিওপারি টিম এর সাথে যোগাযোগ করলে আমরা আপনাদের আইনি সকল ধরনের সাহায্য সহযোগীতা করতে পারবো। এবং এর ফলে উপরের বিভিন্ন ভাইয়ের মতো আপনার বাবা মা অথবা পরিবারকে এভাবে জেল হাজতে রাত কাটাতে হবেনা। মনে রাখবেন কোর্টে হাজির করার আগেই আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে অভিজ্ঞ উকিল দ্বারা উক্ত মামলার সমাধান ৯০% করে দেওয়া যায়।
উল্লেখ্য আমিওপারিতে পূর্বে প্রকাশিত ইউরোপ ও ইতালি নিয়ে অনেক প্রয়োজনীয় কিছু লেখার লিঙ্ক এখানে তুলে ধরা হল যা আপনাদের কাজে আসতে পারে।
* কিভাবে ইতালির টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করবেন? কি কি লাগবে ইত্যাদি বিষয় জানতে এখানে ক্লিক করে জেনে নিতে পারেন।
*ইতালিতে ট্যুরিস্ট ভিসায় এসে ফেরত না গেলে কি হবে?পুলিশ ধরলে কি হবে?ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে যত প্রশ্ন ও তার উত্তর। এখানে ক্লিক করে জেনে নিন।
*ইতালিয়ান কাগজ ধারীরা কিভাবে ইংল্যান্ডের ট্যুরিস্ট ভিসার আবেদন করবেন? কি কি কাগজ পত্র লাগবে? জেনে নিন বিস্তারিত।
* ইতালিয়ান পাসপোর্ট দ্রুত পাবো কিভাবে?ও ইতালিয়ান নাগরিকত্ব পেতে সে সংক্রান্ত কিছু বিষয় না জানলেই নয়। এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।
*ইতালিয়ান পাসপোর্টের আবেদন করবো? কোন বিষয় গুলো অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে? এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জেনে নিন।
*ইউরোপের বা ইতালির পাসপোর্ট নেওয়ার সময় দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখার সুবিধা অসুবিধা গুলো জেনে রাখুন? বিস্তারিত এখানে।
*ইতালির বাস/ট্রামে/মেট্রোর বাৎসরিক টিকেট কিভাবে ২৫০ ইউরোর পরিবর্তে ১২৫ ইউরোতে করাবেন।বিস্তারিত জেনে নিন।
*ইতালির ফ্যামিলি ভিসার জন্য প্রেফেত্তুরাতে কাগজপত্র জমা দেওয়ার ৬০ দিন পরেও চিঠি না আসলে? কি করার? বিস্তারিত এখানে।
*নতুন ধারায় দেশে ফ্যামিলি ভিসা নিয়ে ইতালিয়ান দূতাবাসের হয়রানী।এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জেনে নিন।
*হাজারো অবৈধ ইমিগ্রান্টদের জন্য পর্তুগালের দরজা বন্ধ।Immigration News Update about Portugal এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জেনে নিন।
*ইতালিস্থ রোমের বাংলাদেশ দূতাবাসের জরুরী বিজ্ঞপ্তি, অনলাইন এপয়েন্টমেন্ট ব্যতীত কোন প্রকার কাজ সম্পাদন করা হবে না? বিস্তারিত এখানে।
*শুরু হয়ে গেলো ইতালিতে ব্যবসায়ীদের বাৎসরিক আয়/ব্যয়ের তথা রেদ্দিতি (UNICO) ঘোষণা দেওয়ার সময়।এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জেনে নিন।
*ইতালি ও ইউরোপে অবৈধ অভিবাসীরা চাইলে ইতালিতে বৈধ হতে পারেন?কিন্তু কিভাবে বিস্তারিত পড়ুন! এখানে ক্লিক করে।
*ইতালিতে রোড এক্সিডেন্ট হলে কিভাবে ৩০ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ পাবো? জেনে নিন বিস্তারিত।এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জেনে নিন।
*ইতালিতে নির্যাতিত নারীরা কিভাবে তাদের অধিকার,হক আদায় করবেন?কোথায় যাবেন?কি করবেন? পার্ট – ১ এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জেনে নিন।
*ইতালিতে ফ্যামিলি ভিসার ফি ১২৫০০ থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকার মতো ধার্য করা হয়েছে। এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জেনে নিন।
*সেঞ্জেন ভুক্ত ইউরোপের যেকোনো দেশের পাসপোর্ট,রেসিডেন্স কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি ডকুমেন্টস গুলো চিনে রাখুন।এখানে ক্লিক করে।
*ইতালিতে ফ্যামিলি ভিসা ছাড়া কিভাবে দ্রুত স্বামী/স্ত্রী কে টুরিস্ট ভিসায় নিয়ে আসা যায়? জেনে নিন বিস্তারিত এখানে ক্লিক করে।
* বন্ধ হল ইতালির স্টুডেন্ট ভিসায় আসার পথ। এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।
* ইউরোপে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা অথবা এণ্ট্রি ব্যান কি? কি কি কারনে আপনাকে ব্যান করতে পারে? এখানে ক্লিক করে জেনে নিতে পারেন।
* অবশেষে এপয়েন্টমেন্ট ছাড়াই ইতালির ভিসা আবেদন কেন্দ্র ভিএফএস গ্লোবালে ভিসার আবেদন জমা নিচ্ছে। এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।
* ইতালিতে ফ্যামিলি ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে পুরাতন সিস্টেম পরিবর্তন করে সম্পূর্ণ নতুন সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।
যারা ইউরোপের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন অথবা ইতালিতে ফ্যামিলি ভিসা নিয়ে নানা ধরণের সমস্যায় ভুগছেন? অথবা দেশে জমা দিয়ে ভিসা পাচ্ছেন না? বা ফ্যামিলি ভিসা থেকে শুরু করে ইতালি ও ইউরোপের যেকোনো ধরণের ভিসা সংক্রান্ত বিষয়ে আইনি সহায়তার জন্য সরাসরি আমিওপারি টিম এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
আমাদের সাথে যোগাযোগের বিস্তারিতঃ স্ক্যাইপ- amiopari টেলঃ +৩৯ ০৬২৪৪০৫২১৭ মোবাইল +৩৯ ৩৩৮১৪০৮৯১৭ (WIND)মোবাইলঃ +৩৯ ৩২০০৪১২৫৪০ (WIND) ইমেইলঃ info@amiopari.com
ঠিকানাঃ Via Delle Albizzie-27, 00172 Rome (Centocelle), Italy.
আর যারা আপনাদের ফেসবুকে আমাদের সাইটের প্রতিটি লেখা পেতে চান তারা এখানে ক্লিক করে আমাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে গিয়ে লাইক দিয়ে রাখতে পারেন। তাহলে আমিওপারিতে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা আপনার ফেসবুক নিউজ ফিডে পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ।