ব্যারিষ্টার মনজিল মোরশেদ বলেন, বিমান বন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি রোধে আদালতে মামলা করার পর চারজন অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থ্যা নেয়া হয়। প্রবাসীদের যত সমস্যা আছে তার অর্ধেক সমাধান হয়ে যাবে যদি প্রশাসন একটু সক্রিয় হয়। তিনি প্রশাসনকে আরো সক্রিয় ও আন্তরিকতার সাথে সেবা দেয়ার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী যুক্তরাজ্য প্রবাসী উত্তরায় অবস্থিত হোটেল ঢাকা প্রিমিয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আকামত আলী বলেন, বাংলাদেশ একদিন সত্যিই এগিয়ে যাবে এবং মালয়েশিয়াকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমরা প্রবাসীরা দেশের জন্য, বাংলাদেশের জন্য কিছু কাজ করতে চাই। বিনিয়োগ শুরু করার জন্য রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় ওয়ান ষ্টপ সার্ভিস দরকার। তিনি শিগগির ওয়ান ষ্টপ সার্ভিস চালু করার দাবি জানান।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী শাপলা ইয়ুথ ফোর্সের সভাপতি সানু মিয়া বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং অংশীদারিত্ব নিয়ে সমস্যার কারণেই বাংলাদেশে প্রবাসীদের বিনিয়োগ বাড়ছেনা। আত্মীয়-স্বজনরাও অনেক সময় জায়গা জমি দখল করে নেয়। এ ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে তিনি আরো সক্রিয় হবার আহবান জানান।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল অব বাংলাদেশিজ ইন ইউকে’র ওয়েলস শাখার সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ বলেন, অনেকে আছেন, দেশে বিনিয়োগ করেছেন কিন্তু লন্ডনে আবার ফিরেছেন খালি হাতে। বিনিয়োগের টাকার গ্যারান্টি দরকার। তাহলে সবাই বিনিয়োগ করবেন।
প্রবাসী সৈয়দ কামরুল ইসলাম বলেন, ওয়ান ষ্টপ সার্ভিস বিদেশে অনেক দেশেই আছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের সব বাধা দূর করতে হবে তাহলেই সবাই বিনিয়োগে উৎসাহিত হবে।
প্রবাকসের একজিকিউটিভ মেম্বার যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নেছারুল হক বুষ্টান বলেন, সরকারের পুলিশ-র্যাব কত প্রতিষ্ঠান আছে, তারা প্রবাসীদের বিমানবন্দর থেকে নিরাপদে বাড়ি পৌছে দিতে পারে, দেশে থাকাকালীন তাদের নিরাপত্তা দিলে অনেক প্রবাসীই দেশে আসতেন এবং বিনিয়োগ করতেন। তিনি বলেন, নিরাপত্তা সংকটের কারণেও আমাদের ছেলে মেয়েরা আমাদের দেশে আসতে দিতে চায়না। আপনারা দেশে থাকার মতো একটা পরিবেশ তৈরি করে দেন। আমরা দেশে এসে বিনিয়োগ করতে চাই। আমাদের ছেলেমেয়েদেরও দেশে নিয়ে আসতে চাই।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী লাইভ টু ওয়েব এর সিইও শামছুর রহমান শিমুল বলেন, কক্সবাজারে বাংলাদেশের ট্যুরিজমের অপার সম্ভাবনা রয়েছেন সেখানে আমরা স্যাটেলাইট ভিশন নামে সাগরপাড়ে প্যারা সাইক্লিংয়ের আয়োজন করেছি। আপনাদের সবাইকে আমন্ত্রণ জানাই আমাদের প্রজেক্ট ভিজিট করার জন্য।
বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন যুক্তরাজ্যের সিনিয়র সহ সভাপতি মোহাম্মাদ মঈনুল আমিন বুলবুল, প্রবাসে আমাদের প্রজন্ম অনেক এগিয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে অনেক বিদেশি লোক চাকরি করছেন অথচ আমাদের ছেলেদের কাজ করার সুযোগ দেয়া হচ্ছেনা।
হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে যদি চায়নিজরা, কোরিয়ানরা বিনিয়োগ করতে পারেন তাহলে আপনারাও বিনিয়োগ করতে পারবেন। আপনারা আসুন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন আমরা আপনাদের সবাইকে সহযোগীতা করবো।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সৌদি আরবের কিং সৌদ ইউনিভারসিটির কনসালটেন্ট ডাঃ সমীর দত্ত বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য বিদেশিদের খুঁজে আনার দরকার নেই। দেশে বিনিয়োগ করার জন্য প্রবাসী অনেকেই আছেন। আমি আমার প্রবাসী বন্ধুদের নিয়ে বাংলাদেশে একটি স্পেশালাইজড হাসপাতাল করতে চাই। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সিভিল সার্জন, সিটি কর্পোরেশন, জয়েন্ট ষ্টক কোম্পানী, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিনিয়োগ বোর্ড, বিআরটিএ, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস এতো জায়গায় দৌড়াতে চাইনা। আমাদের বিনিয়োগের জন্য প্রক্রিয়াগুলো আরো সহজ করে দেন।
অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রীস প্রবাসী রিপন ফকির বলেন, বাংলাদেশের সরকার পরিচালনা কিংবা নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে প্রবাসীদের কোনো অংশগ্রহন নেই। প্রবাসী সমস্যার কথা সরকারি পর্যায়ে তুলে ধরার মতো কেউ নেই। সংসদে প্রবাসীদের প্রতিনিধি নেই। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় করা হয়েছে কিন্তু সেই দফতরের মন্ত্রীও প্রবাসী নয়। প্রবাসী দের মধ্যে অনেক যোগ্যতম ব্যক্তি আছেন তাদের মধ্য থেকে প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করার দাবি জানান তিনি।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন গ্রেটার ম্যানচেষ্টার বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ আমিন, বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন যুক্তরাজ্যের সিনিয়র সহ সভাপতি মোহাম্মাদ মঈনুল আমিন বুলবুল প্রমুখ।
সমাপনী বক্তব্যে প্রবাকসের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান বজলু চৌধুরী বলেন, আমাদের প্রবাসীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চান। বিনিয়োগের সব বাধা দূর করতে হবে। প্রবাসীদের জন্য সহজ শর্তে ব্যাংক ঋনের ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে হাজার হাজার কোটি টাকা অলস পড়ে থাকে অথচ বিনিয়োগ হচ্ছেনা। আমরা বিনিয়োগ করতে চাই এবং বাংলাদেশে প্রবাসী দের বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের সাথে কাজ করতে চাই।সী মূলধারার রাজনীতিবিদ হেলডনের কমিশনার দেওয়ান বজলু চৌধুরী। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন সংগঠনের গ্লোবাল কো-অর্ডিনেটর সাংবাদিক ওমর আলী।
ব্যারিষ্টার মনজিল মোরশেদ বলেন, বিমান বন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি রোধে আদালতে মামলা করার পর চারজন অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থ্যা নেয়া হয়। প্রবাসীদের যত সমস্যা আছে তার অর্ধেক সমাধান হয়ে যাবে যদি প্রশাসন একটু সক্রিয় হয়। তিনি প্রশাসনকে আরো সক্রিয় ও আন্তরিকতার সাথে সেবা দেয়ার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী যুক্তরাজ্য প্রবাসী উত্তরায় অবস্থিত হোটেল ঢাকা প্রিমিয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আকামত আলী বলেন, বাংলাদেশ একদিন সত্যিই এগিয়ে যাবে এবং মালয়েশিয়াকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমরা প্রবাসীরা দেশের জন্য, বাংলাদেশের জন্য কিছু কাজ করতে চাই। বিনিয়োগ শুরু করার জন্য রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় ওয়ান ষ্টপ সার্ভিস দরকার। তিনি শিগগির ওয়ান ষ্টপ সার্ভিস চালু করার দাবি জানান।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী শাপলা ইয়ুথ ফোর্সের সভাপতি সানু মিয়া বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং অংশীদারিত্ব নিয়ে সমস্যার কারণেই বাংলাদেশে প্রবাসীদের বিনিয়োগ বাড়ছেনা। আত্মীয়-স্বজনরাও অনেক সময় জায়গা জমি দখল করে নেয়। এ ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে তিনি আরো সক্রিয় হবার আহবান জানান।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল অব বাংলাদেশিজ ইন ইউকে’র ওয়েলস শাখার সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ বলেন, অনেকে আছেন, দেশে বিনিয়োগ করেছেন কিন্তু লন্ডনে আবার ফিরেছেন খালি হাতে। বিনিয়োগের টাকার গ্যারান্টি দরকার। তাহলে সবাই বিনিয়োগ করবেন।
প্রবাসী সৈয়দ কামরুল ইসলাম বলেন, ওয়ান ষ্টপ সার্ভিস বিদেশে অনেক দেশেই আছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের সব বাধা দূর করতে হবে তাহলেই সবাই বিনিয়োগে উৎসাহিত হবে।
প্রবাকসের একজিকিউটিভ মেম্বার যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নেছারুল হক বুষ্টান বলেন, সরকারের পুলিশ-র্যাব কত প্রতিষ্ঠান আছে, তারা প্রবাসীদের বিমানবন্দর থেকে নিরাপদে বাড়ি পৌছে দিতে পারে, দেশে থাকাকালীন তাদের নিরাপত্তা দিলে অনেক প্রবাসীই দেশে আসতেন এবং বিনিয়োগ করতেন। তিনি বলেন, নিরাপত্তা সংকটের কারণেও আমাদের ছেলে মেয়েরা আমাদের দেশে আসতে দিতে চায়না। আপনারা দেশে থাকার মতো একটা পরিবেশ তৈরি করে দেন। আমরা দেশে এসে বিনিয়োগ করতে চাই। আমাদের ছেলেমেয়েদেরও দেশে নিয়ে আসতে চাই।
প্রবাসী লাইভ টু ওয়েব এর সিইও শামছুর রহমান শিমুল বলেন, কক্সবাজারে বাংলাদেশের ট্যুরিজমের অপার সম্ভাবনা রয়েছেন সেখানে আমরা স্যাটেলাইট ভিশন নামে সাগরপাড়ে প্যারা সাইক্লিংয়ের আয়োজন করেছি। আপনাদের সবাইকে আমন্ত্রণ জানাই আমাদের প্রজেক্ট ভিজিট করার জন্য।
বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন যুক্তরাজ্যের সিনিয়র সহ সভাপতি মোহাম্মাদ মঈনুল আমিন বুলবুল, প্রবাসে আমাদের প্রজন্ম অনেক এগিয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে অনেক বিদেশি লোক চাকরি করছেন অথচ আমাদের ছেলেদের কাজ করার সুযোগ দেয়া হচ্ছেনা।
হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে যদি চায়নিজরা, কোরিয়ানরা বিনিয়োগ করতে পারেন তাহলে আপনারাও বিনিয়োগ করতে পারবেন। আপনারা আসুন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন আমরা আপনাদের সবাইকে সহযোগীতা করবো।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সৌদি আরবের কিং সৌদ ইউনিভারসিটির কনসালটেন্ট ডাঃ সমীর দত্ত বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য বিদেশিদের খুঁজে আনার দরকার নেই। দেশে বিনিয়োগ করার জন্য প্রবাসী অনেকেই আছেন। আমি আমার প্রবাসী বন্ধুদের নিয়ে বাংলাদেশে একটি স্পেশালাইজড হাসপাতাল করতে চাই। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সিভিল সার্জন, সিটি কর্পোরেশন, জয়েন্ট ষ্টক কোম্পানী, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিনিয়োগ বোর্ড, বিআরটিএ, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস এতো জায়গায় দৌড়াতে চাইনা। আমাদের বিনিয়োগের জন্য প্রক্রিয়াগুলো আরো সহজ করে দেন।
অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রীস প্রবাসী রিপন ফকির বলেন, বাংলাদেশের সরকার পরিচালনা কিংবা নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে প্রবাসীদের কোনো অংশগ্রহন নেই। প্রবাসী সমস্যার কথা সরকারি পর্যায়ে তুলে ধরার মতো কেউ নেই। সংসদে প্রবাসীদের প্রতিনিধি নেই। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় করা হয়েছে কিন্তু সেই দফতরের মন্ত্রীও প্রবাসী নয়। প্রবাসী দের মধ্যে অনেক যোগ্যতম ব্যক্তি আছেন তাদের মধ্য থেকে প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করার দাবি জানান তিনি।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন গ্রেটার ম্যানচেষ্টার বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ আমিন, বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন যুক্তরাজ্যের সিনিয়র সহ সভাপতি মোহাম্মাদ মঈনুল আমিন বুলবুল প্রমুখ।
সমাপনী বক্তব্যে প্রবাকসের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান বজলু চৌধুরী বলেন, আমাদের প্রবাসীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চান। বিনিয়োগের সব বাধা দূর করতে হবে। প্রবাসীদের জন্য সহজ শর্তে ব্যাংক ঋনের ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে হাজার হাজার কোটি টাকা অলস পড়ে থাকে অথচ বিনিয়োগ হচ্ছেনা। আমরা বিনিয়োগ করতে চাই এবং বাংলাদেশে প্রবাসী দের বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের সাথে কাজ করতে চাই।