ডি.সি. ম্যারিল্যান্ড এবং ভার্জিনিয়া এলাকায় বসবাসরত প্রায় ৬০০ অধিক প্রবাসী বাঙালি এবং অনেক আমেরিকান দর্শকদের উপস্থিতিও অনুষ্ঠানটিতে চোখে পড়ে। একটি নাটিকা দিয়েই ‘‘একুশ এনেছে বর্ণমালার অধিকার” শীর্ষক অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। মূলত: নাটিকাতে তুলে ধরা হয় কতটা ভিন্ন উপায়ে বর্তমান প্রবাসী তরুণ প্রজন্ম নিজেদের ভাষা আন্দোলনের গর্বিত ইতিহাস জানতে পারে এবং তারা কী উপায়ে তা নিজেদের মাঝে ধারণ করে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে ছিলো শিশুদের অংশ, যেখানে তারা নৃত্য , গান, ধারা বর্ণনা এবং নাট্যাভিনয়ের মাধ্যমে আমাদের মাতৃ ভাষা আন্দোলনকে উপস্থাপন করে।
অনুষ্ঠানের তৃতীয় এবং সর্বশেষ অংশটিতে ছিলো পুঁথিপাঠ, আবৃত্তি, নাচ এবং গণসঙ্গীতের আয়োজন, যেখানে তুলে ধরা হয়েছে মহান একুশসহ বাঙ্গালীর স্বাধীনতার ইতিহাস এবং তাৎপর্যকে।
অনুষ্ঠান শেষে “ডিসি একুশে এলাইয়েন্স”এর পক্ষ থেকে যৌথ ভাবে, তথা স্বক্রিয় অংশগ্রহণকারী সংগঠন সমূহ, ও অন্যান্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক, প্রকৌশলী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং শিল্পী ও সকল দর্শকবৃন্দ, ফুল বিছিয়ে একুশের ভাষা শহীদদের প্রতি তাদের বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন মঞ্চের বেদীতে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে।
অনুষ্ঠানে ডিসি মেট্রো এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিশিষ্ট গন্যমান্য সুধীজনরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিসি একুশে অ্যালাইয়েন্সের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ফোরাম এর সভাপতি ড: মিজানুর রহমান।
পুরো অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত সুন্দর ভাবে সঞ্চালনা করেন শতরূপা বড়ুয়া এবং ফয়সাল কাদের ।