শুভেচ্ছা বক্তব্যে মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সকলকে সমবেত অতিথিদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান এবং প্রবাসীদের জন্য সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ পূর্বক প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে অর্জিত জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতাও বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজে লাগানো আহ্বান জানান।। স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত জনাব শেখ মুহম্মদ বেলাল বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রায় নেদারল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশীদের সামিল হওয়ার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ব্রাসেলস থেকে আগত রাষ্ট্রদূত ইসমাত জাহান।
অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশী শিশুদের সাংস্কৃতিক উপস্হাপনা সকলের প্রশংসা কুড়ায়। বাঙালী সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশী শিল্পীরা সুরে সুরে মুগ্ধ করেন উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের। অনুষ্ঠানে অংশ নেন স্থানীয় ভারতীয় দূতাবাস কর্তৃক মনোনীত ভারতীয় শিল্পীবৃন্দ। ইউরোপে সাড়া জাগানো এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে জার্মানী, পোল্যন্ড, বেলজিয়াম ও যুক্তরাজ্য সহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী বাঙালীরা যোগ দেন।
আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠ্নের অন্যতম আকর্ষণ ছিল নেদারল্যন্ডের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঙালী ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবেশনা। অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষন ছিল দূতাবাসের আমন্ত্রণে আগত বিশিষ্ট লোকসংগীত শিল্পী মমতাজ বেগমের পরিবেশনা। স্বভাব-সুলভ হাস্যরসাত্মক পরিবেশনায় শ্রোতাদের মাতিয়ে তুলেন জনপ্রিয় এ শিল্পী। নানা রঙের বাহারী পোষাকে সজ্জিত ছোট্ট শিশুরা বাংলাদেশের পতাকা সহ বিভিন্ন ফেস-পেইন্টিং করে এবং মমতাজের গানের তালে তালে নৃত্য করে। দূতাবাস কর্তৃক পরিবেশিত মধ্যাহ্ন ভোজের মেনুতে বিভিন্ন খাবারের মধ্যে ছিল ইলিশ মাছ সহ বিভিন্ন রকম ভর্তা-ভাজি। বর্ষবরণ উপলক্ষে দি হেগস্থ বাংলাদেশ হাউজের মূল ফটক থেকে শুরু করে বৈঠকখানা, আঙিনা সাজানো হয় সম্পুর্ণ দেশীয় আঙ্গিকে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গণমাধ্যম পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বিশেষ ফিচারও প্রকাশ করে।অপরূপ এবং সম্ভাবনাময় বাংলাদেশকে তুলে ধরা হয় নয়নাভিরাম বিভিন্ন ব্যানার-পোষ্টারে – যেন প্রাণপ্রিয় সংস্কৃতিকে ধারন করে নেদারল্যান্ডের বুকে জেগে উঠেছে ছোট্ট একটি বাংলাদেশ ।