• u. Nov ২১, ২০২৪

আমিওপারি ডট কম

ইতালি,ইউরোপের ভিসা,ইম্মিগ্রেসন,স্টুডেন্ট ভিসা,ইউরোপে উচ্চ শিক্ষা

যারা ইতালিতে ২০১৫ সালের স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে চান এবং যাদের ইতিমধ্যে আই ও এম করা রয়েছে তাদের শেষ সময় ২৮ শে ফেব্রুয়ারী।

ByLesar

Feb 8, 2015

প্রিয় আমিওপারির সম্মানিত পাঠক বৃন্দ আশা করি আপনারা মহান সৃষ্টি কর্তার অশেষ রহমতে সবাই ভালোই আছেন। বরাবরের মতো আমিওপারি টিম, আপনারা যারা ইতালিতে উচ্চ শিক্ষার জন্য আবেদন করতে চান তাদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে হাজির।

আজ আমরা ইতালিতে স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন সংক্রান্ত কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় জানবো। ইতালিতে বছরে দুইবার উচ্চ শিক্ষার জন্য আবেদন করা যায়। এর মধ্যে যারা ব্যাচেলর প্রোগ্রামে আবেদন করবেন? তাদের জন্য বছরে একবার আবেদন করার সুযোগ থাকে, আর সেটা, বছরের শুরুর দিকে তথা জানুয়ারী থেকে ফেব্রুয়ারীর মদ্ধেই আবেদন করার কার্যক্রম শুরু করে দিতে হয়। আর যারা মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদন করতে চান!!তাদের জন্য বছরে দুইটি সুযোগ দেওয়া হয়। যেটা বছরের শুরুর দিকে তথা জানুয়ারী থেকে ফেব্রুয়ারীর মদ্ধে এবং দ্বিতীয়টি বছরের শেষের দিকে তথা সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে আবেদন করার কার্যক্রম শুরু করে দিতে হয়।

তবে এখানে আমাদের একটি বিষয় ভালো করে লক্ষ্য রাখতে হবে মানে যারা জানেন না? তাদের জেনে রাখতে হবে যেঃ যারা একবারে নতুন তাদের জানুয়ারীর মদ্ধেই ব্যাচেলর প্রোগ্রাম বা মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদন করার কার্যক্রম শুরু করে দিতে হবে, অন্যথায় তারা আর সময় মতো বিভিন্ন ডকুমেন্টস পেশ করতে পারবেন না। তবে যাদের আই ও এম করা রয়েছে শুধু মাত্র তারাই ব্যাচেলর প্রোগ্রাম বা মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য চাইলে ফেব্রুয়ারীতেও আবেদন করার কার্যক্রম শুরু করে সম্পূর্ণ কাজ সম্পাদন করতে পারবেন। ঠিক একি বিষয় যারা বছরের শুরুতে মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারেন নি? এবং যারা একবারে নতুন তারা চাইলে বছরের শেষের দিকে তথা দ্বিতীয় ধাপে মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করার কার্যক্রম শুরু করে দিতে পারেন। তবে যাদের আই ও এম করা রয়েছে তারা চাইলে অক্টোবরের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

কি বুঝতে সমস্যা হচ্ছে? তাহলে এখানে আরও সহজ করে বুঝিয়ে দিচ্ছি। উপরের কথা থেকে আমরা একটি বিষয় বুঝতে পারলাম!! যে…… যাদের ইতিমধ্যে আই ও এম করা রয়েছে তারা চাইলে ব্যাচেলর প্রোগ্রাম বা মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য জানুয়ারীতে আবেদন করতে না পারলেও ফেব্রুয়ারীতে আবেদন করতে পারবেন। আবার যারা মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে চান? এবং যাদের আই ও এম করা রয়েছে। কিন্তু মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করার প্রথম ঘোষণা তথা জানুয়ারী বা ফেব্রুয়ারীর মধ্যেও আবেদন করতে পারেন নি!! তারা চাইলে মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য দ্বিতীয় ঘোষণা তথা সেপ্টেম্বর মাসে আবেদন করতে না পারলেও অক্টোবর মাসে আবেদন করতে পারবেন। বন্ধুরা আশা করি আপনাদের বুঝাতে পেরেছি।

এবার আসুন আমরা জেনে নেই উপরের লেখাতে আমরা বার বার আই ও এম, আই ও এম কথাটি উল্লেখ্ করেছি। এবং আমরা জানি আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন। যারা মনে মনে নিজেকে প্রশ্ন করছেন? যে… সব কিছুই তো বুঝলাম!! কিন্তু এই “আই ও এম” জিনিসটা আসলে কি?

হ্যাঁ বন্ধুরা আমিওপারি টিম আপনাদের মনের কথা বুঝতে পারে। আর তাই আমরা এখন আপনাদের কাছে এই “আই ও এম” জিনিসটি সম্পর্কে একটি ধারণা দিয়ে দিচ্ছি।

আই ও এম (IOM) সংক্ষেপে! যার সম্পূর্ণ উচ্চারণ “ International Organization for Migration ” বাংলায় হচ্ছে “মাইগ্রেশনের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ” আর এই সংস্থার প্রধান কাজ হচ্ছে আপনাদের যাবতীয় ডকুমেন্টস গুলো সঠিক নিয়মে ও সঠিক যায়গা থেকে সিল সপ্পর সহ বিভিন্ন কার্যালয়ের প্রধান কর্মকর্তা দের হস্তখর হয়ে এসেছে, যেই বিষয়ে যাচাই বাচাই করে চূড়ান্ত ভাবে অনুমতি দেওয়া। মানে আরও সহজ করে বুঝিয়ে বলি, যেমন আপনার যে মার্কশিট ও সার্টিফিকেট রয়েছে সেটা কিন্তু বোর্ড থেকে দেওয়া ইংরেজিতে থাকে। আর আপনার এই মার্কশিট ও সার্টিফিকেট গুলোর মূল্য শুধু দেশেই রয়েছে কিন্তু যখন আপনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তথা ইতালি বা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যখন এগুলো উপস্থাপন করতে যাবেন, তখন কিন্তু শুধু এই সার্টিফিকেট গুলোর কোন মূল্য নেই ওদের কাছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত এগুলো আই ও এম থেকে ভেরিফাই করানো না হচ্ছে।

আর আই ও এম সংস্থার কাছে আপনার এই সার্টিফিকেট ভেরিফাই করাতে হলে আপনাকে যা যা করতে হবে?

  • প্রথমে আপনার এই সার্টিফিকেট গুলো যে বোর্ড থেকে আপনি পাশ করেছেন সেই বোর্ডে গিয়ে  সেখান থেকে সিল সপ্পর ও বোর্ডের বর্তমান কর্মরত কর্মকর্তাদের হাতে সই করিয়ে আনতে হবে “সহজ ভাষায় ভেরিফিকেশন ও এটাসটেশন করানো বলতে যা বুঝি”।
  • এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা “এডুকেশন মিনিস্ট্রি” থেকেও সেই একি কাজ করিয়ে আনতে হবে।
  • তার পর রয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের তথা “ফরেন মিনিস্ট্রির” সিল সপ্পর ও হস্তক্ষেপ।
  • তার পর সেই গুলো নিয়ে যেতে হবে নির্দিষ্ট দেশের অনুমোদন কৃত ট্রান্সলেটর বা অনুবাদকারীদের কাছে।
  • ওদের কাছ থেকে অনুবাদ করিয়ে আনার পর সব শেষে যেতে হবে “আই ও এম” সংস্থার কাছে। আর এভাবেই আই ও এম সংস্থা আপনার সকল ডকুমেন্টস যাচাই বাচাই করে আপনাকে আপনার ডকুমেন্টস বুঝিয়ে দিবে। তোঁ বন্ধুরা আশা করি এবার আপনাদের এই “আই ও এম” করানো সম্পর্কে মোটামুটি কিছু ধারণা দিতে পারলাম।

এবার আসি কাজের কথায়ঃ যারা গত বছর ইতালিতে উচ্চ শিক্ষার জন্য আবেদন করার জন্য তাদের সার্টিফিকেট গুলো “আই ও এম” করিয়ে  ছিলেন!!  কিন্তু দুর্ভাগ্য ক্রমে গত বার ভার্সিটির ইনভাইটেশন বা দেশে ইতালিস্থ দূতাবাসে এপয়েন্টমেন্ট নিতে না পারার কারনে আসতে পারেন নি। শুধু মাত্র তারাই চাইলে এ বছরের জন্য আবেদন করার জন্য দেরি না করে আজই আমাদের টিম এর সাথে যোগাযোগ করুণ। আমাদের টিম আপনাদের সকল ধরণের সাহায্য ও সহযোগিতা করে আপনাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে আসবে। তবে এর জন্য আপনাদের অবশ্যই আমিওপারির প্রধান কার্যালয়ে তথা ইতালির রোমের “চেন্তচেল্লে” অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। তবে যারা দেশে রয়েছেন তারা সরাসরি আমিওপারির অফিসিয়াল স্ক্যাইপ আইডি ( amiopari ) তে কল করেও বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন। আমাদের সাথে যোগাযোগ করার বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুণ। 

আর যারা আপনাদের ফেসবুকে আমাদের সাইটের প্রতিটি লেখা পেতে চান তারা এখানে ক্লিক করে আমাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে গিয়ে লাইক দিয়ে রাখতে পারেন। তাহলে আমিওপারিতে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা আপনার ফেসবুক নিউজ ফিডে পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ।

সম্পর্কিত আরো কিছু পোস্ট দেখতে পারেন...

Lesar

আমিওপারি নিয়ে আপনাদের সেবায় নিয়োজিত একজন সাধারণ মানুষ। যদি কোন বিশেষ প্রয়োজন হয় তাহলে আমাকে ফেসবুকে পাবেন এই লিঙ্কে https://www.facebook.com/lesar.hm

One thought on “যারা ইতালিতে ২০১৫ সালের স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে চান এবং যাদের ইতিমধ্যে আই ও এম করা রয়েছে তাদের শেষ সময় ২৮ শে ফেব্রুয়ারী।”
  1. Dear
    Nice your concern on student going abroad like Italy. so please you just send how much money for student visa purpose if we come including all. how much tuition fee there. Thank you

    My Mobile no. 01914804266

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *