• u. Nov ২১, ২০২৪

আমিওপারি ডট কম

ইতালি,ইউরোপের ভিসা,ইম্মিগ্রেসন,স্টুডেন্ট ভিসা,ইউরোপে উচ্চ শিক্ষা

রোম ও মিলান দূতাবাসে কিভাবে নিজে নিজেই (MRP) মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন ভিডিও টিউটোরিয়াল সহ পুরনাঙ্গ গাইডলাইন।

ByLesar

Oct 25, 2014

প্রিয় আমিওপারির সম্মানিত পাঠক বৃন্দ শুরুতেই মহান সৃষ্টি কর্তার নাম নিয়ে শুরু করছি।আশা করি আপনারা মহান আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে ভালোই আছেন।ইতালির নগরী মিলানের পর এবার রোমের বাংলাদেশ দূতাবাসেও শুরু করা হয়েছে (MRP) মেশিন রিডেবল বা ডিজিটাল পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া।তবে অনেকেরি এই বিষয়টি সম্পর্কে এখনো তেমন কোন ধারণা নেই এবং অনেকের মনেই বিষয়টি নিয়ে নানা ধরণের প্রশ্ন সহ তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তিত।আর তাই আজকে আমিওপারি টিম আপনাদের কাছে ডিজিটাল পাসপোর্ট সংক্রান্ত সকল তথ্য ও কিভাবে কি করবেন? এর পরিপূর্ণ বিষয় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন ভিডিও টিউটোরিয়াল সহ খুব সহজ ভাবে আপনাদের বুঝিয়ে দিবে। যাতে করে আপনারা যারা ফেসবুক ব্যবহার করেন বা ইন্টারনেট দিয়ে কোন পত্রিকা পড়ার মতো সামান্য ধারণা রাখেন তাদের সবাই নিজে নিজেই এর আবেদন করতে পারবেন।এবং সবাইকে বলতে পারেন যে এখন “আমিওপারি” নিজে নিজেই অনলাইনে ডিজিটাল পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে।

তাহলে বন্ধুরা আসুন দেখে নেই কি ভাবে কি করতে হবে? এবং এর কার্যক্রম পদ্ধতি।

আসলে বিষয় অনেক সহজ।অনেকটা পানির মতো পরিস্কার এবং আপনি একবার মনোযোগ দিয়ে আমাদের এই লেখা ও ভিডিও টিউটোরিয়াল গুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন, যে কতো সহজ একটি বিষয়।তবে আপনাকে অবশ্যই ইন্টারনেট সম্পর্কে সাধারণ বা নুন্মতম ধারণা থাকতে হবে।এখানে আমরা এর সম্পূর্ণ কার্যক্রম পদ্ধতি কয়েকটি ধাপে আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি। যাতে করে আপনারা ডানে বামে না তাকিয়ে একবারেই বুঝে নিতে পারেন সম্পূর্ণ বিষয়টি।

ধাপ-১

অনলাইনে ডিজিটাল পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করার জন্য সবার প্রথম আপনার নিজের একটি ইমেইল এড্রেস থাকতে হবে(যাদের ইমেইল এড্রেস নেই বা ইমেইল সম্পর্কে জানেন না? তারা এখানে ক্লিক করে ইমেইল কি? এবং কিভাবে নিজে নিজে ইমেইল তৈরি করবেন তার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।) ওকে ধরে নিলাম আপনি নিজের নামে একটি ইমেইল তৈরি করেছেন। এবার নিচের দ্বিতীয় ধাপটি ভালো করে লক্ষ্য করুন।

ধাপ-২

যেহেতু এটি আগের মতো সেই “এনালগ” মানে হাতে লেখা পাসপোর্ট নয়।তাই ডিজিটাল পাসপোর্ট এর জন্য কিছু বিষয় আমাদের অবশ্যই মেনে চলতে হবে। কারন এটি ডিজিটাল পাসপোর্ট তথা (MRP) মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট। এবং এর জন্য আমাদের সকলকেই জন্ম নিবন্ধন বা Birth Registration করাতে হবে।

জন্ম নিবন্ধন কি?

জন্ম নিবন্ধন হলো জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ২৯ নং আইন) এর আওতায় একজন মানুষের নাম, লিঙ্গ, জন্মের তারিখ ও স্থান, বাবা-মায়ের নাম, তাদের জাতীয়তা এবং স্থায়ী ঠিকানা নির্ধারিত নিবন্ধক কর্তৃক রেজিস্টারে লেখা বা কম্পিউটারে এন্ট্রি প্রদান এবং জন্ম সনদ প্রদান করা।

জন্ম নিবন্ধন কি কি কাজে লাগে?

ক) পাসপোর্ট ইস্যু খ) বিবাহ নিবন্ধন গ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ঘ) সরকারী, বেসরকারী বা স্বায়ত্বশাসিত সংস্থায় নিয়োগদান ঙ) ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু চ) ভোটার তালিকা প্রণয়ন ছ) জমি রেজিষ্ট্রেশন জ) ব্যাংক হিসাব খোলা ঝ) আমদানি ও রপ্তানী লাইসেন্স প্রাপ্তি ঞ) গ্যাস, পানি, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তি ট) ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) প্রাপ্তি ঠ) ঠিকাদারী লাইসেন্স প্রাপ্তি ড) বাড়ির নক্সা অনুমোদন প্রাপ্তি ঢ) গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্তি ন) ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি ও ত) জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তি।আবার আপনি বাংলাদেশের বাহিরে আছেন? যেমন আপনার পাসর্পোট জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও কাজে লাগবে।এবং আমরা যারা এর মধ্যে কখনো জন্ম নিবন্ধন করাই নি!! তাদের প্রত্যেককেই জন্ম নিবন্ধন করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

জন্ম নিবন্ধন সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য।

১৮৭৩ সালের ২রা জুলাই তদানীন্তন বৃটিশ সরকার অবিভক্ত বাংলায় জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত আইন জারী করে। কালের পরিক্রমায় ১১৮ বৎসরে ভৌগোলিক, রাজনৈতিক ও সেই সঙ্গে আইনের নানান পরিবর্তন সত্ত্বেও দেশের তাবৎ মানুষ জন্ম নিবন্ধনের আওতায় না আসায় ২০০১-২০০৬ সালে ইউনিসেফ-বাংলাদেশ এর সহায়তায় পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ২৮টি জেলায় ও ৪টি সিটি কর্পোরেশনে জন্ম নিবন্ধনের কাজ নতুনভাবে আরম্ভ হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৮৭৩ সালের আইন রদ ও রহিত করে সরকার ২০০৪ সনের ৭ ডিসেম্বর ২৯ নং আইন অর্থাৎ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ প্রবর্তন করে। আইনটি ২০০৬ সালের ৩ জুলাই হতে কার্যকর হয়। ২০০১-২০০৬ সালের পাইলট প্রকল্পের শেষে প্রকল্পটি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন প্রকল্প (২য় পর্যায়) নামে ২০০৭ সালে আরম্ভ হয়ে জুন ২০১২ সালে শেষ হয়। বর্তমানে প্রকল্পটির ৩য় পর্যায়ের কার্যক্রম জুলাই ২০১২ থেকে শুরু হয়ে ২০১৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত চলবে। প্রকল্পটির আর্থিক সহায়তাকারী সংস্থা ইউনিসেফ-বাংলাদেশ। প্রকল্পটির বিপরীতে মোট বরাদ্দ ১৮০০.০০ লক্ষ টাকা; তন্মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অংশ ১১০০.০০ লক্ষ টাকা (জন্ম নিবন্ধক কার্যালয়সমূহের আদায়কৃত জন্ম নিবন্ধন ফিস হতে ১০০০ লক্ষ টাকা ম্যানুয়াল বই হতে অনলাইনে এন্ট্রির ব্যয় নির্বাহসহ) ও প্রকল্প সাহায্য ৭০০.০০ লক্ষ টাকা। সারাদেশে ১৫কোটির অধিক লোকের জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। দেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড ও ৩৬টি দূতাবাসে বর্তমানে অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের কাজ চলছে এবং প্রবাসে বাংলাদেশি দূতাবাস গুলোতেও এর কার্যক্রম চলছে এবং চলবে। কাজেই যারা প্রবাসে রয়েছেন তারা আপনাদের নিজ নিজ স্থানীয় দূতাবাসে গিয়েও এই জন্ম নিবন্ধন করিয়ে নিতে পারেন।

ওকে~ উপরের তথ্য গুলো থেকে আমরা জন্ম নিবন্ধন সম্পর্কে ধারণা নিলাম। এবার আসুন কাজের কথায়। আমাদের মধ্যে যারা ইতিমধ্যে জন্ম নিবন্ধন বা ভোটার আইডি কার্ড করিয়েছেন তাদের সকলের ভোটার আইডি কার্ডের উপর ১৩ ডিজিট এর এবং জন্ম নিবন্ধন সনদপত্রের উপর ১৭ ডিজিটের সনাক্ত করন একটি নাম্বার রয়েছে। আর সেই নাম্বার দিয়েই আপনি আপনার জন্য অনলাইনে ডিজিটাল পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর যারা এর মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করান নি? তারা ভালো করে নিচের ভিডিওটি দেখুন তাহলেই বুঝতে পারবেন। কিভাবে অনলাইনে আপনার জন্ম নিবন্ধন করাবেন?

[youtube c2NuXZ4DxTg?modestbranding=1&rel=0 nolink]

এবার উপরের ভিডিওতে যেভাবে বলা হয়েছে। অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের ওয়েব সাইটে যেতে এখানে ক্লিক করুন এবং ভিডিওতে যেভাবে বলা হয়েছে। সেভাবে আপনার জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পাদন করে সেখান থেকে সেই নাম্বারটি খুব যত্ন করে টুকে রাখুন বা আপনি চাইলে সেখান থেকে Print নামক বাটনে ক্লিক করে সেই পেজটি প্রিন্ট করে আপনার কাছে যত্ন করে রেখে দিন। এবং অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ফর্মটি সম্পূর্ণ করার পর থেকে ১৫ দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট দূতাবাসে গিয়ে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র সংগ্রহ করুন। ১৭ ডিজিট এর জন্ম নিবন্ধন বা Birth Registration নম্বর সম্বলিত জন্মসনদপত্র নেওয়ার জন্য আপনার খরচ পড়বে ৪.০০ ইউরো।

(উল্লেখ্য উপরের ভিডিওটিতে আমরা বলেছিলাম যারা বাংলা টাইপ করতে পারেন না? মানে কিভাবে কম্পিউটার দিয়ে বাংলা টাইপ করতে হয়? বা বাংলা লেখার জন্য কিভাবে কি করবেন? সেই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য এখানে ক্লিক করে আমিওপারিতে পূর্বে প্রকাশিত বাংলা লেখার উপর গাইডলাইনটি ভালো করে পড়ে ও দেখে, শিখে নিতে পারেন।)

ধাপ- ৩

এবার জন্ম নিবন্ধন করা হয়ে যাওয়ার পর আপনাকে ডিজিটাল পাসপোর্ট এর জন্য আপনার নির্দিষ্ট এলাকার দূতাবাস কনস্যুলেট এর কাছে এপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। এপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার জন্য আপনাকে দূতাবাসের কাছে ইমেইল পাঠাতে হবে।

ইতালিস্থ রোম দূতাবাসের কাছে ইমেইল পাঠানোর ঠিকানাঃ  mrpromeit@gmail.com

ইতালিস্থ মিলান দূতাবাসের কাছে ইমেইল পাঠানোর ঠিকানাঃ  info@bcgmilan.com

মনে রাখবেন দূতাবাসের কাছে ইমেইল পাঠানোর সময় সেখানে যে যে বিষয় গুলো উল্লেখ করতে হবে বা কিভাবে লিখে দূতাবাসের কাছে ইমেইল পাঠাবেন তা আমরা নিচে লিখে দিলাম।

বিষয়ঃ ডিজিটাল পাসপোর্ট এর জন্য এপয়েন্টমেন্ট

বরাবর রোম কনস্যুলেট ,

আমি ডিজিটাল পাসপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য আপনাদের কাছে একটি এপয়েন্টমেন্ট চাচ্ছি।

আমার সম্পর্কে বিস্তারিতঃ

Surname:  Mohammad   

Name:  Rasel   

Passport no:  E465758475

Date of birth: 14-14-1979

Birth Registration number: 12344553445678567

Cell: 3365178906

ওকে উপরের নীল রঙ্গের লেখা গুলোয় যেভাবে দেওয়া হয়েছে সেভাবে আপনি আপনার বিস্তারিত তথ্য দিয়ে একটি ইমেইল লিখে দূতাবাসের কাছে পাঠিয়ে দিন। মনে রাখবেন ইমেইলে আমাদের যে যে বিষয় গুলো উল্লেখ করতে হবে? (আপনার আসল নাম, আপনার ডাক নাম, আপনার পুরানো পাসপোর্ট এর নাম্বার(যদি থাকে), আপনার জন্ম তারিখ, আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদপত্রের ১৭ ডিজিট নাম্বার অথবা যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ড থাকে তাহলে তার ১৩ ডিজিট নাম্বার এবং সব শেষে আপনার মোবাইল নাম্বার।

ইত্যাদি তথ্য দিয়ে আপনার নির্দিষ্ট এলাকার দূতাবাস কনস্যুলেট এর কাছে উপরে দেওয়া ইমেইল এড্রেসে পাঠিয়ে দিন। দূতাবাসের কাছে আপনার ইমেইল প্রেরন করার পর প্রতিদিন একবার করে আপনার ইমেইল কন্ট্রোল করুন। কারন আপনাকে দূতাবাসের পক্ষ থেকে আপনার প্রেরন করা ইমেইল এড্রেসে আপনার এপয়েন্টমেন্ট এর দিন,ক্ষণ ইত্যাদি বিষয় জানিয়ে দেওয়া হবে। এবং আপনি দূতাবাস থেকে পাওয়া ইমেইল পড়ার সাথে সাথে তাদের কাছে তার প্রতিউত্তর হিসেবে জানিয়ে দিন, যে আপনি তাদের কাছ থেকে আসা ইমেইলটি পড়েছেন এবং আপনার ডিজিটাল পাসপোর্ট এর জন্য কবে দূতাবাসে যেতে হবে সেই বিষয়ে ধারণা রাখেন। তাহলে দূতাবাস আপনার প্রেরন করা প্রতিউত্তরে বুঝতে পারবে যে, আপনি তাদের পাঠানো ইমেইলটি পড়েছেন এবং আপনার এপয়েন্টমেন্ট এর দিন,ক্ষণ সম্পর্কে জানেন। আর এভাবে দূতাবাসের ডিজিটাল পাসপোর্ট বিভাগ আপনার সাক্ষাৎকার তথা এপয়েন্টমেন্টটি চূড়ান্ত করবে তাদের সেই দিনের তালিকায়।

ধাপ- ৪

একবার ইমেইলে ডিজিটাল পাসপোর্ট এর জন্য এপয়েন্টমেন্ট চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পর আপনাকে অনলাইনে ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে। তবে ডিজিটাল পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে ফর্ম পূরণ করার জন্য আপনাকে আপনার সাক্ষাৎকার এর দিনটি কবে? সেই বিষয়টি ভালো করে দেখে নিতে হবে(দূতাবাস থেকে আপনার কাছে যে ইমেইলটি পাঠানো হয়েছে, সেখান থেকে), এবং যে দিন দূতাবাসে যেতে বলেছে? মানে সাক্ষাৎকার এর দিনের ৫ থেকে ১০ দিন পূর্বে আপনাকে ডিজিটাল পাসপোর্ট সংক্রান্ত অনলাইন ফর্মটি পূরণ করতে হবে। মানে আপনি যে দিন দূতাবাসে যাবেন, যাওয়ার ৫ দিন অথবা ১০ দিন আগে এই ফর্মটি পূরণ করবেন। বন্ধুরা কিভাবে এই ফর্মটি পূরণ করবেন? তার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে নিচের ভিডিওটিতে। কাজেই ভিডিওটি ভালো করে লক্ষ্য করুন।

[youtube 8F8YMPDuYXc?modestbranding=1&rel=0 nolink]

এবার উপরের ভিডিওতে যেভাবে বলা হয়েছে, অনলাইনে ডিজিটাল পাসপোর্ট এর ফর্ম পূরণ করার ওয়েব সাইটে যেতে  www.passport.gov.bd এই ঠিকানার ওয়েব সাইতে অথবা এখানে ক্লিক করুন এবং ভিডিওতে যেভাবে বলা হয়েছে, সেভাবে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পাদন করুন।

ধাপ- ৫

এবার স্ব-শরীরে আপনাকে আপনার এপয়েন্টমেন্ট এর দিন দূতাবাসে উপস্থিত হতে হবে। এবং অবশ্যই নিন্মের কাগজপত্র সহ হাজির হতে হবে। সেই দিন সকল কাগজপত্র সঠিক থাকলে দূতাবাসে আবেদনকারীর ফিঙ্গার প্রিন্ট, স্বাক্ষর গ্রহণ ও ছবি তোলা হবে। মনে রাখবেন ০-৫ বছরের শিশুদের এই ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ছবি তোলার প্রয়োজন নেই, তবে তাদের প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে এপয়েন্টমেন্ট গ্রহণ করতে হবে(৩ নং ধাপে বলা হয়েছে) এবং অনলাইনে ডিজিটাল পাসপোর্ট এর ফর্ম পূরণ করতে হবে(৪ নং ধাপে বলা হয়েছে)।

যা যা সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে এপয়েন্টমেন্ট এর দিন?

  • ৪ নং ধাপে দেখানো তথা www.passport.gov.bd ঠিকানার ওয়েব সাইতে অনলাইন আবেদনপত্র জমা দেবার পর সেই আবেদনপত্রের দুইটি হার্ড কপি নির্ধারিত ছবিসহ প্রিন্ট করে দূতাবাসে নিয়ে যেতে হবে।
  • বর্তমান মূল পাসপোর্ট এবং তার ১-৯ পাতার ফটোকপি। (যদি পাসপোর্ট থাকে)
  • ১৭ ডিজিট সম্বলিত জন্মসনদপত্র অথবা ১৩ ডিজিট সম্বলিত ভোটার আইডি কার্ড এর মূল কপি ও ফটোকপি।
  • ইতালিয়ান পেরমেসসো দি সৌজর্ন্য বা কার্টা ডি ইদেন্তিতার মূল কপি ও ফটোকপি। (যদি থাকে)

মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এর জন্য ফিঃ

সাধারণ/অর্ডিনারি/নরমাল (জমা দেওয়ার পর ৪০-৪৫ দিন পর ডেলিভারি দেয়া হবে) ৭৫.০০ ইউরো।

ছাত্রদের জন্য ( উপযুক্ত প্রমানপত্র জমা দেওয়া সাপেক্ষে) ২২.০০ ইউরো।

বন্ধুরা এই ছিল আমাদের (MRP) মেশিন রিডেবল বা ডিজিটাল পাসপোর্ট  এর উপর বিস্তারিত সব তথ্য নিয়ে পরিপূর্ণ একটি পোস্ট। আর যারা এর পরেও আবেদন করতে পারবেন না। তারা সরাসরি আমাদের সাথে যোগাযোগ করে বা আমাদের অফিসে এসে আবেদন করাতে পারবেন। আমাদের সাথে যোগাযোগ করার বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আর যারা আপনাদের ফেসবুকে আমাদের সাইটের প্রতিটি লেখা পেতে চান তারা এখানে ক্লিক করে আমাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে গিয়ে লাইক দিয়ে রাখতে পারেন।তাহলে আমিওপারিতে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা আপনার ফেসবুক নিউজ ফিডে পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ।

সম্পর্কিত আরো কিছু পোস্ট দেখতে পারেন...

Lesar

আমিওপারি নিয়ে আপনাদের সেবায় নিয়োজিত একজন সাধারণ মানুষ। যদি কোন বিশেষ প্রয়োজন হয় তাহলে আমাকে ফেসবুকে পাবেন এই লিঙ্কে https://www.facebook.com/lesar.hm

২৮ thoughts on “রোম ও মিলান দূতাবাসে কিভাবে নিজে নিজেই (MRP) মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন ভিডিও টিউটোরিয়াল সহ পুরনাঙ্গ গাইডলাইন।”
    1. জি অবশ্যই হবে। তবে আপনাকে সবার আগে দেখে নিতে হবে আপনার জন্মনিবন্ধন সরকারী তথ্য কেন্দ্রের সাথে ভেরিফাই কি না? কিভাবে জন্ম নিবন্ধন ভেরিফাই কি না সেটা দেখবেন? এখানে দেওয়া এই লিঙ্কে ক্লিক করুন http://amiopari.com/12107/ । সেখানে যেভাবে বলা হয়েছে সেভাবে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদপত্রের ১৭ ডিজিট নাম্বার ও আপনার জন্ম তারিখ দিয়ে দেখে নিন আপনার জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দেখাচ্ছে কি না? যদি আপনার সম্পর্কে বিস্তারিত সব তথ্য দেখতে পারেন তাহলে বুঝতে হবে আপনারটা ভেরিফাইড করা এবং সেটা দিয়ে আপনি ডিজিটাল পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। ধন্যবাদ।

  1. ak bar jonmo nibondon kora hoyeche but oitate kichu data information vul ache so ki korte hobe, abar ki nuton kore jonmo nivondon kora jabe?

    1. এই ক্ষেত্রে আপনি যে এলাকা থেকে জন্মনিবন্ধন সনদপত্র গ্রহণ করেছেন সেখানে যোগাযোগ করে সংশোধন করিয়ে নিবেন।

  2. বর্তমান ঠিকানার বেপারটা বোজা গেলো না । কারন rome থেকে apply করলে dhaka র ঠিকানা দেয়াটা কি ঠিক হবে ? এখানে রোম এর ঠিকানা গ্রহন যোগ্য হবে বলে মনে করি, আপনার নিকট থেকে সহজ তথ্য জানতে চাচ্ছি । thank you.

    1. জি আপনি ইতালি থেকে আবেদন করলে সেই ক্ষেত্রে আপনার বর্তমান ঠিকানার ঘরে ইতালির ঠিকানা দিতে হবে।আমি ভিডিওটিতে আপনাদের বুঝানোর জন্য একটা এড্রেস দিয়ে ছিলাম। কিন্তু আপনি যখন আপনার জন্য পূরণ করবেন তখন আপনার বর্তমান ঠিকানা ভালো করে লিখে দিবেন, আপনি যেখান থেকে আবেদন করছেন। বাংলাদেশ থেকে আবেদন করবে বাংলাদেশ এর ঠিকানা, আর ইতালি বা ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আবেদন করলে আপনার নির্দিষ্ট একালার বর্তমান ঠিকানা দিবেন। ধন্যবাদ।

  3. Accha Amr Akbar mrp kora Ase . Italy Asr Por ami Amr birth date plus name change korsi ai hetre amake ki advise korbn

    1. ভাই আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আমিওপারি তথা আমরা কিন্তু দূতাবাস নই যে এই ক্ষেত্রে আমরা আপনাকে এডভাইস করবো। আপনাকে এর জন্য আপনার নির্দিষ্ট বাংলাদেশ দূতাবাস এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে। ধন্যবাদ।

  4. surname: alam

    name:shah

    passport no: A 0248436

    date of birth: 04-07-1978

    birth registration no: 19785114380002905

    cell: 331 8553199

  5. I can’t read anything when i enter to the sight of online birth registration. I have installed avro key board and bangla font. I can read your main sight in bangla and other bangla sight. I also can’t write bangla.
    Help please
    Thanks

  6. sir
    আমি আর আমার ১ বছর বয়সের বাচ্চার mrp করতে চাই।তাহলে কি puntamento এর জন্য ২টা mail করতে হবে? তাইলে কিভাবে এক সাথে puntamento পাবো।
    জাণাবেণ প্লিজ।

    1. জি দূতাবাসের নিয়ম অনুযায়ী আপনাকে দুইজনের জন্য দুইটি এপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। তবে কিভাবে দুইজনের একসাথে এপয়েন্টমেন্ট পাবেন সেটা আমরা তোঁ দুরের কথা স্বয়ং দুতাবাস করতিপক্ষ আপনাকে এর সঠিক উত্তর দিতে পারবে কিনা? তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ আছে।

  7. আমিতো আমার মেয়ের পাশপোর্ট আগে তৈরী করি নাই, সেই ক্ষেত্রে মেয়ের জন্ম নিবন্ধন করিতে পাশপোর্ট নম্বর চায়, কোন নম্বরটা দিব আমারটা নাকি মেয়ের মায়ের পাশপোর্ট নম্বর। অনুগ্রহ করে জানাবেন কি?

  8. My name is Md. Shahinuzzaman. I live in dhaka. For
    MRP passport what would be my given name and
    surname. If surname is mohammad then my passport
    name maybe Shahinuzzaman mohammad and
    it not match my certificate name. Please suggest me.

  9. আস সালা মুআলাইকুম

    আমি ম আর পি পাসপোর্ট এর জন আবেদন করেছি কিন্তু আমাকে আগামি ফেব্রুয়ারী ২০১৬ তে তারিক দিসে । কি ভাবে আগানো জায় জানাবেন কি।

  10. As-salamualaikum vai
    amar ekta proshno chili apnader kache, ami jokhon online a MRP passport er Form puron korte jai shob kichu e thik vabe hoy but payment er option a ashe skip er jaygatay tik chinho ashe na invisible hoye thake boxta shei khetre ami ki korte pari plz ektu janaben…?

  11. আমি আমারmrp বানাতে চাই এবং আমার মেয়ে ইতালিতে জন্ম তার জন্য কি জন্মনিবন্ধন করতে হবে?করতে হলে অনলাইনে করা যাবে নাকি বাংলাদেশে করতে হবে?

  12. amr birth certificate ase. amake ki notun vabe abar korte hobe.? bangladesh teke kora hoysilo 4 years age.

  13. amr 8 months baby .baby r passport ekhono kora hoyni. birth registration er passport number er poriborte kon number dete hobe? apnader amio pari web site ta onk onk helpful. onk onk thanks amio pari sokol protinidhi k

  14. আমি জন্মনিবন্ধন কোরতে গেলে বার বার শুধু বলে পাশপোট ণাম্বার ঠিক ণা, এ ব্যাপারে একটু পরামর্ষ দিবেন ।

    1. আপনি যদি পাসপোর্ট নাম্বার পেশ করেন তাহলে কনো স্পেস দিবেন না অক্ষরের পর , তাহলে আপনার আবেদন সফল হবে ।

  15. আচ্ছা আমার জাতীয় পরিচয় পত্র আছে ওখানে ID N° আছে ঐ নাম্বার এ আমার কি এপইন্টমেন্ট হবে ? ডিজিটাল পাসপোর্ট এর জন্য ? নাকি জন্ম নিবন্ধন লাগবে ই ?
    দয়া করে আমাকে উত্তর দিবেন ?

  16. ভাইয়া এখন কি Digital passport এর জন্য কি আবেদন করা যাবে ?
    3 Digital passport এর জন্য কিভাবে আবেদন করা যাবে?
    Sto a Palermo . ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *