বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য আমেরিকা যাওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া শিথিল করা হয়েছে। ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হবে নতুন এই প্রক্রিয়া। এতে বহু বাংলাদেশী নাগরিক আমেরিকায় যাওয়ার সুযোগ পাবে।
বাংলাদেশ হতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সহজ এবং উন্নত করা হয়েছে। এখন হতে বাংলাদেশী আবেদনকারীরা নতুন নিয়মে অনলাইনে আবেদন করে নিজের পছন্দ অনুযায়ী সাক্ষাৎকারের সময়সূচি ঠিক করে নিতে পারবেন। আবার তাদের তথ্য সুবিধার জন্য কল সেন্টারে ফোন করে বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষায় সহায়তাও নিতে পারবেন বাংলাদেশী নাগরিকরা। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর হতে নতুন এই নিয়ম চালু হবে। কল সেন্টার রবি হতে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন সকাল ৮টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত এটি চালু থাকবে।
সোমবার ঢাকার আমেরিকান সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কনস্যুলার বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী সচিব মিশেল থোরেন বন্ড। এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা, কনসাল জেনারেল এলিজাবেথ গোল্ড লে ও প্রেস অ্যান্ড ইনফরমেশন অফিসার মনিকা শাই উপস্থিত ছিলেন।
মিশেল থোরেন বন্ড উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী বাড়ছে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদনও বাড়ছে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ হতে ৭০ হাজার ভিসার আবেদন জমা পড়ে। এরমধ্যে ৩০ হাজার জনের ভিসা অনুমোদন করা হয়। যারমধ্যে আবার প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী। সে কারণে ভিসাপ্রাপ্তি সহজ করার জন্য ভিসা প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, এই নতুন পদ্ধতিতে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর হতে চালু হবে। http://dhaka.usembassy.gov ওয়েব ঠিকানায় লগ-ইন করে ভিসা আবেদনকারীরা ভিসার জন্য সহজেই আবেদন করতে পারবেন। নতুন ওয়েবসাইট ও কলসেন্টার হতে বাংলা এবং ইংরেজিতে তথ্য দেওয়া হবে। যে কারণে ভিসার আবেদন সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য পাওয়া আরও সহজতর হবে। পূর্বে অনলাইনে আবেদনের পর আবেদনকারীদের সাইমন সেন্টারে সশরীরে গিয়ে সাক্ষাৎকারের সময়সূচি জানা লাগতো। নতুন নিয়মে আবেদনকারীরা ওয়েবসাইট হতেই ব্যক্তিগত কিংবা দলগতভাবে সাক্ষাৎকারের সময়সূচির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবার আবেদনের নির্দেশনা জানতে পারবেন ও এ-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যও পাবেন।
এতে বলা হয়েছে, অনলাইনে সাক্ষাৎকারের সময়সূচি নির্ধারণ করা হলেও পূর্বেই মতোই সাইমন ওভারসিজ আবেদনকারীদের কাগজপত্র জমা নেবে এবং পাসপোর্ট ফেরত দেবে। ঢাকা ছাড়াও সাইমন ওভারসিজের চট্টগ্রাম এবং সিলেট শাখা হতেও কাগজপত্র জমা ও পাসপোর্ট সংগ্রহ করা যাবে বলে জানানো হয়েছে।
নতুন পদ্ধতিতে আবেদনকারীরা সাক্ষাৎকারের সময়সূচি যদি পান তাহলে এইচএসবিসি ব্যাংকের ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম শাখায় ভিসা ফি জমা দিতে পারবেন ও এক বছর মেয়াদি টাকা জমার রসিদ পাবেন। গত ৩১ আগস্ট হতে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে ভিসা ফি জমা নেওয়া হচ্ছে না বলে জানানো হয়। তবে যারা এক বছরের কম সময়ের মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে টাকা জমা দিয়েছেন, তবে তারা সেই টাকা জমার রসিদ ব্যবহার করেও ভিসার আবেদন করতে পারবেন। তবে ৩১ আগস্টের পর হতে শুধু এইচএসবিসি ব্যাংকেই ভিসা ফি জমা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
যারা আপনাদের ফেসবুকে আমাদের সাইটের প্রতিটি লেখা পেতে চান তারা এখানে ক্লিক করে আমাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে গিয়ে লাইক দিয়ে রাখতে পারেন।তাহলে আমিওপারিতে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা আপনার ফেসবুক নিউজ ফিডে পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ।