২০০০ সালের আগস্টে তৎকালীণ প্রধানমন্ত্রী উয়োশিরো মোরি’র পর আর কোন জাপানী সরকার প্রধান ঢাকা সফর করেননি। রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন জানান, ‘‘গত মে মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী টোকিও সফরে এলে জাপানি প্রধানমন্ত্রী তাঁকে কথা দিয়েছিলেন সহসাই বাংলাদেশ সফর করবেন এবং তিনি কথা রাখতে চলেছেন। তবে মে মাসের পর এতোটা স্বল্পতম সময়ের ব্যবধানে মি. শিনজো আবে’র আসন্ন এই সফরের গুরুত্বই আলাদা।’’
সুদীর্ঘ ১৪ বছরের বিশাল ব্যবধানের এই সময়টিতে কোন জাপানি সরকার প্রধানের ঢাকা সফর না হওয়া সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মেধাবী কূটনীতিক মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘‘একজন রাষ্ট্রদূতের প্রধান দায়িত্বগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রাষ্ট্রীয় দ্বিপাক্ষিক উচ্চ পর্যায়ের সফর নিশ্চিত করতে কাজ করে যাওয়া। আমি চেষ্টা করেছি আমার দায়িত্ব পালনে, তবে সবটুকু কৃতিত্ব এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারেরই।’’
তিন মাস আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের সময় বাংলাদেশকে ৬শ’ কোটি ডলারের সহায়তার প্রতিশ্রুত দিয়েছিল জাপান। রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এই প্রতিবেদককে জানান, ‘‘জাপানের দেয়া প্রতিশ্রুতি সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর টোকিও সফরের সময় দ্বিপাক্ষিক যেসব বিষয়াদি আলোচনায় স্থান পেয়েছিল, তার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে জাপানি প্রধানমন্ত্রীর এই সফর।’’
এদিকে বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম প্রধান অংশীদার রাষ্ট্র হিসেবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের আসন্ন ঢাকা সফরে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক ও বানিজ্যিক বেশ কিছু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যানযটের নগরী ঢাকাতে মেট্রো রেললাইন প্রকল্প স্থাপন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সই হবার বিষয়টিতো আছেই, তাছাড়া জাপানের বাজারে বেশ কিছু বাংলাদেশি পন্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা নিশ্চিত করতে ঢাকার তরফ থেকে জোর চেষ্টা থাকবে মি. শিনজোর সফরের সময়।