সরকারের কাছে অনেকে প্রশ্ন রাখছেন, ‘অনেস্টি’র পুরষ্কার কি করে হয় ‘হ্যারেসমেন্ট’? দালাল সিন্ডিকেটের বিজয় দেখতে তাই মোটেও প্রস্তুত নন গ্রীস প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এথেন্সের সুপরিচিত ‘মসজিদ-এ ওমর’-এর ইমাম ও খতীব হাফেজ মাওলানা খালিদ বিননূরী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘লায়লা এতোটা নীচুমনের নারী মনে করিনি। আমি তাকে অন্যান্য নারীদের মতোই ভদ্র ও চরিত্রশীলা ভাবতাম, কিন্তু বাস্তবে দেখছি তার উল্টো।’’
সামাজিক ব্যক্তিত্ব ইমাম খালিদ বিননূরী প্রায় ২০ বছর ধরে এথেন্সে বসবাস করছেন। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন বিশেষ করে গোয়েন্দা বিভাগে রয়েছে তাঁর বিশেষ গ্রহনযোগ্যতা। মাওলানা বিননূরী ফেসবুকে আরো লিখেছেন, ‘‘রাষ্ট্রদূত গোলাম মোহাম্মদ একজন প্রবীন লোক, স্বস্ত্রীক তিনি গ্রীসে আছেন। গোলাম মোহাম্মদের আগমনের পর থেকে দুর্নীতিমুক্ত হয় গ্রীসের বাংলাদেশ এ্যাম্বেসি।’’
দালাল সিন্ডিকেটের প্ররোচনায় লায়লার আনীত যৌন হয়রানির অভিযোগকে মিশরীয় দুরাচার কারুনের চক্রান্তের সাথে তুলনা করে হাফেজ মাওলানা বিননূরী বলেন, ‘‘বিশ্ববখীল কারুন একটি বেশ্যা নারীকে কিছু পয়সা দিয়ে হযরত মুসা (আ)-এর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মিথ্যা অভিযোগ এনেছিলো, যার ফলশ্রতিতে জীবিত কারুনকে মাটি গ্রাস করে নিয়েছিলো’’। গ্রীসের ইমাম দৃঢ়তার সাথে বলেন, ‘‘আমি মনে করি লায়লার অভিযোগ মিথ্যা ও অযৌক্তিক’’।
এথেন্সের প্রভাবশালী কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও ব্যবসায়ী ওসমান গনি কামালও ফেসবুকে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি প্রশ্ন রেখেছেন। তিনি জানতে চেয়েছেন, ‘‘লায়লা অভিযোগ করেছেন তিনি রাষ্ট্রদূত কর্তৃক বার বার নির্যাতিত হয়েছেন, সেক্ষেত্রে প্রথমবার নির্যাতিত হবার পর লায়লা কেন বার বার রাষ্ট্রদূতের নিকট গিয়েছেন ? নির্যাতিত হবার পর লায়লা কেন স্থানীয় পুলিশের সহায়তা নেননি’’?
তিন মাস আগের মতো এবারও চাপিয়ে দেয়া অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে ওসমান গনি কামাল বলেন, ‘‘গ্রীসে লায়লার আরেক বোন আছে, তাদের জীবন বিশ্লেষন করলে বেরিয়ে আসবে এদেশে কী পেশা তাদের।