গত সোমবার থেকে পাঁচটি বেসরকারি ব্যাংক এই সেবা চালু করেছে। ব্যাংকগুলো হলো- ব্যাংক এশিয়া, ঢাকা ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড।
সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে রাজধানীর আগারগাঁও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের জন্য এই সেবা দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। পর্যায়ক্রমে দেশের ৬৭টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এই সেবা চালু করা হবে। এর আগে অবশ্য সশরীরে গিয়ে পাসপোর্ট ও ভিসা ফি জমা দিতে হতো রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে। কেবল সংশ্লিষ্ট শাখায় গিয়ে এই ফি জমা দিতে হতো। এখন এই পাঁচটি বেসরকারি ব্যাংকের যে কোনো শাখা থেকে অনলাইনে ফি পরিশোধ করা যাচ্ছে।
এমআরপি ও এমআরভি ফি অনলাইনে জমা দেওয়ার লক্ষ্যে গত ৪ ডিসেম্বর অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের (ডিআইপি) সঙ্গে আলাদা আলাদা চুক্তি করে ওই পাঁচটি ব্যাংক। আগারগাঁওয়ে ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মুন্সি মুঈদ ইকরাম বলেন, “অনলাইনে ফি জমা দেওয়ার কাজটি ভালভাবেই শুরু হয়েছে। গত দুই দিনে বেশ কিছু ফি জমা পড়েছে।”
তিনি আরও বলেন, এই সেবা দ্রুত সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে, এতে করে গ্রাহকদের ভোগান্তি অনেকটাই কমে যাবে।
এদিকে সরকারের সাথে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী চলতি বছরের ১৬ জুন থেকে সারাদেশে এই সেবা চালুর কথা থাকলেও পাসপোর্ট অধিদপ্তর গুছিয়ে উঠতে না পারায় প্রাথমিকভাবে শুধু আগারগাঁও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এই সেবা চালু হয়েছে।
কেনও কেবল এক এলাকা কেন্দ্রীক এই সেবা জানতে চাইলে ব্যাংক এশিয়ার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরফান আলী এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “অন্য চারটি ব্যাংকের সঙ্গে আমরাও সোমবার থেকে এই সেবা শুরু করেছি। প্রাথমিকভাবে আগারগাঁও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এই সেবা দেওয়া হচ্ছে। প্রথম দিন বেশ কয়েকটি লেনদেনও হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, পর্যায়ক্রমে সারা দেশের ৬৭টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এই সেবা চালু করা হবে, এক্ষেত্রে গ্রাহকদের ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে।
এদিকে এশিয়া ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, তারা এজেন্ট ব্যাংকিয়ের মাধ্যমেও এই সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
সাধারণ বাংলাদেশী পর্যায়ে এমন সুযোগ করে দেয়াতে পাসপোর্ট এবং ভিসা সম্পর্কিত বিষয়সমূহ এখন আগের চেয়ে অনেক দ্রুত হবে বলেই সবাই প্রত্যাশা করেছেন।