এক পর্যায়ে তিনি আরও করুণ তথ্য দিলেন। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। শ্বশুর বাড়িতেই তিনি পাঁচ বছর অতিবাহিত করেন। অপেক্ষায় ছিলেন বৃদ্ধ শাশুড়িকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন। এর মধ্যে শাশুড়ি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তিনি ২০০৬ সালের ১৬ জানুয়ারি স্বামীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে যান। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ছয় মাস পরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান শাশুড়ি। ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় বড় ভাশুরও চলে যান সবাইকে ছেড়ে। এর ঠিক নয় মাস পর পরপারে মায়ের কাছে যান মেজভাশুরও, একই রোগে। নিউইয়র্ক থেকে তিনি তাদের জানাজাতেও আসতে পারেননি। পারিবারিক ঝামেলার কারণে তিনি আজ পর্যন্ত প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে ফিরতে পারেননি।
নাজমা বেগম আরো বলেন, অসুখ হলে মা মা করে চিৎকার করলেও কেউ দেখার নেই। র্দীঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, ‘এবার বোঝেন, আমরা কতটা সুখে আছি।’এত কিছুর পরও প্রবাসীরা যেন সংসারের সবার স্বপ্ন সত্যি করতে গিয়ে নিজের স্বপ্নটাকে মাটি করে দেন। এইসব হতভাগা মানুষের চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে চোখের কোণে পানি চলে আসে। আর যাই হোক পেট বাঁচানোর যুদ্ধে যে তারা কঠিন সংগ্রামে নেমেছেন। সব কিছুর জন্য দায়ী যেন সেই টাকা টাকা টাকা।
——————————————————————————————————————————————-
[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে এই লেখায় ক্লিক করে জানুন এবং তুলে ধরুন। নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। আর আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে রয়েছে অনেক মজার মজার সব ভিডিও সহ আরো অনেক মজার মজার টিপস তাই এগুলো থেকে বঞ্চিত হতে না চাইলে এক্ষনি আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে লাইক দিয়ে আসুন। এবং আপনি এখন থেকে প্রবাস জীবনে আমাদের সাইটের মাধ্যমে আপনার যেকোনো বেক্তিগত জিনিসের ক্রয়/বিক্রয় সহ সকল ধরনের বিজ্ঞাপন ফ্রিতে দিতে পাড়বেন। ]]