শাহাদাত হোসাইনঃ ভিসা কেটাগরী A হচ্ছে যদি আপনি ইউরোপের কোন সেনজেন ভুক্ত দেশ হয়ে অন্য কোন দেশে যান তাহলে শুধু মাত্র এয়ারপোর্ট এ অবস্থানের জন্য যেই ভিসা দেয়া হয়। সেটা এয়ারপোর্ট ট্রানজিট ভিসা বলা হয়।
ভিসা কেটাগরী B হচ্ছে আপনি যদি কোন সেনজেন আওতাভুক্ত দেশ হয়ে অন্য কোথাও ভ্রমন করতে চান এবং এয়ারপোর্ট এর বাহিরে অবস্থান করতে চান তাহলে আপনি যেই ধরনের ভিসা পাবেন সেটা হলো ভিসা B . এই ভিসাতে আপনি সর্বোচ ৫ দিন পর্যন্ত সেনজেন আওতাভুক্ত দেশে অবস্থান করতে পারবেন।
ভিসা কেটাগরি C হচ্ছে ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে ভ্রমনের জন্য সেই সকল ভিসা প্রদান করা হয় , সাধারণত এই ভিসা সেনজেন ভিসা নাম পরিচিত। সর্বোচ্চ ৯০ দিন আপনি এই ভিসা পেতে পারেন। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে যেমন ব্যবসায়ী ভ্রমনে, কিনবা মেডিকেল ট্রিটমেন্ট এর জন্য আসলে আপনাকে ১৮০ দিন পর্যন্ত মেয়াদ দিতে পারে। এই ভিসা ভ্রমণের জন্য শুধু কাজের জন্য কোন অনুমতি নেই ।আরেকটা জিনিস এই ভিসা কখনো মেয়াদ বাড়াতে পারবেন না। নিদিষ্ট মেয়াদ শেষ হওয়ার সাথে সাথে আপনাকে সেনজেন এরিয়া ছাড়তে হবে।
ভিসা কেটাগরি C টা হচ্ছে এক বছর মেয়াদী ভ্রমন ভিসা। এই ভিসা পেতে হলে আপনাকে সেনজেন যে কোন দেশে থেকে কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থাকে নিমন্ত্রণ পত্র দেখাতে হবে। অন্যথায় আপনি সল্প্পকালীন মেয়াদী কোন কাজের জন্য আসলে এই ভিসা প্রদান করা হয়। যেমন ইতালি , ডেনমার্কে যারা ফল পারার কাজে আসেন তাদের কে এই রকম C ভিসা প্রদান করা হয়। এটাও মেয়াদ ফিক্স করা। ১ বছর পর আপনি আর মেয়াদ বাড়াতে পারবেন না। যদি না মালিক আপনাকে সাহায্য করে বা কোন কনফার্মেশন দেয় যে আপনি পরবর্তী বছর ও একই মালিকের অধীনে কাজ করবেন কিংবা করতে পারবেন।
ভিসা কেটাগরি D হচ্ছে দির্গমেয়াদী ভিসা যা আপনাকে যত দিন ভিসার মেয়াদ থাকবে ততদিন থাকার নিশ্চয়য়তা দিবে। যারা ইউরোপে পড়াশুনা ও চাকুরী নিয়ে আসেন তাদের কে এই ভিসা প্রদান করা হয়। এই ভিসায় আপনি কাজের ক্ষেত্রে কাজ ও পড়াশুনার ক্ষেত্রে পাশাপাশি ২০ ঘন্টা কাজের অনুমতি পাবেন।
রেসিডেন্ট পার্মিট : TR / PR
কারো যদি সেনজেন ভুক্ত যে কোন দেশের রেসিডেন্ট পার্মিট থাকে তাহলে নির্দিধায় আপনি যে কোন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ভুক্ত দেশে ভ্রমন করতে পারবেন। তবে আপনি যে দেশের ইস্সু করা রেসিডেন্ট পার্মিট ওইদেশ ছাড়া অন্য কোন দেশে কাজের জন্য অনুমুদিত না। শুধু মাত্র ওই দেশে আপনি কাজ করতে পারবেন যেই দেশ আপনার রেসিডেন্ট পার্মিট কার্ড ইস্সু করছে। রেসিডেন্ট পার্মিট টা সাধারণত ১ কিংবা ২ বছর মেয়াদের হয়। আপনি যদি ছাত্র হন তাহলে কলেজ আপনাকে সাহায্য করে মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে আর যদি চাকুরী জিবি হন বা ব্যবসা করে তাহলে আপনাকে কর প্রদান করে মেয়াদ ভাড়াতে হবে। এটা TR বা অস্থ্য়ী পার্মিট বলা হয়ে থাকে।
নির্দিষ্ট একটা সময় ওই দেশে থাকার পর আপনি PR বা স্থায়ী নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যেমন পর্তুগালের ক্ষেত্রে ৫ বছর, ইতালির ক্ষেত্রে ৫/১০ বছর হয়ে থাকে।
মনে রাখবেন সেনজেন ভুক্ত দেশ গুলো হলো : ২৬ মেম্বার্স।অস্ট্রিয়া,বেলজিয়াম ,চেক রিপাবলিক , ডেনমার্ক,এস্তোনিয়া ,ফিনল্যাণ্ড , ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, হাঙ্গেরি, আইস্ল্যাণ্ড, ইতালি, লাটভিয়া, লিচেস্তেইন, লিথুয়ানিয়া, লাক্সেমবার্গ, মালটা, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল,স্লোভাকিয়াম , স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইটজারল্যান্ড।
এই দেশ গুলোর যে কোন একটির ইস্সু কৃত রেসিডেন্ট পার্মিট দিয়ে আপনি সব কটি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ভুক্ত দেশে বিনা বাধায় যেতে পারবেন। তবে সাইপ্রাস , রোমানিয়া , বুলগেরিয়া ক্রোয়েশিয়া এই দেশ সমূহ সুধু মাত্র ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ভুক্ত হওয়ায় এই ৪ দেশের ইস্সু করা রেসিডেন্ট পার্মিট দিয়ে আপনি সেনজেন দেশ ভুক্ত দেশে যেতে পারবেন না। আপনাকে যেতে হলে শর্ট টার্ম ভিসা নিতে হবে ।
[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে এই লেখায় ক্লিক করে জানুন এবং তুলে ধরুন। নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। আর আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে রয়েছে অনেক মজার মজার সব ভিডিও সহ আরো অনেক মজার মজার টিপস তাই এগুলো থেকে বঞ্চিত হতে না চাইলে এক্ষনি আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে লাইক দিয়ে আসুন। এবং আপনি এখন থেকে প্রবাস জীবনে আমাদের সাইটের মাধ্যমে আপনার যেকোনো বেক্তিগত জিনিসের ক্রয়/বিক্রয় সহ সকল ধরনের বিজ্ঞাপন ফ্রিতে দিতে পাড়বেন। ]]