ইতালিয়ান ইমিগ্রেশন অফিসে অনুবাদক হিসাবে কাজের সুবাদে প্রতি মাসে একবার আমাদের সভা থাকে বিভিন্ন ভাষার অনুবাদকদের সাথে। যা মাসিক মত বিনিময় সভা নামে অভিহিত । যেখানে আমাদের কাজের অভিজ্ঞতা, প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা , অদূরদর্শীতা এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সে সভায় হঠাৎ করে সালাম শুনে কিছুটা চমকে অতঃপর থমকে পিছু ফিরে তাকাই। মনে হল ভুলভাল কিছু শুনছিনা তো? কারন সে সভায় আমি ছাড়া আর কোনও বাঙ্গালী ছিলনা। সময় নষ্ট না করে শ্বীয় কাজে মনোনিবেশ করতে না করতেই আবার শুনি সে কন্ঠস্বর। না এবার আর মতিভ্রম নয়!
পিছু ফিরতেই দেখি এক ভীনদেশী সুন্দরী যুবতী আমাকে হেসে বললো, ভালো আছো কি? সে আর কেউ নয় আমাদের অফিসের সহযোগী পরিচালক মিকেলা বসকলো ফিওরে (Michela Boscolo Fiore) জানতে চাই আপনি বাংলা জানেন? তিনি আধো বাংলা আধো ইতালীয়ান ঢংয়ে বলল হ্যা জানি। তিনি আরো বললেন শুধু তাই নয় আমি বাংলাদেশে ও গিয়েছিলাম! আমি কৌতুহল ভরা দৃষ্টি নিয়ে তার দিকে তাকাই। আমি এতোদিন জানতাম না যে সে বাংলা ভাষা জানে। অবাক বিস্ময়ে তার কাছে জানতে চাই কবে, এবং কেন তিনি বাংলাদেশে যান? আর কোথা থেকে সে বাংলা ভাষা শিখেছে? আর কেন-ই-বা বাংলাদেশে যাওয়ার তাগিদ অনুভব করলেন?
বললেন আমি এখানে বেশীরভাগ সময় বাঙ্গালীদের নিয়ে কাজ করি। আর আমাদের প্রধান সমস্যা হলো আমরা বাঙ্গালীদের বুঝতে পারিনা, তাদের বোঝার জন্য তাদের সংস্কৃতিকে জানতে হবে তাদের ভৌগলিক মানুষিক অবস্থা জানতে হবে, নয়ত তাদেরকে আমরা যথার্থ সাহায্য করতে পারছিনা। এই কারনেই আমার বাংলাদেশে যাওয়া।
মিকেলা ২০০৫ সালে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। ওনার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে বলল গোড়াই গলদ ছিল, আমি বললাম ঠিক বুঝলাম না। উত্তরে বললেন আমার সাথে ইতালী থেকে একজন অনুবাদকের যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু বাংলাদেশে যাওয়ার আগে তার আর কোন হদিস পাওয়া যায়নি। অনেক চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। খানিকটা হোচট খেলেও থেমে যাওয়ার মেয়ে আমি নই।
অবশেষে আমি একাই বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। বাংলাদেশে পৌছে পড়ি আরেক সমস্যায় যে যার মত করে ইংরেজী বলে যা বোঝা কঠিনতর আমার জন্য। অনেক কষ্টে বাংলাদেশী ইতালিয়ান দুতাবাসের একজন মহিলার সন্ধান পাই যিনি ভালো ইংরেজী জানেন। সেখানেও সমস্যা তাকে গ্রামে নেয়া যাবেনা। কারন সে ভীষন ব্যাস্ত আর কি করা হতাশা নিয়ে আমি একাই রওনা দেই শরীয়তপুরের উদ্দেশ্যে।সেখানে অনেক কষ্টে একজন অনুবাদক খুঁজে বের করি এক বন্ধুর মাধ্যমে। যার নাম বাবুল থাকে ইতালীর রাজধানী রোমে। অবশেষে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলি। আমি প্রশ্ন করি রাজধানী রেখে গ্রামে কেন। উত্তরে বললেন কারন ভেনিসে শরীয়তপুর জেলার লোকসংখ্যা একটু বেশী। আমি বললাম শরীয়তপুর জেলা ছাড়াও তো আরো অনেক জেলার লোকজন এখানে বসবাস করে। উত্তরে বললেন তাদের সংখ্যা তুলনা মূলক কম।
তিনি আরও বলেন শুধু শরীয়তপুর নয় আমি বাংলাদেশকে দেখেছি। আর প্রতি ক্ষনেই মুগ্ধ হয়েছি অপরুপ সোভিত সোনার বাংলার রূপ বৈচিত্র দেখে। আমি বাংলাদেশের মাটি ও মানুষকে দেখেছি, বাংলাদেশের প্রকৃতিকে দেখেছি! বাংলাদেশ আমাকে গ্রহণ করেছে বুক পেতে, উপস্থিত সবাইকে বিস্মিত করে দু-লাইন বাংলা দেশত্ববোধক গান গেয়ে শোনালেন.. ও আমার দেশের মাটি তোমার পড়ে ঠেকাই মাথা। নিজের অজান্তেই দু চোখ বেয়ে গর্বের অশ্রু গড়িয়ে পড়ে অধোর জুরে। আমি অবাক হলাম একজন ভীনদেশী নারীর কণ্ঠে আমার দেশের দেশত্ববোধক গান শুনে।
আমি জানতে চাইলাম তারপর কি হলো? তিনি আরো বললেন আমি বাংলাদেশকে নিয়ে একটি শিক্ষামূলক প্রবন্ধ তৈরী করেছি যাতে করে ছাত্রছাত্রীরা খুব সহজে বাংলাদেশের সমাজ সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারে। Ca’foscari University venice philosophy Department থেকে জাতিতত্ত্ব নিয়ে এই শিক্ষামূলক প্রবন্ধ তৈরী করি যাতে করে ভবিষ্যতে ছাত্রছাত্রীরা সত্যিকারের বাংলাদেশের শেকড়ের সন্ধান পেতে পারে। আমি জানতে চাইলাম কি বিষয়ের উপর লিখেছেন আপনার শিক্ষামূলক প্রবন্ধটি। মৃদু হেসে তিনি আমার হাতে বইটি তুলে দিলেন। আমি বইটি পড়লাম রীতিমত অবাক হলাম কি করে একজন ভীনদেশী বাঙ্গালী সংস্কৃতির এত গভীরে পৌছলেন।বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান, অর্থনৈতিক অবস্থা, শরীয়তপুর-নড়িয়ার, ইতিহাসের প্রতিচ্ছবি, বাংলাদেশের সমাজ-সংস্কৃতি, কাজ,পর্দা, লজ্জা, দুর্নাম, বিয়ে, তালাক, যৌতুক, প্রেম করে বিয়ে, ধর্ম, প্রবাসী বাংলাদেশীদের জীবন যাত্রার মান, বেকারত্ব, হতাশা, নির্যাতিতা নারী, এসিড নিক্ষেপ, প্রবাসী বাংলাদেশীদের গড় সংখ্যা। গার্মেন্টস, পুরুষশাসিত সমাজ ব্যবস্থা, শিক্ষা, অন্ধবিশ্বাস, ঢাকার জীবন যাত্রা, ইতালী প্রবাসীদের গড়সংখ্যা এবং তাদের সুখ দুঃখ হাসি কান্না কি নেই তার বইতে। তিনি যেন সীমাহীন আত্মবিশ্বাসে ঘুরে বেড়িয়েছেন বাংলার টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া। আবাহমান বাংলার এমন স্বচিত্র প্রতি মূর্তি এত অল্প সময়ে কিকরে ধারন করলেন তা আমার বোধগম্য নয়।
আমি জানতে চাইলাম শুধুই কি রিসার্চ করার জন্য বাংলাদেশে যাওয়া? ইন্টারনেট এ সার্চ করেও তো সকল তথ্য নেয়া যেত। তিনি বললেন হ্যা হয়ত সব পাওয়া যেত, কিন্তু বাস্তব লব্ধ যে অভিজ্ঞতা তা পেতাম না। বাংলাদেশ ভ্রমন করে আমি এটুকু বুঝতে পারি কেন এত কষ্ট করে বাংলাদেশের মানুষ ইতালীতে এসে? ফুল বিক্রি করে, খেলনা বিক্রি করে? জীবন বাজি রেখে সাত সমুদ্র তের নদী পাড়ি দিয়ে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে আসে? আগে এর তর্জমা বুঝতামনা। এখন তা সহজেই উপলব্দি করতে পারি। বাংলাদেশে আমি দেখেছি পরিবারের একজন সদস্যের উপর নির্ভর করে আরো ৬ জন সদস্য। বাংলাদেশে বাবা মা,ভাই -বোন,শ্বশুড়-শ্বাশুড়ী আরো অনেকে একসাথে বসবাস করে সে পরিবারে হয়তো একজনই রোজগার করে, বাকী সবাই তার উপর নির্ভর করে। যা আমাদের দেশে বিরল।
আমি কথা বলেছি অনেক মায়েদের সাথে। তারা আমাকে বলেছে তাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা নিজেদের জমিজমা বিক্রি করে ইতালী পাড়ি জমিয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়ত সৈাভাগ্যবান ভালো আছে। আর কেউ কেউ আছে সাগরে হাবুডুবু অবস্থায়। ঋনের বোঝা মাথায় নিয়ে ঘুরছে দিগদ্বিগ , ইতালীতে আছেন অনেক দিন কিন্তু নেই কোন কাগজ। বাবা মাকে টাকা পয়সা দিতে পারছেনা। ঋনের দায়ে কেউ কেউ নিজেদের বসত বাড়ী টুকুও বিক্রি করে সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়ছে। তাদের একটাই কথা আমরা এখন আল্লাহর দিকে তাকিয়ে আছি দেখি কি করেন তিনি? অনেকটা মুখ দিয়েছেন যিনি আহার দিবেন তিনি এই নীতি অবলম্বন করে।
ইতালীর এমন বেহাল অবস্থা যেনেও কেন-ই-বা মানুষ পাড়ি জমাচ্ছে ইতালীর দিকে?অনেকে বলেছে কেউ কেউ পেটে-ভাতে ভালো আছে যারা ইতালীতে বসবাস করে। কেউ কেউ হয়ত অনেক ভালো আছে বাড়ি কিনেছে, গাড়ি কিনেছে, জমি কিনেছে।কেউ বিশ্বাস করতে চায়না ইতালী যাওয়ার পরের অবস্থা সম্পর্কে। কোনও বন্ধু যদি আরেক বন্ধুকে উপদেশ দেয় ইতালী না যাওয়ার জন্য তাহলে তারা হয়ত ভাবে হিংসা করে তাদেরকে না করছে ইতালী যেতে।
আসলে আমার অবস্থাও একই আমি যদি বাংলাদেশে না যেতাম তাহলে হয়তো বাংলাদেশের এমন রুপ আমার অজানাই থেকে যেত।ইতালীর ইমিগ্রেশন অফিসে বাংলাদেশ এবং চীন অন্য দেশের তুলনায় এ দুই দেশের অনুবাদকদের চাহিদা একটু বেশী। এর কারন অণুসন্ধান করতে গেলে দেখা যায় তারা ভাষা শিখতে খুব বেশী আগ্রহী নন। যার কারনে তাদের অনুবাদকদের চাহিদা বেশী। আমরা চেষ্টা করছি এই সমস্যা টা সমাধানের জন্য। অনেক চেষ্টা করেও আমরা ব্যার্থ হচ্ছি।
ভাষা শিক্ষা ছাড়া একটা মানুষ অচল। যা আমি বাংলাদেশে গিয়ে বুঝেছি। আমি প্রাথমিক পর্যায়ের ভাষা বলতে পারি। ভাষা শেখার পর আমার সব কিছু অনেক বেশী সহজ হয়ে উঠেছিলো। আমি মনে করি যে দেশে থাকি সে দেশের ভাষা না জানা আর পঙ্গুত্ব বরন করে নেয়া একই কথা।
নেপলিয়ন বোনাপার্ট, বলতেন কোন জাতিকে জানতে হলে সবার আগে তার ভাষাকে জানতে হবে।
ভাষা না জানার কারনে প্রবাসীরা তাদের নিজেদের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ভালো কোনও কাজ করতে পারছে না। গ্রাজুয়েসন করা অনেককে দেখেছি ,ফুল খেলনা বিক্রি করতে, রেস্টুরেন্টে ওয়েটার, ঝাড়–দাড়, রান্নাঘরে রান্না করা, বড়োজোড় হোটেলে রিসেপসনিষ্ট হিসেবে কাজ করতে। এসব হচ্ছে কেবল মাত্র ভাষা না জানার ফসল। তিনি আরো বলেন তার অভিজ্ঞতার কথা যা তাকে ব্যথিত করেছে। শুধু মাত্র ভাষা না জানার কারনে এটা ভাবতেও কষ্ট হয় আমার।
একবার হাসপাতাল থেকে ফোন করা হয়েছিল অনুবাদকের জন্য। কিন্তু অনুবাদক ব্যাস্ত থাকার কারনে যেতে পারেনি। পরে জানতে পারলাম ওই ভদ্রমহিলা ভাষা না জানার কারনে নরমাল প্রসব না হয়ে সিজারের মাধ্যমে প্রসব করানো হয়েছে ,কারন হচ্ছে ডাক্তার যা বলে ভদ্র মহিলা তা বুঝতে পারছিলেন না। মাতৃত্ব একজন নারীর জন্ম গত অধিকার, তা সহজ এবং স্বাবলিল প্রক্রিয়ায় অবশ্যই ডাক্তরের টেবিলে ছুরি চাকুর নিচে মাথা দিয়ে নয়।
বিভিন্ন স্কুল থেকে অনেক অনুবাদকের চাহিদা অনেক বেশী থাকে। যা আমরা চাইলেও পূরন করতে পারিনা। ছাত্রছাত্রীরা হোমওয়ার্ক করতে দিলেও ঠিকমত করতে পারেনা। এটা একটা বড় সমস্যার কারন বাবা মা তাদের ছেলে মেয়েদের সাহায্য করতে পারেনা পড়াশোনার জন্য। স্কুল খোলা কিংবা বন্ধ থাকবে এরকম কোনও নোটিশ নোটবুকে লিখে দিলেও মা তা বুঝতে পারছেনা। একবার স্কুল বন্ধ কিন্তু মা তার ছেলের নোটবুকে স্কুল বন্ধের তথ্য বুঝতে না পেরে স্কুলে পাঠান। এ লজ্জা সকল মায়েদের,এসব কিছুর অন্তরায় হচ্ছে ভাষার অজ্ঞতা। এখানে অনেক শিক্ষিত বাংলাদেশী ও অজ্ঞ, নিরক্ষর ভাষা না জানার কারনে। অনেকটা চোখ থাকিতেও অন্ধ। অজ্ঞতা এক ধরনের ব্যধির মত। যা অন্তরে বাসা বাধলে মানুষ কখনই সঠিক পথের সন্ধান পান না।
আর সবচেয়ে বড় সমস্যা মহিলাদের নিয়ে যারা একদমই ভাষা জানেনা । জানতে চাইলে উত্তর একটাই, স্বামী গোবেচারা চায়না তাদের সুন্দরী বউরা কষ্ট করে ভাষা শিখুক। কিন্তু স্বামীদের বোঝা উচিৎ তাদের নিজ দ্বায়িত্বে বউদের ভাষা শেখানো। কারন নেপলিয়ন বোনাপার্ট বলেন একজন শিক্ষিত মা-ই পারে একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দিতে। মিকেলা বলে আমার উদ্দেশ্য একটাই ,প্রবাসী বাঙ্গালীরা এত কষ্ট করে এখানে আসে ভালো কিছু করুক। পদোন্নতি হোক তাদের। তাতে করে আমরা এবং অভিবাসি উভয়ই ভালো থাকবো।
রবি ঠাকুর বলতেন,বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র,শেখার কোনও বয়স নেই। যেকোন বয়সেই শেখা যায় যেমন আমি শিখছি বাংলা ভাষা। শিক্ষায় কোনও লজ্জা নেই।যে দেশের মানুষ অস্ত্রবিহীন যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে তারাতো দুর্বল চিত্তের হবার কথা নয়! স্বাধীন করেছে স্বদেশকে নিজেদের শেষ রক্তবিন্দু ঢেলে! আর সে জাতির কি পিছনে পড়ে থাকা মানায়? পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়, জ্বলে পুড়ে নুয়ে ছারখাড় তবু মাথা নোয়াবার নয়।এ হলো আমার সোনার বাংলা।
ভাষা কোন সমস্যা না নিজের ইচ্ছাশক্তিকে প্রাধান্য দিতে হবে তাহলে ইমিগ্রেশন অফিসের চেষ্টা সফল হবে। সফল হবে মায়ের চোখের অশ্রু বিন্দুর। ম্যাক্সিম গোর্কির মতে,শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতা এ দুয়ে মিলে আসে মানুষের জীবনে পরিপূর্ণতা। ভেনিসে বসবাস রত বাঙ্গালী মায়েদের শিক্ষা হয়তো আছে, কিন্তু নেই তাদের অভিজ্ঞতা।
আমি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে তার কথা শুনলাম! এক ভীনদেশী নারীর মুখে দেশপ্রেমের কথা। আজও তিনি বাংলাদেশের পতাকা খচিত মগে করে পানি পান করেন।
আর আমাদের দেশপ্রেম। দু লাইন ইংরেজী বলতে পারলেই নিজেদের নিয়ে গর্বে বুক ফোলাই। অথচ এই ভীনদেশী নারী একটি মুহুর্তের জন্যও একটা ইতালীয়ান ভাষা প্রয়োগ করেননি। দেশপ্রেম থাকা উচিৎ অন্তরে। নিজেদের কর্মের দ্বারা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে হবে আমাদের দেশকে ,প্রমান করতে হবে বীর বাঙ্গালী আমরা। তাহলেই হয়তো কবি দ্বিজেন্দ্র লালের সুরে সুর মিলিয়ে বলতে পারবো, এমন দেশটি কোথাও খুজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্ম ভূমি।
তাহমিনা ইয়াসমিন শশী
ভেনিস থেকে
onar book ta kothay pabo
WoOW How Nice Post.. I Always like Your Post Mis tahmina yasmin shoshi. You are So Great Reporter
Mikala is great.
she is respected by all of Bangladeshi
I salute to him.
Osadharon aschorjo choritrer ek vindehsir golpo! Bangladesh er proti tar ei agroho somman er odhikari. Reporter bisoyti k sundor vhabe futiye tulechen. Dhonnobad apnake.