• Fri. Nov ২২, ২০২৪

আমিওপারি ডট কম

ইতালি,ইউরোপের ভিসা,ইম্মিগ্রেসন,স্টুডেন্ট ভিসা,ইউরোপে উচ্চ শিক্ষা

সুইডেনে সুইডিশ ইন্সিটিউট স্কলারশিপের বিস্তারিত তথ্য। সুইডেনে উচ্চ শিক্ষা করতে চান? উল্লেখ্যঃস্কলারশিপ না পেলে সুইডেনে না পড়তে এসে অন্য দেশে এপ্লাই করাই ভাল।

ByLesar

Jul 11, 2014

পোস্ট ক্রেডিট >> তুলি আপু এবং যুবরাজ শাহাদাৎঃ সুইডেনে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে আসার ব্যাপারে অনেকেই আমাদের জিজ্ঞেস করেন । সবাই যাতে একই তথ্য পান তাই এই নোটটি লেখা। আগেই বলে রাখা ভাল , সুইডেনে বিশ্ববিদ্যালয়ে এপ্লাই করার জন্য IELTS স্কোর লাগে এবং Admission Fee বাবদ ৯০০ সুইডিশ ক্রোনা পে করতে হয়। তাই এপ্লাই করার আগে ভাল মত ভেবে নিন IELTS এবং Admission Fee এর জন্য প্রায় ২৫০০০ টাকা ( IELTS কোচিং করলে আরও বেশি) টাকা খরচ / ইনভেস্ট করতে রাজি আছেন কিনা? কারন স্কলারশিপ না পেলে এডমিশন ফি এর টাকা কিন্তু ফেরত পাওয়া যাবে না।

*** যাদের রেজাল্ট সন্তোষজনক এবং বিভিন্ন এক্সত্রা কারিকুলার এক্টিভিটিতে ( শুধু বিতর্ক নয়, স্টাডি/ লিডারশীপ রিলেটেড) জড়িত তাদের বলব চোখ বুজে আপ্লাই করতে।

** অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পান কিন্তু স্কলারশিপ পান না । তারা অনেকে নিজের টাকায় পড়তে আসেন সুইডেনে । আমি ব্যাক্তিগত ভাবে এইটা সমর্থন করিনা কারন ইউরোপের অনেক দেশ যেমন জার্মানি , ফিনল্যান্ড এ টিউশন ফি নেই । তাই স্কলারশিপ না পেলে সুইডেনে না পড়তে এসে অন্য দেশে এপ্লাই করা ভাল ।

২০১৪-১৫ সালের অটাম সেমিস্টারের সার্কুলার হয়ে গেছে সুইডেনে। তারমানে আপনি যদি  (অক্টোবর ২০১৩- জানুয়ারি ২০১৪ এর মধ্যে ) আপ্লাই করেন তাহলে চান্স পেলে সুইডেনে গিয়ে পড়া শুরু করতে পারবেন ২০১৪ সালের আগস্ট মাস থেকে। আপনি চান্স পেয়েছেন কিনা তার রেজাল্ট দিবে এপ্রিল ২০১৪ তে। যদিও এবছরে আর হবে না কিন্তু আপনি আগামী বছরের জন্য ঠিক একি পদ্ধতিতে আবেদন করতে পারবেন।

১) শুরুতেই আপনাকে যে কাজটা করতে হবে তা হল  https://www.universityadmissions.se/intl/start এই ওয়েবসাইটে গিয়ে ডান দিকে উপরে Create an Account ক্লিক করে নিজের নামে আকউন্ট খুলে ফেলা। মনে রাখবেন , সুইডেনে মাস্টার্সে এপ্লাই করতে হলে কোন প্রফেসরকে আলাদা ভাবে মেইল করতে হয় না। এই ওয়েবসাইট থেকে সব কিছু কেন্দ্রীয় ভাবে ভর্তি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তাই নিজের পুরো নামে, সঠিক ঠিকানা এবং যে মেইল এড্রেস নিয়মিত চেক করেন , সেটা দিয়ে একাউন্ট খুলুন। যাদের ফেসবুক এর মেইল ছাড়া অন্য মেইল নেই তাদের বলব নিজের নাম ব্যাবহার করে নতুন একটা ইমেইল এড্রেস খুলতে  ( NO beauty queen/ rockstar@gmail.com !!!)  যেটা আপনি শুধু সিরিয়াস কাজে ব্যবহার করবেন। পাসওয়ার্ড মনে রাখুন খুব ভাল করে।

এরপর যা করবেন তা হল সম্পুর্ন ওয়েবসাইটটি খুব ভাল মত সার্চ করা। ডেডলাইন কবে , কি কি ডকুমেন্ট লাগবে ইত্যাদি গুরুত্তপুর্ণ সব তথ্য এখানে দেয়া থাকবে । ( আমি নিজে একটা ডায়রি মেইন্টেইন করতাম এইসব গুরুত্তপুর্ণ তথ্য টূকে রাখার জন্য )

এই একাউন্টটি কেন খুলবেন ? কারন এর মাধ্যমেই আপনাকে অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে ভর্তির আবেদন করা, এডমিশন ফী দেয়া , রেজাল্ট জানা, আবেদন Accept/Reject ইত্যাদি সব কাজ করতে হবে ।

২) এখন সবচেয়ে টেনশনের বিষয় হল কোন সাব্জেক্টে এপ্লাই করবেন। সাবজেক্টের ক্যারিয়ার প্রস্পেক্টিভ কিরকম সেটা দেখে তো অবশ্যই এপ্লাই করবেন তবে সুইডেনের ক্ষেত্রে আমি বলব আগে দেখুন কোন সাব্জেক্টে স্কলারশিপ দিচ্ছে তারপর দেখুন সাব্জেক্টার ফিউচার প্রস্পেক্টিভ কিরকম ।
সবাই যে বিষয়ে কনফিউসড থাকে সেটা হল স্কলারশিপের জন্য এপ্লাই আগে করব নাকি ভার্সিটীতে এপ্লাই করব। সুইডেনের ক্ষেত্রে আগে ভার্সিটিতে এপ্লাই করতে হবে। অবশ্যই যে সাব্জেক্টে স্কলারশিপ দিচ্ছে সেই সাব্জেক্টে। কোন বিষয়ে স্কয়ারশিপ দিচ্ছে কিভাবে জানবেন ? সেটা জানা যাবে এই ওয়েবসাইটের লিঙ্কে সেখানে যেতে এখানে ক্লিক করুণ।

সুইডেনের সবচেয়ে বড় ও সম্মানীয় ফুলব্রাইট স্কলারশিপ হচ্ছে  Swedish Institute Study Scholarship. মনে রাখবেন বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরা  Category 1 এর আন্ডারে এপ্লাই করতে পারবে ।

২০১৫ সালের জন্য  Eligible Programs for Scholarship  পাবলিশ হবে ডিসেম্বর ২ , ২০১৪ তারিখে । তাই আপাতত ডিসেম্বর ২ তারিখের জন্য অপেক্ষা করুন , Eligible Programs এর লিস্ট দেখুন তারপর বিষয় বাছাই করুন।

***মনে রাখবেন সুইডেনে একবারে ৪টা বিষয়ে আবেদন করা যায়। তাই বলে লিস্ট থেকে যেন তেন ৪টা বিষয় এপ্লাই করাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। ধরুন একটা বিষয় আপনার পছন্দ হল। আপনি যা করবেন – যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাব্জেক্ট পছন্দ হয়েছে, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই বিষয়ের ওয়েবসাইট ভিসিট করুন, অবশ্যই অবশ্যই  Eligibility / Criteria for Admission পড়ুন খুব ভাল করে, দেখুন তারা নির্দিস্ট কোন বিষয়ের উপর কত ক্রেডিট চাচ্ছে এবং তা আপনি অনার্সে সম্পন্ন করেছেন কিনা তা আপনার অনার্সের ট্রান্সক্রিপ্ট থেকে দেখে নিন। যদি একমাত্র আপনি তাদের ক্রাইটেরিয়া সম্পুর্ন ফুলফিল করেন তাহলেই কেবল ওই সাবজেক্টে এপ্লাই করুন। ( আমি যেমন Uppsala University তে Biotechnology এর জন্য এপ্লাই করেছিলাম যেখানে তাদের ক্রাইটেরিয়া ছিল Chemistry 30 credit সম্পন্ন থাকতে হবে। কিন্তু SAU তে আমরা  Agri- Chemistry, Biochemistry Biotechnology সব মিলে 20 ক্রেডিট ও পড়িনা। তাই আমার ওই বিষয়ে চান্স হয়নি ) সুতরাং বিষয় বাছাই করুন সাবধানে। আপনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ টা বিষয় অথবা ৪ ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ টা ভিন্ন বিষয়ে আবেদন করতে পারবেন।

৩) ৪ টা বিষয় তো বাছাই হল। এরপর কাজ আরও বাড়ল আরকি। এখন ওই ৪ টা সাব্জেকটের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখুন কি কি Documents ( Motivation letter , Recommendation letter ) চেয়েছে। যেভাবে চেয়েছে ঠিক সেভাবেই রেডি করে ফেলুন। মিথ্যা তথ্য দিবেন না , কপিপেস্ট করা Motivation letter , Recommendation letter দিবেন না। ধরা তো অবশ্যই পড়বেন, ভবিষ্যতেও যাতে আর সুইডেনে এপ্লাই না করতে পারেন সেই ব্যাবস্থাও বিনামূল্যে হয়ে যাবে। LoR, SoP লেখার পর অভিজ্ঞ কাউকে দিয়ে গ্রামার চেক করিয়ে নিন।

৪) নির্দিস্ট বিষয়ভিত্তিক Documents ছাড়াও আরও কিছু  Additional Documents যেমন IELTS Score, Transcript, Passport Photocopy ইত্যাদি রেডি করতে হবে যেগুলো পাবেন Universityadmission.se ( ১ম ওয়েবসাইট ) । কিছু Documents নোটারি করা লাগবে কিছু হয়ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দ্বারা সত্যায়িত করালেই চলবে। তাই ভাল করে পড়ে দেখুন ঠিক কি চেয়েছে সেভাবে Documents রেডি করুন ।

তাহলে সব কাজের সামারি হল –
১) Eligible Programs এর লিস্ট দেখে ৪টা বিষয় বাছাই করা ।
২) নির্দিস্ট ডেডলাইনের মধ্যে অনলাইনে ৪টা বিষয়ের উপর আবেদন করা Universityadmission.se এ ।
৩) নির্দিস্ট ডেডলাইনের মধ্যে Universityadmission.se এ Admission Fee pay করা ।
৪) নির্দিস্ট ডেডলাইনের মধ্যে Motivation letter , Recommendation letter, IELTS Score, Transcript, Passport Photocopy ইত্যাদি “হার্ড কপি ” একটি নির্দিস্ট ঠিকানায় পাঠানো ( Universityadmission.se এ ঠিকানা ও ডেডলাইন পাওয়া যাবে )

এটাতো গেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা । আপনি চান্স পেলেন কিনা তা জানার আগেই আপনাকে স্কলারশিপের জন্য আলাদা ভাবে আবার আবেদন করতে হবে https://applications.si.se/Home এইখানে গিয়ে । LogIn করুন , কি কি ডকুমেন্ট চেয়েছে , কিভাবে চেয়েছে সব ভাল ভাবে পড়ুন। সাধারণত ১ টা সিভি আর যে ৪টা বিষয়ে আবেদন করেছেন সেই ৪ টা বিষয়ের উপরে নির্দিস্ট ফরম্যাটে Motivation Letter লিখুন । স্কলারশিপের জন্য সব কিছু লিখে অনলাইনে আবেদন করতে সময় পাবেন কিন্তু মাত্র ১০ দিন ! ডেডলাইন এর ২দিন আগেই সব লিখে ফেলুন যাতে চাপমুক্ত থাকতে পারেন । তবে স্কলারশিপের জন্য অনলাইনে আবেদন করলেই চলবে ,কোন হার্ড কপি পাঠাতে হবে না ।

সাধারণত জানুয়ারি ১৫ তারিখের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করা ও ফি পরিশোধ করতে হয় , জানুয়ারি ৩০ এর মধ্যে সব হার্ড কপি সুইডেনে পাঠাতে হয় ও ফেব্রুয়ারির ১ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে স্কলারশিপের অনলাইন আবেদন করতে হয় । এটা ছিল গত বছরের ডেডলাইন । অবশ্যই এই বছরের ডেডলাইন চেক করে প্রস্তুতি নিন ।

আপনি বিশ্ববিদ্যালয়য়ে চান্স পেয়েছেন কিনা তা জানাবে এপ্রিলের ১ম দিকে এবং স্কলারশিপের রেজাল্ট দিবে তার ১ বা ২ সপ্তাহ পর । আপনাকে অবশ্যই যেসব বিষয়ে চান্স পেয়েছেন তার একটা এক্সেপ্ট করতে হবে স্কলারশিপের রেজাল্ট দেয়ার আগেই। বন্ধুরা তাহলে আজ এই পর্যন্তই, সবাই ভালো থাকবেন।

[[ আপনি জানেন কি? আমিওপারি ওয়েব সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা প্রকাশ করার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে এই লেখায় ক্লিক করে জানুন এবং  তুলে ধরুন। নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। আর আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে রয়েছে অনেক মজার মজার সব ভিডিও সহ আরো অনেক মজার মজার টিপস তাই এগুলো থেকেবঞ্চিত হতে না চাইলে এক্ষনি আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে লাইক দিয়ে আসুন এখানে ক্লিক করে। এবং আপনি এখন থেকে প্রবাস জীবনে আমাদের সাইটের মাধ্যমে আপনার যেকোনো বেক্তিগত জিনিসের ক্রয়/বিক্রয় সহ সকল ধরনের বিজ্ঞাপন ফ্রিতে দিতে পাড়বেন বিস্তারিতু জানতে এখানে ক্লিক করুণ। ]]

Lesar

আমিওপারি নিয়ে আপনাদের সেবায় নিয়োজিত একজন সাধারণ মানুষ। যদি কোন বিশেষ প্রয়োজন হয় তাহলে আমাকে ফেসবুকে পাবেন এই লিঙ্কে https://www.facebook.com/lesar.hm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *