বেশ কিছু ইরানি শিক্ষার্থীকে রেসিডেন্স পারমিট দিতে অস্বীকার করেছে নরওয়ে। দেশটির সরকার এর কারণ হিসেবে ইরানের ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে।
নরওয়ের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ইউডিআই দাবি করেছে, ইরানি শিক্ষার্থীরা উন্নত ও স্পর্শকাতর প্রযুক্তি তাদের দেশে সরবরাহ করতে পারে বলে তাদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।[sociallocker]
যেসব শিক্ষার্থীকে নরওয়ে রেসিডেন্স পারমিট দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তাদের একজন হলেন হামিদে কাফফাশ। তিনি গত আট মাস ধরে নরওয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (এনটিএনইউ) পিএইচডি করছেন। অসলো সরকারের সিদ্ধান্তকে তিনি ‘অবিশ্বাস্য’ উল্লেখ করে বলেছেন, তিনি পরিবেশ বিষয়ক একটি প্রকল্পে কাজ করছিলেন। এ প্রকল্পের সঙ্গে ‘স্পর্শকাতর প্রযুক্তি’র কোনো সম্পর্ক নেই।
নরওয়ের পুলিশ নিরাপত্তা বিভাগ বা পিএসটি সেদেশের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর এক জরিপ চালানোর পর ইউডিআই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবশ্য পিএসটি শুধুমাত্র ইরানি শিক্ষার্থীদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করার খবর অস্বীকার করেছে। পিএসটির কর্মকর্তা আরনে ক্রিশ্চিয়ান হগস্টয় ইরানের স্যাটেলাইট নিউজ চ্যানেল প্রেসটিভিকে বলেছেন, “আমরা শুধুমাত্র ইরানিদের টার্গেট করিনি। আমরা শুধুমাত্র জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুসরণ করছি। অন্যান্য শিক্ষার্থীর সঙ্গে ইরানি ছাত্র-ছাত্রীরাও এর আওতায় পড়ে গেছে।”
এনটিএনইউ’তে হামিদে কাফফাশের উপদেষ্টা অধ্যাপক মেরেটে ট্যানানগার বলেছেন, তার ডিপার্টমেন্টে ‘স্পর্শকাতর প্রযুক্তি’ বা গণবিধ্বংসী অস্ত্র নিয়ে কোনো অনুসন্ধান চালানো হয়নি।
ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে বলে আমেরিকা যে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে তার ওপর ভিত্তি করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইরান বরাবরই এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে এসেছে এবং আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থাও আমেরিকার দাবির সত্যতার প্রমাণ পায়নি।
সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে, এই মুহূর্তে নরওয়েতে ইরানি শিক্ষার্থীদের বসবাসের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে ইউডিআই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তারা কোনো গবেষণার কাজ করতে পারছেন না। [/sociallocker]