• Tue. Dec ৩, ২০২৪

আমিওপারি ডট কম

ইতালি,ইউরোপের ভিসা,ইম্মিগ্রেসন,স্টুডেন্ট ভিসা,ইউরোপে উচ্চ শিক্ষা

ধারাবাহিক ভাবে কম্পিউটার শিখি একদম নতুনদের জন্য (পর্ব ০2)

ByLesar

Oct 27, 2012

সবগুলো পর্ব একসাথেঃ

ধারাবাহিক ভাবে কম্পিউটার শিখি একদম নতুনদের জন্য (পর্ব ০১)

ধারাবাহিক ভাবে কম্পিউটার শিখি একদম নতুনদের জন্য (পর্ব ০2)

ধারাবাহিক ভাবে কম্পিউটার শিখি একদম নতুনদের জন্য (পর্ব ০3)

ধারাবাহিক ভাবে কম্পিউটার শিখি একদম নতুনদের জন্য (পর্ব ০৪)

 

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালই আছেন, আমি ও আমরা আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি।“দ্বিতীয় পর্ব” দ্বিতীয় পর্বে যা থাকছে।

১- কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ  Classification of Computer

২-  কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার সম্পর্কে ধারনা

 

 ১- কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ

আকৃতি,মূল্য,সংরক্ষণ ক্ষমতা, তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ও কার্য সম্পাদনা এবং ব্যবহার সুবিধা ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারকে বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে। আকৃতিগত ও ব্যবহারের দিক থেকে কম্পিউটারকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ভাগ গুলো হলোঃ

১ – সুপার কম্পিউটার (Super Computer)

২ – মেইনফ্রেম কম্পিউটার (Mainframe Computer)

৩ – মিনি কম্পিউটার (Mini Computer)

৪ – মাইক্রো কম্পিউটার (Micro Computer)

 Super Computer

১ – সুপার কম্পিউটার (Super Computer) – আকৃতিগত দিক থেকে সর্ববৃহৎ এই কম্পিউটারের তথ্য সংরক্ষণ ও তথ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা অত্যন্ত শক্তিশালী ও দ্রুত গতি সম্পন্ন। বিপুল প্রক্রিয়াকরণের কাজে ব্যবহৃত অধিক ব্যয়বহুল এই কম্পিউটার সাধারণত বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও বৃহৎ প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ – CRAY-1,CRAY X-MP,CYBER-205 । সম্প্রতি জেদ্দায় বাদশাহ আব্দুল্লাহ ইবনে আজিজ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজিতে শাহীন নামের একটি সুপার কম্পিউটার স্থাপন করা হয়েছে, যা উন্নত বিশ্বের বাহিরে সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটার।

Mainframe Computer

২ – মেইনফ্রেম কম্পিউটার (Mainframe Computer) – সুপার কম্পিউটারের চেয়ে ছোট কিন্তু অন্যান্য কম্পিউটারের চেয়ে বড় এ ধরনের কম্পিউটার একই সঙ্গে অনেকগুলি গ্রহণ মুখ / নির্গমন মুখ এবং অনেক রকম সহায়ক সৃতির সাথে সংযোগ রক্ষা করে কাজ করতে পারে। বড় বড় প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের কম্পিউটারের ব্যবহার দেখা যায়। উদাহরন- UNIVAC 1100/01, IBM6120, IBM4341, NCR N8370, DATA GENERAL CS30 ইত্যাদি।

Mini Computer

৩ – মিনি কম্পিউটার (Mini Computer) – মাঝারি ধরনের এ শ্রেণীর কম্পিউটারকে একটি টেবিলে বসানো সম্ভব। এ শ্রেণীর কম্পিউটারের টার্মিনালের মাধ্যমে অনেক ব্যবহারকারী কাজ করতে পারে। এ ধরনের কম্পিউটারের কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশের জন্য সাধারণত একক বোর্ড বিশিষ্ট বর্তনী ব্যবহৃত হয়। উদাহরন- PDP11,NOVA3,IBM S/34,IBM S/36 ইত্যাদি।

 

৪ – মাইক্রো কম্পিউটার (Micro Computer)– বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় এ ধরনের কম্পিউটারগুলো আকৃতিগত দিক হতে ছোট এবং দামেও খুব সস্তা। কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশের জন্য সাধারণত একক বোর্ড বিশিষ্ট বর্তনী ব্যবহৃত হয়। আমাদের জীবনযাপনের সর্ব ক্ষেত্রে এ শ্রেণীর কম্পিউটার ব্যবহৃত হয় , তাই একে মাইক্রো কম্পিউটার বা পার্সোনাল কম্পিউটারও বলা হয়। উদাহরন – IBM PC, APPLE iMac ইত্যাদি। মাইক্রো কম্পিউটার বা পার্সোনাল কম্পিউটারকে আবার তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। যথাঃ

  • ১- সুপার মাইক্রো (Super Micro)
  • ২- ডেস্কটপ (Desk Top)
  • ৩- ল্যাপটপ  (Lap Top) 

সুপার মাইক্রো (Super Micro)–  সুপার মাইক্রো কম্পিউটার সবচেয়ে শক্তিশালী মাইক্রো কম্পিউটার । এর আরেক নাম ওয়ার্ক স্টেশন (Work station)। এ শ্রেণীর কম্পিউটারের ক্ষমতা মিনি কম্পিউটারের কাছাকাছি বিধায় এগুলো মিনি ফ্রেমের স্থান দখল করে নিচ্ছে।

 

ডেস্কটপ (Desk Top) – এ শ্রেণীর কম্পিউটার সহজেই একটি ডেস্ক এর উপর রাখা যায় বলে এগুলো ডেস্কটপ কম্পিউটার বলা হয়।

 

ল্যাপটপ  (Lap Top) – ডেস্কটপ কম্পিউটার অপেক্ষা খুদ্র কম্পিউটার গুলো ল্যাপটপ নামে পরিচিত। এগুলো আকারে ছোট, বহনযোগ্য এবং কাজ করার হময় Lap বা কোল- এর উপর রেখে কাজ করা যায় বলে এগুলোকে বলা হয় ল্যাপটপ কম্পিউটার। ল্যাপটপ কম্পিউটার গুলোকে আবার দুই শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।

 যথাঃ-   নোট বুক (Note Book)- এগুলো ছোট ডায়েরির মতো দেখতে।

 

 

 

২- কম্পিউটার হার্ডওয়্যার সম্পর্কে ধারনাঃ

একটি মাইক্রোকম্পিউটার অনেক গুলো আলাদা ইলেকট্রিক ও  ইলেক্ট্রনিক যান্ত্রিক অংশ দ্বারা গঠিত। এই যন্ত্রগুলো সফটওয়্যার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, এই গুলোর প্রত্যেকটিকে হার্ডওয়্যার বলে।সবারই ইচ্ছা থাকে একটা কম্পিউটার কেনার। কিন্তু একটা ভালো কম্পিউটার কেনার জন্য কম্পিউটার সম্পর্কে কিছু বিষয় জানা প্রয়োজন। আমরা আজকে আপনাদের সেইরকম কিছু বিষয়ই জানাবো। কম্পিউটারের ব্যাপারে একেবারেই নতুন, এমন মানুষদের কথা মাথায় রেখেই পোস্টটা সহজ কথায় লেখার চেষ্টা করা হল।বাজার থেকে আমরা সাধারণত দুই ধরনের কম্পিউটার বেশী কিনে থাকি ১- ডেস্কটপ কম্পিউটার  ২- ল্যাপটপ কম্পিউটার যা সাথে করে বহন করা যায়।

কম্পিউটার কেনার সময় প্রথমেই কয়েকটি জিনিসের প্রতি লক্ষ্য রাখবেন:

আপনি কম্পিউটার এক্সপার্ট না হলে অন্তত:পক্ষে Processor, Mainboard, RAM, HDD, ODD, Graphics Card, Casing,Monitor এগুলো সম্পর্কে আপনাকে কিছু ধারনা রাখতে হবে।

এখন আমরা কম্পিউটারের মূল প্রত্যেকটি আলাদা part সম্পর্কে বলবো এবং এগুলো কেনার সময় কী কী বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে, সে সম্পর্কে কিছু বোঝানোর চেষ্টা করবো।

 

ইন্টেল কোর আই ৭ প্রসেসর

Processor (প্রসেসর):

কম্পিউটারের প্রধান জিনিস। এটিই কম্পিউটারের সকল কাজ করে থাকে। মূলত একেই CPU (Central Processing Unit) বলে। প্রসেসর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল Intel এবং AMD (Advanced Micro Device)। দুইটাই ভালো, তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং technology’র দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে Intel । প্রসেসরের সিরিজ কী, সেটা খেয়াল করতে হবে। সিরিজ যত উন্নত হবে, স্পিড তত বাড়বে। Intel এর প্রথম দিককার প্রসেসর এর মধ্যে রয়েছে, Pentium Series। পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে এসেছে, Celeron series, Core Series, i Series। Pentium Series এর মধ্যে, P1 (Pentium 1) এর চাইতে P2 ভালো, P2 এর চাইতে P3 ভালো আবার, P3 এর চাইতে P4 ভালো। অর্থাৎ, same clock speed এর P1 এর চাইতে P2  এর স্পিড বেশি। আবার, একইভাবে, Pentium Series এর চাইতে Core Series এর স্পিড বেশি। core series এর প্রসেসর গুলোর মধ্যে, Core 2 Quad> Core 2 Duo> Dual Core. আবার core i series এর প্রসেসর গুলোর মধ্যে, Core i7 extreme> Core i7> Core i5> Core i3।

 

মেইনবোর্ড বা মাদারবোর্ড

Mainboard or Motherboard (মেইনবোর্ড বা মাদারবোর্ড):

এই বোর্ডটিতেই কম্পিউটারের সকল যন্ত্রাংশ যুক্ত থাকে। মেইনবোর্ড এর জন্য ভালো ব্র্যান্ডগুলো হল: Gigabyte, Intel, Foxcon, Asus ইত্যাদি। মেইনবোর্ড অবশ্যই প্রসেসর সাপোর্টেড হতে হবে। মেইনবোর্ড এর পোর্ট দুই ধরনের হয়, IDE এবং S-ATA। তবে বর্তমানে S-ATA পোর্টের মেইনবোর্ডই দেখা যায়। প্রায় সব S-ATA পোর্টের মেইনবোর্ডে অন্তত একটি IDE পোর্ট থাকে। প্রয়োজনে IDE to S-ATA converter ব্যবহারের মাধ্যমে S-ATA পোর্টের মেইনবোর্ডে IDE device ব্যবহার করা যায়।

RAM

RAM- Random Access Memory (র‍্যাম):

RAMও কম্পিউটারের স্পিড বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। RAMএর জন্য ভালো ব্র্যান্ড হচ্ছে: Transcend, Twinmos ইত্যাদি। RAM কেনার সময় এগুলো খেয়াল রাখবেন:

১. RAM এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে কম্পিউটারের স্পিড বাড়বে। অর্থাৎ, 1 GB RAM এর চেয়ে 2 GB RAM এর স্পিড বেশি হবে।

২. RAM এর বাস ফ্রিকোয়েন্সি বেশি হলে RAM এর ক্ষমতা বাড়বে।

৩. RAM এর ধরন উন্নত হলে তা কম্পিউটারের গতি আরও বৃদ্ধি করবে। যেমন, DDR3 RAM সমপরিমাণের DDR2 RAM এর চেয়ে শক্তিশালী। তবে মেইনবোর্ডে RAM এর স্লট যেমন হবে, সেই ধরনেরই RAM কিনতে হবে। RAM মেইনবোর্ড বা মাদারবোর্ড এর মধ্যে লাগানো থাকে।

 

হার্ডডিস্ক (HDD)

Hard Disk Drive (HDD) (হার্ডডিস্ক):

কম্পিউটারের তথ্য এতে জমা থাকে।আপনার সব ফাইল বা তথ্য এর ভিতর জমা থাকে। এটি কম্পিউটারের Virtual RAM হিসেবেও কাজ করে। এর ভালো ব্র্যান্ড হচ্ছে, Samsung, Transcend ইত্যাদি। এটি কেনার সময় নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য করবেন:

১. সাধারণভাবেই, হার্ডডিস্ক এর স্টোরেজ ক্ষমতা বেশি হলে বেশি তথ্য জমা রাখতে পারবেন। বাজারে ১৬০ GB থেকে শুরু করে ৩ TB হার্ডডিস্ক পাওয়া যায়।

২. হার্ডডিস্ক এর RPM (Revolutions Per Minute) বেশি হলে এর ডাটা ট্রান্সফার রেট বেশি হবে।

৩. বাজারে দুই ধরনের হার্ডডিস্ক পাওয়া যায় এক্সটার্নাল(বহনকারী) ও ইনটার্নাল( স্থায়ী)  । এক্সটার্নাল হার্ডডিস্ক

এর শুভিদা হচ্ছে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য সব সময় আপনার সাথে সাথে বহন করতে পারবেন এবং যে কোন কম্পিউটারে এটি ব্যাবহার করতে পারবেন,যে কেও এটি ব্যাবহার করতে পারবে কারন একে ব্যাবহার করা খুবই সহজ। আর ইনটার্নাল হার্ডডিস্ক  কম্পিউটারের ভিতরে মাদারবোর্ড এর সাথে লাগানো থাকে। অনেক সময় নানান কাজে যারা কম্পিউটার এক্সপার্ট তারা এক কম্পিউটারের ইনটার্নাল হার্ডডিস্ক  অন্য কম্পিউটারে লাগিয়ে কাজ করে থাকে তবে এটা সবার জন্য নয়। লক্ষণীয়: এক্সটার্নাল হার্ডডিস্ক ইনটার্নাল হার্ডডিস্ক   HDD এর ন্যায় ব্যবহার করা যায় না, তবে ইন্টার্নাল HDD, এক্সটার্নাল HDD এর ন্যায় ব্যবহার করা যায়।

 

কেসিং

Casing (কেসিং):

কেসিং হল Mainboard, HDD, ODD সাজিয়ে রাখার জন্য বক্স।এর ভিতরেই কম্পিউটারের আসল পার্টস গুলো লাগানো থাকে।  কেসিং এর জন্য ব্র্যান্ড অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে Mercury এবং Gigabyte  এর কেসিং গুলো ভালো হয়।

 

Optical Disk Drive (ODD)

Optical Disk Drive (ODD) (অপটিক্যাল ডিস্ক ড্রাইভ):

ODD হল সিডি/ডিভিডি প্লেয়ার/রাইটার। ODD এর জন্য ভালো ব্র্যান্ড হল: Samsung, Asus, Lite-On ইত্যাদি। লক্ষ্য করুন:

১. বর্তমানে সিডি প্লেয়ার এবং ডিভিডি প্লেয়ার এর মূল্যে পার্থক্য খুবই কম। CD player, DVD play করতে পারেনা, কিন্তু DVD player, CD play করতে পারে।

২. আপনি চাইলে কিছুটাকা বেশি দিয়ে Combo Drive অথবা DVD writer কিনতে পারেন। Combo drive হল সেইসব ODD যেগুলো CD Play, DVD play এবং  CD write করতে পারে। আর DVD writer দিয়ে আপনি CD play, DVD play, CD write, DVD write সবই করতে পারবেন।

 

গ্রাফিক্স কার্ড

Graphics Card (গ্রাফিক্স কার্ড) বা AGP Card(Accelerated Graphics Port Card):

ভালো গেম খেলার  জন্য বা গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর কাজের জন্য ভালো গ্রাফিক্স কার্ড অত্যন্ত প্রয়োজন। গ্রাফিক্স কার্ডের মধ্যে ভালো ব্র্যান্ড হল:  Asus, Gigabyte, Sapphire  ইত্যাদি। এটি কেনার জন্য নিচের বিষয়গুলো খেয়াল করবেন।

১. V-RAM বেশি হলে ভালো গ্রাফিক্স পাবেন।

২. সাধারণ র‍্যাম এর মতই V-RAM এর টাইপ উন্নত হলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

৩. এছাড়াও, Clock rate, Memory Bus ইত্যাদি বিভিন্ন জিনিসের জন্যও গ্রাফিক্স কার্ডের ক্ষমতার পরিবর্তন হয়।

৪. আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট গেম এর প্রতি আকৃষ্ট হন অথবা নির্দিষ্ট কোন সফটওয়্যার দিয়ে কাজ করেন, তবে সেই সফটওয়্যারের requirement অনুসারে নির্দিষ্ট চিপসেটের গ্রফিক্স কার্ড কিনতে হবে।

মনিটর

Monitor (মনিটর):

এটাই কম্পিউটারের প্রধান আউটপুট। মনিটরের জন্য ভালো ব্র্যান্ড গুলো হচ্ছে: Samsung, Philips, LG, Asus, HP, Fujitsu ইত্যাদি। মনিটর কেনার সময় নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখবেন:

LCD (Liquid Cristal Display) /LED (Light Emitting Diode) Monitor এর ক্ষেত্রে:

১. আপনার প্রয়োজন অনুসারে স্ক্রিন সাইজ সিলেক্ট করবেন। বর্তমানে অনেক মনিটরেই Built-in TV Tuner থাকে। একই সাথে কম্পিউটারের মনিটর এবং টিভির কাজ করবে এগুলো। TV Tuner না থাকলে প্রয়োজন হলে আপনি পৃথকভাবে TV Tuner কিনতে পারবেন।

২. LCD মনিটর গুলো স্কয়ার এবং ওয়াইড স্ক্রিন এই দুই ধরনের হয়। আপনার কজের প্রয়োজন অনুসারে আপনি তা select করবেন।

৩. LCD এবং LED মনিটর এর পার্থক্য হল: LED মনিটর হল উন্নত প্রকারের LCD মনিটর। তুলনামূলক ভাবে LED মনিটরে ভালো ছবি দেখা যায়। তাছাড়া, LED মনিটরে দেখতেও সাচ্ছন্দ্য বোধ হয়।

৪. কন্ট্রাস্ট রেশিও (Contrast Ratio) লক্ষ্য করবেন। এটি যত বেশি হবে, ছবির মান তত ভালো হবে, অর্থাৎ ছবি শার্প আসবে।

৫. Response Time কম হলে ভালো হয়.

 

কী-বোর্ড

Key Board (কীবোর্ড):

কী-বোর্ড কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুইটা ইনপুট ডিভাইস এর মধ্যে এটি একটি। কী-বোর্ড এর জন্য ভালো ব্র্যান্ড হল: A4Tech, Deluxe, Mercury ইত্যাদি। এটি কেনার সময় লক্ষ্য করবেন বাংলা অক্ষর রয়েছে কিনা। (Unijoy বা Bijoy লে আউট-এ লেখার জন্য অপরিহার্য)।আপনি দেশের বাইরেও অনেক বাঙ্গালী দোকানে বাংলা কী-বোর্ড কিনতে পারবেন।তবে বাংলা কী-বোর্ড না হলেও কোন সমস্যা নেই।

 

মাউস

Mouse  (মাউস):

অপর গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট ডিভাইস হল এটা। এর ভালো ব্র্যান্ড হল: A4Tech, Mercury ইত্যাদি।

১. কত DPI (Dots Per Inch) লক্ষ্য করবেন। DPI বেশি হলে সূক্ষ্ণ ভাবে মাউস দিয়ে কাজ করতে পারবেন।

২. ধরতে সুবিধা হয়, এমন মাউস কিনবেন।

মডেম

মডেম (Modem):

কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য এই মডেম । এটি ছাড়া আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না। মডেম যন্ত্রটি কম্পিউটারের ভাষাকে টেলিফোনের ভাষায়( অর্থাৎ এনালগ সিগনালকে ডিজিটাল সিগনালে) এবং টেলিফোনের ভাষাকে কম্পিউটারের ভাষায় রূপান্তরিত করে তথ্য প্রেরণ ও গ্রহণ করে থাকে।টেলিফোন লাইনের তারটি সংযুক্ত করতে হয় মডেম যন্ত্রের সঙ্গে মডেম যন্ত্রের তারটি সংযুক্ত করতে হয় কম্পিউটারের সঙ্গে।  বর্তমানে  Wi Fi মডেম বেশী জনপ্রিয়, কারন Wi Fi  মডেম দ্বারা আপনি এক মডেম দিয়ে ৪-৫  ও আরো বেশী কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন তাও আবার তার ছাড়া। সহজ ভাবে আপনাদের বুঝানো হলো… Wi Fi মডেম অনেকটা মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক এর মতো। মোবাইলে যেভাবে তার ছাড়া  বার্তা প্রেরণ করা হয়ে থাকে ঠিক সেই ভাবে Wi Fi মডেম টেলিফোনের বার্তা তার ছাড়া কম্পিউটারে প্রেরণ করে থাকে তবে Wi Fi মডেমের নেটওয়ার্ক সীমিত হয়ে থাকে। যেমন এটি ১৫০ থেকে ২০০ মিটার পর্যন্ত কভার করতে পাবে।মডেম ক্রয় করার খেত্তে আপনি যাদের কাছ থেকে ইন্টারনেট লাইন নিবেন তাদের সাথে কথা বলে ক্রয় করবেন।

হেডফোন / মাইক্রফোন

হেডফোন / মাইক্রফোন (Headphone  / Microphone ) :

হেডফোন / মাইক্রফোন সম্পর্কে বলার কিছু নেই। আপনি যদি ইন্টারনেট দিয়ে কারো সাথে ভয়েস কল বা কম্পিউটারে গান শূনতে চান তো আপনাকে এটি কিনতে হবে। উল্লেখ্যঃ বাজারে হেডফোন ও মাইক্রফোন আলাদা আলাদা ভাবে ও দুটো একসাথেও পাওয়া যায়। শুধু গান শূনতে চাইলে হেডফোন  কিনলেই হবে, আর কথা বলার জন্য মিলিত ভাবে যেটা পাওয়া যায় সেটা কিনতে হবে।

ওয়েব ক্যামেরা

ওয়েব ক্যামেরা (Web cam): কম্পিউটার দিয়ে নিজের ছবি তুলা ও ভিডিও কল করার জন্য এটার ব্যবহার। এটার মেগা পিক্সেল যত বেশী হবে ছবির মান ততো ভালো আসবে।

ইউপিএস

 UPS (Uninterpretable Power Supply) ইউপিএস:

বাংলাদেশে ডেস্কটপ কম্পিউটারের জন্য UPS যে অপরিহার্য তা বলার বাইরে। UPS কেনার সময় এগুলো লক্ষ্য করবেন:

১. দুই ধরনের UPS পাওয়া যায়। Online UPS এবং Offline UPS। এদের মধ্যে পার্থক্য হল, বিদ্যুৎ চলে গেলে Online UPS on হতে কোন সময় নেয় না, কিন্তু Offline UPS সামান্য সময় নেয়। সম্ভবনা কম হলেও এই সামান্য সময়ের মধ্যে কম্পিউটারের পাওয়ার চলে গিয়ে রি-স্টার্ট হতে পারে।

২. আপনার চাহিদা অনুযায়ী UPS এর পাওয়ার select করবেন। মনিটরের স্ক্রিন বড় হলে, বেশি পাওয়ারের গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করলে, উন্নত প্রসেসর হলে বেশি পাওয়ারের UPS প্রয়োজন। দোকানে আপনার কম্পিউটারের কনফিগারেশন বললে তারা সঠিক UPS দিতে পারবে।

৩. সাধারণত একটি UPS এর Back-up time ২০-২৫ মিনিট। এর চেয়ে বেশি Back-up time এর UPS কিনতে হলে মূল্য বেশি হবে।তবে আমরা যারা দেশের বাইরে আছি তাদের এটি না কিনলেও চলবে তবে হে আপনি যেখানে থাকেন সেখানে যদি বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার প্রবণতা থাকে তো আপণী এটি কিনতে পাড়েন ।

 

TV- Tuner/ TV card

TV- Tuner/ TV card:

কম্পিউটারের মনিটরকে একই সাথে টিভি দেখার কাজে ব্যবহার করতে প্রয়োজন। LCD/LED টিভির মূল্য বেশি বলে অনেকেই LCD monitor এবং TV card কিনে টিভি দেখার পদ্ধতির দিকে ঝুঁকছেন। তবে টিভি দেখাই যদি হয় আপনার উদ্দেশ্য, তবে LCD/ LED TV monitor ই কিনুন। এতে ফলাফল ভালো পাবেন। TV card এর সুবিধা হল, এর মাধ্যমে আপনি শুধু টিভিই দেখতে পাবেন না, অনুষ্ঠানও রেকর্ড করে আপনার হার্ডডিস্ক এ জমা করে রাখতে পারবেন। TV tuner অবশ্যই মনিটরের রেজ্যুলেশন এর সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ হতে হবে। শপ এ আপনার মনিটরের রেজ্যুলেশন বা মডেল বললেই তারা সঠিক টিভি কার্ড বেছে দিতে পারবেন। TV card এর জন্য ভালো ব্র্যান্ড হল: Avermedia, Real view, Gadmei ইত্যাদি। (উল্লেখ্য এটি না কিনলেও বলবে।)

 

স্পিকার

Speaker  ( স্পিকার):

কম্পিউটারের আরেকটি আউটপুট ডিভাইস। গানের প্রতি আপনার আসক্তি অনুযায়ী এটি কিনবেন। ২:১ এর স্পিকার হল মোট তিনটি স্পিকারের সমষ্টি, যার মধ্যে একটি বড় এবং অন্য দুইটি ছোট। বড়টি হল উফার (woofer) এবং ছোটটি হল সাব উফার (sub-woofer)। উফারটি ব্যাস সাউন্ড এবং সাব উফারটি ট্রেবল প্রদান করে। গানে আপনার ভালো আসক্তি থাকলে এক্সটার্নাল সাউন্ড কার্ড কিনতে পারেন। তবে বর্তমান প্রায় সব মেইনবোর্ড এই ৫:১ সাউন্ড কার্ড বিল্ট-ইন থাকে। ফলে আপনি ৫:১ স্পিকার ব্যবহার করতে পারবেন। তবে আরও উন্নত সাউন্ডের জন্য ৭:২ স্পিকারও ব্যবহার করতে পারেন (এর জন্য ৭:২ সাউন্ড কার্ড লাগবে)। স্পিকারের জন্য ভালো ব্রCreative, Microlab, Logitech ইত্যাদি।(উল্লেখ্য এটি না কিনলেও চলবে)।  তাহলে আজ এই পর্যন্তই আলোচনা রাখলাম,  পরবর্তি পর্ব  নিয়ে খুব তারাতারিই আপনাদের মাঝে হাজির হব, ততক্ষন আমাদের সাথেই থাকুন।ভাল লাগলে কমেন্টে জানাতে ভুলবে না…

যদি আমাদের লেখার মাঝে কোন ভুলত্রুটি থাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ সবাই ভাল থাকবেন।

Lesar

আমিওপারি নিয়ে আপনাদের সেবায় নিয়োজিত একজন সাধারণ মানুষ। যদি কোন বিশেষ প্রয়োজন হয় তাহলে আমাকে ফেসবুকে পাবেন এই লিঙ্কে https://www.facebook.com/lesar.hm

২ thoughts on “ধারাবাহিক ভাবে কম্পিউটার শিখি একদম নতুনদের জন্য (পর্ব ০2)”
  1. ধন্যবাদ,এতো সুন্দর করে উপস্থাপনের জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *