কী ব্যবসা করবেন তা ঠিক করে হুট করে ব্যবসায় নামলেন আর তরতর করে এগিয়ে চললেন- তা নয়। কোন ধরণের ব্যবসা করবেন সে পরিকল্পনা তো নেওয়াই হয়েছে। তবে যখন ব্যবসা শুরু করবেন তখনই আসল পরিকল্পনা নেওয়ার পালা। অনেক পরিকল্পনার সমন্বয়ে একটি ব্যবসার পরিকল্পনা সফল হয়ে ওঠে। বলা যায় একাধিক পরিকল্পনাই একটি সম্পুর্ণ ব্যবসায় প্লান।
প্রাথমিক ভাবনা:
একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনার ওপরই নির্ভর করে ব্যবসার সফলতা। একটি সম্পূর্ণ নতুন কোম্পানির জন্য বিজনেস প্লান খুব শক্ত হয়। যেমন প্রাথমিক অবস্থায় কি রকম কোম্পানি, তার পণ্য বা সেবা কি হবে, মার্কেটিং কিভাবে হবে, অর্থনৈতিক বিষয়গুলো কিভাবে সমন্বয় হবে। এই সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনার বিষয়টি সুনির্দিষ্ট হলে একটা আদর্শ ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরি করা সহজ হয়ে যায়।
অভ্যান্তরীণ পরিকল্পনা:
ব্যবাসার বাজেট, নির্বাহী বোর্ড, বেতন কাঠামো, ইত্যাদি ব্যবসায়ের অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত। তৃতীয় পক্ষের কোন কিছুই এই পরিকল্পনার ভিতর আসবেনা।
কার্যকরী পরিকল্পনা:
কার্যকরী পরিকল্পনাকে একক রকম অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনা বলা যেতে পারে। এটাকে আরো সুনির্দিষ্ট ভাবে বলতে গেলে বলা যায় একটি ব্যবসার ধারণা কীভাবে প্রয়োগ করা হবে, কিকি ডাটা নিয়ে প্লান তৈরি করা হবে বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে। ব্যবস্থাপকের দায়বদ্ধতার বিষয়গুলো স্পষ্ট করা হয় এই কার্যকরী পরিকল্পনায়।
পরিসংখ্যানগত পরিকল্পনা:
পরিসংখ্যানগত প্লানকেও এক রকম অভ্যান্তরীণ পরিকল্পনা বলা যেতে পারে। কিন্তু এটি সমস্ত বিষয়টিকে আরো বিশদভাবে সুনির্দিষ্ট সংখ্যা তারিখের মাধ্যমে প্রকাশ করে। এটি কোম্পানির ব্যবস্থাপক টিমের বিষয় বর্ণনা করে না বরং অর্থনৈতিক বিষয়গুলোকে নির্দিষ্ট সময় সীমার আওতায় এনে কোম্পানির বর্তমান ও সামনের গতিপথের ক্যালেন্ডার রচনা করে। এক কথায় সংখ্যার ধারণায় কবে কখন কিভাবে কোন কাজ করা হবে তার পরিকল্পনা করা হয়।
উন্নয়ন পরিকল্পনা বা নিউ প্রোডাক্ট প্লান:
বিজনেসের কিছু সুনির্দিষ্ট বিষয়কে আলাদা করে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এটি অভ্যন্তরীন পরিকল্পনা হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। এই পরিকল্পনা সাধারণত লোন এ্যাপ্লিকেশন এবং নতুন ইনভেস্টমেন্টের উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ আপনার বর্তমান বিজনেসকে আরো বিস্তৃত পর্যায়ে পৌঁছাতে যে পরিকল্পনা তাই এক্সপানসন প্লান বা উন্নয়ন পরিকল্পনা।
সম্ভাব্য প্লান:
সম্ভাব্য প্লান সাধারণ প্রাথমকি পরিকল্পনার মতোই। সম্ভাব্য প্লানে একটি কোম্পানির সারাংশ, মিশন এস্টেটমেন্ট, কী টু সাকসেস, বেসিক মার্কেটিং এনালাইসিস, প্রাথমিক কস্ট এনালাইসিস, প্রাইসিং, সম্ভাব্য খরচ প্রভৃতির সন্নিবেশ থাকে। এই ধরনের প্লান সিদ্ধান্ত পৌঁছতে সাহায্য করে।
বিপণন পরিকল্পনা:
এই অংশে থাকবে কীভাবে আপনি আপনার উৎপাদিত পণ্য বা সেবা গ্রাহকদের মাঝে পৌঁছে দিতে চান। ক্রেতার কাছে কীভাবে পণ্য পৌঁছাবে অর্থাৎ সরাসরি, পরিবেশক, নাকি পুনর্বিক্রেতার মাধ্যমে, তা এই অংশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ক্রেতার চাহিদা, তা কীভাবে পূরণ করা হবে, কীভাবে পণ্য তাঁদের মধ্যে জনপ্রিয় করা যায়, পণ্যের দামের বিষয়ে ক্রেতারা কতটুকু সচেতন-এসব বিষয়ও থাকবে বিপণন পরিকল্পনায়। সব মিলিয়ে একটি ভাল কৌশল অবলম্বনই হবে একটি পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য।
[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে জানতে “এখানে ক্লিক করুণ” তুলে ধরুন নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। ]]
আমি ইন্টেরিওর ডিজাইনের ব্যবসা করতে চাই্, এর জন্য প্রথমে কি কি করব? মার্কেটিং কি ভাবে করব? মুলধণ নাই।। কিন্তু ইন্টেরিওর ডিজাইনের ১০০ % অভিজ্ঞতা রয়েছে।
PLEASE INFORM ME DETAIL….PLEASE…… PLEASE……..
আপনি এই গ্রুপটিতে গিয়ে আপনার সমস্যার কথা বলুন আপনাকে সমাধান দেওয়া হবে। ধন্যবাদ https://www.facebook.com/groups/uddokta/