তারপর প্রবাসে বাংলা সংস্কৃতি, ভাষা, কৃষ্টি আর ঐতিহ্য কে তুলে ধরতে মঞ্চায়িত হয় নাচ, গান ,নৃত্য। উপস্থিত দর্শকবৃন্দ জানালেন তাদের অনুভূতির কথা। বাংলা স্কুলের সভাপতি সন্জয় বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হুদা চৌধুরী উপস্থিত দর্শকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পিঠামেলায় আগত প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণে মিলনায়তন যেন একটা হৈ হৈ রই রই ব্যাপার। ভিড় ঠেলে এক স্টল থেকে অন্য ষ্টলে যাওয়া সময়ের ব্যাপার। দোকানিদের ডাক -আসুন আসুন , দলে দলে পিঠা খেতে আসুন…বড্ড মজার পিঠা। বিভিন্ন দোকানে শোভা পাচ্ছে পাটিসাপ্টা, ভাপাপিঠা এলোগেলো, বুলশা, বিবিখানা, তেলেপিঠা, চিতইপিঠা, চানার সন্দেষ, গজাগজা, পাকুনপিঠা, মাংশেরপিঠা, নারিকেল পুলি, নিমকি, চুপতি পিঠা, ঝালপিঠা, সাবুদানার, ডালপুরি , ডালপাকন, পানতুয়া সহ প্রায় চল্লিশ রকমের পিঠা। পিঠা প্রতিযোগিতায় স্থান নির্ধারণ করে পূরষ্কৃত করা হয়। এবারের পিঠা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে নোয়াখালী পিঠাঘর, দ্বিতীয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলামনাই এসোসিয়েশনের মধুর ক্যান্টিন, তৃতীয় রকমারী পিঠাঘর। ওয়াশিংটনের ব্যান্ড সংগীত দল শ্যাডো ড্রিমসের ব্যান্ড সংগীত পরিবেশনা ছিল পিঠামেলার সর্বশেষ আকর্ষণ।
১৯৮৭ সাল থেকে যে সংগঠনের পথচলা, সেই বি সি সি ডি আই বাংলা স্কুল ১১তম পিঠামেলার আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আনন্দ বন্যায় ভাসিয়ে দিল।