এরপরে সময়ের সাথে সাথে যুগ পাল্টেছে, পৃথিবীতে জনসংখ্যা বেড়েছে, উন্নত হয়েছে পরিবহন মাধ্যম, গ্লোবালাইজেশনের কবলে পড়ে পৃথিবী হয়ে গেছে অনেক বেশি ব্যস্ত ও ছোট। জাহাজে করে আজকাল পাড়ি জমানো কমে গেছে যাত্রার দীর্ঘতায়। তাই বিদেশ-গমনকারী বেশিরভাগই উড়াল দেয় উড়োজাহাজে করে। মধ্যপ্রাচ্য, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশে পেশা ও জীবিকার টানে যুগে যুগে অনেক বাঙালীই গিয়েছে, আবার ঘরের টানে ফিরেও এসেছে ।
এদের মাঝে একটা অংশ বাঙালী হয়েও বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে বিদেশের মাটিতে বসত গড়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধত্তোর ব্রিটেনে আমরা দেখতে পাই ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজের বাঙালী (পড়ুন সিলেটী) খালাসীদের জন্য রাণী’র বরাদ্দকৃত বসতির সৃষ্টি। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ব্রিটেন পুনর্গঠনে ‘লেবার’ হিসেবে তারা নিয়ে আসতে থাকে নিজেদের আত্মীয় স্বজন। পঞ্চাশের দশকের পাঁচ হাজার পাকিস্তানী’র সংখ্যা(পূর্ব ও পশ্চিম মিলিয়ে) ৬৬ সালে এসে ১লক্ষ ২০ হাজারে উন্নীত হয়। সেই সুবিধা পরে সত্তরের দশকে বন্ধ হয়ে যায়।
এর পরে গত প্রায় দু’দশক ধরে ‘স্টুডেন্ট’ হিসেবে ব্রিটেনে পড়তে আসা এবং মেয়াদান্তে স্থায়ী হয়ে যাওয়াও একটা ট্রেন্ড হিসেবে পরিলক্ষিত হয়। গত ২০১১ সাল পর্যন্তও হাজারে হাজারে ‘নামে স্টুডেন্ট’ কিন্তু ‘পেশায় কামলা’ ব্রিটেনে এসেছে। যদিও ধীরে ধীরে ব্রিটিশ সরকার ছাত্র থেকে নাগরিক হবার পথগুলি ধীরে ধীরে সংকুচিত করে এনেছে, তবুও গত বছর পর্যন্তও বসতভিটা বিক্রি করে বিলাতে আসাটা লাভজনক অভিযান ছিলো।
ব্রিটেন বাদে বাকি ইউরোপে অভিবাসী হওয়া অন্ততঃ কিছুদিন আগ পর্যন্তও বেশ সহজ ছিলো। কোনোভাবে এসে পড়তে পারলেই হতো, বৈধ বা অবৈধ হয়ে কিছুদিন থাকতে পারলে একসময় নাগরিক হয়ে পড়া যেত ইউরোপের অধিকাংশ ইমিগ্রান্ট বান্ধব দেশগুলিতে।
আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা মূলত অভিবাসী রাষ্ট্র। ষোড়শ শতকের সময় থেকে এ দেশগুলিতে ইউরোপীয়রা গিয়ে বসত গড়েছে। গেল শতাব্দী থেকে এশিয়ানদের জন্যও দেশগুলির অভিবাসন উন্মুক্ত হতে দেখা যায়।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব-মন্দা, জনসংখ্যার বিস্ফোরণ, ধর্মের নামে সউদি-ভিত্তিক শরিয়ার প্রচ্ছন্ন হুমকি, রাষ্ট্রগুলির আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধিসহ নানা কারণে বৈধ বা অবৈধ অভিবাসী হওয়রটা ধীরে ধীরে কঠিন হয়ে পড়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলির অভিবাসন ইচ্ছুক জনগণের জন্য। ফলে বিদেশ গমনের রাইট ডিসিশন নিয়েও যারা কি করবেন বুঝতে পারছেন না, তাদের জন্য পুরাতন কিন্তু কার্যকর একটি পদ্ধতি আমরা আলোচনা করবো এখানে।
পলিটিকাল এসাইলাম (রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ)
জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা’র মতে প্রতিটি মানুষের অধিকার রয়েছে নিধন থেকে নিজেকে বাঁচাবার জন্য অন্য দেশে বসবাস করবার আশ্রয় প্রার্থনা করবার। যারা এই পথে আসেন তাদের ‘রেফুজি’ স্ট্যাটাস (ফেসবুক স্ট্যাটাস নয়) দিয়ে তাদের এসাইলাম আবেদন বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়। ১৯৫১ সালের জাতিসংঘ সম্মেলনে ‘রেফুজি’ বলতে ‘নিজ দেশে জাতি, বর্ণ, গোত্র অথবা রাজনৈতিক মতামত জনিত কারণে নিরাপত্তা পেতে ব্যর্থ অথবা ভীত হয়ে অন্য দেশে আসা’ কাউকে বোঝানো হয়। এই ভীত ব্যক্তি শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু দেশে উপস্থিত হয়ে বলতে হয়, “দেখো, আমার লাউ কেড়ে নিয়েছে, আমাকে বকেছে এবং সর্বোপরি আমাকে গুম করে দেবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, আমাকে বাঁচাও”।
স্ট্যাটাস পেতে উক্ত ব্যক্তিকে প্রমাণ করতে হয় তার জীবন সত্যিই হুমকির সম্মুখীন। তাকে দেখাতে হয় ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক গোষ্ঠীর রোষানলে সে পড়েছে, এবং পুড়েছে। অথবা তাকে প্রমাণ করতে হয় দেশে গেলে তাকে জেলের ঘানি টানতে টানতে মরে যেতে হতে পারে অথবা শুলে চড়ানো হতে পারে।
আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে আপনার করণীয়:
যদি সত্যিই কেউ আপনার লাউয়ের পেছনে না পড়ে থাকে, অথচ আপনি এই পথে অভিবাসন করতে ইচ্ছুক, তখন এই প্রমাণ পর্বটি সহজে সমাধান করতে চাইলে আপনাকে আগে থেকেই মাঠ প্রস্তুত করতে হবে। সেটার জন্য কিছু জায়গায় আপনার কীর্তিকলাপের মহিমা ছড়িয়ে রাখতে হবে। কারণ ইদানীং শোনা যায় ধনী দেশগুলি রেফুজিদের ব্যপারে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে থাকে। এই খোঁজ নেবার কাজে তারা UNHCR, RedCross, সহ অন্যান্য অনেক সংস্থার কাছে জানতে চায় বিবিধ তথ্য। সুতরাং নিজের মহিমা সম্পর্কে আগে ভাগেই প্রচুর তথ্য এসব সংস্থার কাছে দিয়ে রাখুন। কখনো যদি কেউ আপনাকে হাজতে নিয়ে থাকে, তবে তার ছবি, থানায় রুজু করা মামলার নথি’র অনুলিপি যত্ন করে সাথে রাখুন, যাতে দেখাতে পারেন। ভালো হয় যদি এমন একটা ছবি’র ব্যবস্থা করতে পারেন যেখানে আপনাকে থানায় সিলিঙে ঝুলানো অবস্থায় দেখা যাচ্ছে, রক্তাক্ত এবং পাশে হাস্যমুখে পুলিশ ব্যটন হাতে নিয়ে ঘর্মাক্ত টপ-লেস দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এমন ছবি থাকলে তো আর কথাই নেই…। ছবি না থাকলে নীলক্ষেতে গিয়ে ফটোশপ করিয়ে নিয়ে আসতে পারেন।
তবে নিজের পাসপোর্ট অবশ্যই সাথে রাখবেন। আপনার আইডেন্টিটি নিশ্চিত করতে না পারলে আপনার কেস বিবেচনা করার পুরো সময়টা আপনাকে চৌদ্দশিকের ভেতরে বিরাজ করতে হতে পারে।
একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন, বিয়ে করার মাধ্যমে নাগরিক হবার দিন অনেক আগেই ফুরিয়েছে। রিফুজি থাকা অবস্থায় যদি লোকাল নাগরিকের প্রেমে পড়েন অথবা তার প্রেম আপনার উপর পড়ে, খেয়াল রাখবেন বিয়ে করলেও সেটা এসাইলাম আবেদনে কোন কাজে আসবে না।
এবার আসুন দেখি বাংলাদেশীদের জন্য এসাইলাম আবেদন কেন সহজ হবার সম্ভাবনা আছে।
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি:
ঠিক ধরেছেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি মোটেও সুবিধার নয়। যদিও দেশের ভেতরে বসে আপনার মনে হতে পারে এটা তেমন কিছু না, কিন্তু বিশ্ব দরবারে এই ভাবমূর্তি মোটেও উজ্জ্বল কিছু নয়। ভাবমূর্তির এহেন হাল হবার পেছনে চিলের কান নিয়েছে জাতীয় হুজুগেরও দায় রয়েছে।
এইতো সেদিনও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন তাদের সংসদে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে নিদারুণ দিক্কার জানালেন। ইতিমধ্যে ফ্রান্সের সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশকে নিরাপদ রাষ্ট্রের তালিকা থেকে প্রত্যাহার করেছে ( এই নিউজটি এখানে ক্লিক করে পড়ে নিতে পারেন)।
কিন্তু এর অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে ‘র্যাব’ নামক কালো পোশাকধারীরা ‘বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ ঘটিয়ে আসছে। বিএনপি’র হাতে গড়া এই মিলিশিয়া যতটুকু অপকর্মই করে থাকুক না কেন, বহির্বিশ্বে এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচের বদৌলতে পরিস্থিতি’র সঙ্গীনত্ব সম্পর্কে এসব ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ভুক্ত দেশগুলি সম্যক সচেতন।
‘জামাতের নিজস্ব মিডিয়া’ বিষয়ে এ ক্ষেত্রে কিছু কথা যোগ না করলেই নয়। এমন্যাস্টি এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সংস্থা দুটি বিশেষভাবে বাংলাদেশ বিষয়ে চিন্তিত প্রধানতঃ তাদের দরবারে দায়েরকৃত লবি বা তদবিরের কারণে। কিন্তু এই তদবির আপনার আমার এসাইলাম আবেদনের পথ সহজ করবার জন্য তারা করে নি। তার আসল কারণ একটু ভিন্ন। আসুন ঘেঁটে দেখি।
আমরা জানি মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ চল্লিশ বছর পর বিপুল জনমতের চাপে পড়ে বর্তমান সরকার একাত্তরের সময় সংঘটিত মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধগুলির বিচার কার্যক্রমে হাত দিয়েছে। নৈতিক ভাবে অধঃপতিত বাংলাদেশে ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতির’ একটা অবসান ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে এতে। বিচারের কাঠগড়ায় এখন যেসব বান্দা দাঁড়িয়ে আছেন, তাদের গুরুত্ব বিশ্ব রাজনীতিতে কম নয়। কিন্তু কি সেই গুরুত্ব? পড়তে থাকুন…
পাকিস্তানের পরাজয়, বাংলাদেশের অভ্যুদয় ফলশ্রুতিতে বিড়ি পান সহযোগে উৎপাদিত তথাকথিত ইসলামী রিপাবলিকের স্বপ্ন খান খান হয়ে গিয়েছিলো একাত্তরে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের হয়ে গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগের সহযোগীতাকারী দেশীয় রাজাকার ও আলবদরের হোমড়াচোমড়া গুলি যুদ্ধে পরাজয়ের পরপরই বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যায়। গোলামআজম, চৌধুরী মাইনুদ্দিন জাতীয় রাজাকারেরা বিলাতে চলে যায়। পরবর্তীতে গোলামআজম পাকিস্তান হয়ে বাংলাদেশে ফিরলেও মাইনুদ্দীন ব্রিটিশ সরকারের নাকের ডগায় বসে প্রতিষ্ঠা করে দাওয়াতুল ইসলাম (জামাতের ব্রিটিশ ফ্রন্ট) যা কালক্রমে ‘ইসলামিক ফোরাম ইউরোপ’ (সংক্ষেপে আইএফই) নামে ইউরোপ জুড়ে ইসলামের নাম ভাঙিয়ে সউদি সংস্কৃতি ও তথাকথিত আইন ব্যবস্থার অনুপ্রবেশে কাজ করছে। মাইনুদ্দী’র বিশাল যোগাযোগ রয়েছে সৌদি লবি ও পাকিস্তানী লবির সাথে যারা দীর্ঘদিন ধরে মানবাধিকার কে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছে বিবিধ ডিফেন্স প্রোপাগান্ডার অংশ হিসেবে। ২০০৭ সাল পর্যন্তও বাংলাদেশ জামাতের মূল নেতা মতিউর রহমান নিজামী (আরেক যুদ্ধাপরাধী) ব্রিটেনে এসেছে মাইনুদ্দী’র (আইএফই) দাওয়াতে।
এতো প্রেক্ষাপট বর্ণনা করতে হচ্ছে কারণ বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এখন যাদের বিচার করা হচ্ছে তাদের প্রাক্তন সহকর্মী বৃন্দ বহিঃ বিশ্বে সউদি রাজনৈতিক শক্তিগুলির পুরুত-পান্ডা। এখনো ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত ইসলামী জঙ্গিদের ট্রেনিঙের জন্য বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অথবা দুর্গম মাদ্রাসাগুলিতে নিয়ে আসা হয়, দেশীয় রাজকার ও তাদের বংশধর-গন অসমাপ্ত যুদ্ধের অংশ মনে করে তাদের দেখভাল করে থাকে। বাংলাদেশ, বিশ্বের কাছে অন্ততঃ যুদ্ধাপরাধী রপ্তানির জন্য কুখ্যাত।
এই অবস্থায় বাংলাদেশে যখন রাজাকারদের বিচার শুরু হয়েছে, তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে চাপ সৃষ্টি’র যে লবি বা তদবির মাইনুদ্দী ও আইএফই করে থাকে, তাতে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্র-যন্ত্রের চরিত্রে কলঙ্ক লেপন জরুরী ছিলো। তারই ফলশ্রুতিতে আমরা আন্তর্জাতিক বিবিধ পত্রিকায় বর্তমান সরকার, কখনো হাসিনা, কখনো মানবতার বিরুদ্ধে করা অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে নানাবিধ তির্যক ও মর্যাদাহানীকর আর্টিকেল প্রকাশিত হতে দেখি। প্রতিটি আর্টিকেলের মূল সুরই হলো বাংলাদেশের অবস্থা খুবই খারাপ। পুতুপুতু পরহেজগার মাওলানা বুড়োদের নিয়ে নাকি জেলে ভরে রাখা হচ্ছে। আচার সহযোগে পরোটা খাওয়ানো হলেও তারা আসলে ভালো নেই। বুড়োরা তাদের আমলে পাকিস্তান সমর্থন করলেও কাউকে খুন করায় মতো গুনাহ তাদের দিয়ে হয় নাই। পাহাড় সমান সাক্ষ্য-প্রমাণ আসলে পুরোটাই বানোয়াট এবং পায়েন্দা বান্দাদের কষ্ট দেবার শয়তানী পন্থা।
অন্যদিকে বামপন্থী দলগুলির ছাত্ররাজনীতির যে অংশ তাদের মধ্যে গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিষয়ে প্যারানয়া অনেক পুরনো। জেলে নিয়ে গিয়ে কাউকে মেরে গুম করে দেবার যে গল্প মাঠে প্রচলিত, ধর্মগ্রন্থের মতোই তাকে আক্ষরিক অর্থে নিয়ে তারা ‘পুলিশর ছোঁয়ায় মরণের ডাক’ জাতীয় হিস্টিরিয়া আক্রান্ত হয়ে পড়েন। নিজেরা আক্রান্ত হন, এবং বন্ধু-বান্ধব সকলের কাছে গিয়ে চির বিদায় জানিয়ে আসেন। এদের কাউকে কাউকে পুঁজিবাদী বৈদেশে সেটল করে পরবর্তী কয়েক দশক ধরে ‘জেলে গিয়েছি’ ভাঙিয়ে খেতেও দেখা যায়।
কাজের কথায় আসুন এবার:
এতো কথা বলতে হলো এজন্য যে যারা বিদেশ পাড়ি দিতে চান, তারা যেন সঠিক প্রোপাগান্ডা’র সঠিক ভার্সনের ওপর ভিত্তি করে নিজেদের কেস সাজান। নিজের জীবন হুমকির সম্মুখীন না হলেও এ নিয়ে বিশাল নাটক খাড়া করতে সহমর্মী বন্ধুদের ব্যবহার করতে পারেন। এবং এরকম আরও অনেক বিষয় রয়েছে যা নিজে নিজে একটু চিন্তা করলেই বের হয়ে আসবে। তবে বর্তমানে ইউরোপের প্রায় অনেক গুলো দেশেই আমাদের দেশের ভাইয়েরা এই কেস করে অনেক ভালো অবস্থায় রয়েছেন। তবে আপনকে কখনোই এরকম কোন চিন্তা মনে নিয়ে প্রবাসে পারি না দেওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। এখানে আপনাকে শুধু বাস্তব কিছু ধারণা দেওয়া হল মাত্র, যাতে করে আপনাদের উপকারে আসে।
ইতিমধ্যে কোনো ব্যক্তি অলক্ষ্যে ক্ষতিগ্রস্থ বা আহত হয়ে থাকলে তার জন্য এখানে দুঃখপ্রকাশ করে নিচ্ছি।
বিনীত, আরিফুর রহমান।