২০১২ সালের জুনে গুগলের একটি কনফারেন্সে এই গ্লাস চোখে হাজির হন গুগলের প্রধান নির্বাহী সার্গেই ব্রিন। সেখানেই প্রথমবারের মতো গুগল গ্লাসের আগমনের কথা জানান দেন তিনি।চশমা আকৃতির এ গ্লাস যে কোনো বয়সের যে কেউ ব্যবহার করতে পারবেন। তবে চশমায় কাঁচের জায়গায় রয়েছে একটি ছোট, স্বচ্ছ ডিসপ্লে, যা অনেকটা মোবাইল ফোনের ডিসপ্লের মতো কাজ করবে। ইন্টারনেট ব্যবহার, ছবি ও ভিডিও রেকর্ডিং, ভিডিও কল, ভয়েস কল, ম্যাপ, জিপিএস, ফাইল শেয়ারিং, ওয়াইফাই, ব্লুটুথসহ আধুনিক স্মার্টফোনের অনেক ফিচারই এতে ব্যবহার করা যাবে। চালানো যাবে এর জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা ছোটখাটো অ্যাপ্লিকেশনও। গুগলের মতে, এটি কোনো সহযোগী ডিভাইস নয়, বরং নিজেই স্মার্টফোনের মতো পরিপূর্ণ হিসেবে ডিভাইস হিসেবে কাজ করবে।
প্রচলিত পদ্ধতিতে নয়, এর ছোট্ট ইউজার ইন্টারফেসে পূর্ণ কম্পিউটিং অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য গুগল সম্পূর্ণ নতুন ব্যবস্থা চালু করেছে। এর ফলে মাথা, চোখের মণি, কথা ও হাত ব্যবহার করে গ্লাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ব্যবহারকারীরা মাথা ও চোখের মণির মাধ্যমে স্ক্রল (উঠানামা করানো) করতে পারবেন, মুখে বলে কিংবা ফোনের মাধ্যমে টাইপ করতে পারবেন, হাত নাড়িয়ে ও কথার মাধ্যমে অন্যান্য নির্দেশ দিতে পারবেন। যেমন- ‘ওকে, গ্লাস’ বলার পর ইন্টারফেস চালু হবে, তখন ‘টেক পিকচার’ বললে ছবি উঠবে, কোনো স্থানের নাম বললে সেখানকার ম্যাপ ও জিপিএস দেখিয়ে দেবে, কোনো বিদেশি বর্ণের ছবি তুললে তার তাৎক্ষণিক অনুবাদ করে দিতে পারবে, সর্বক্ষণিক ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক সাইটে সংযুক্ত রাখতে পারবে। এমনকি গ্লাসকে নিয়ন্ত্রণের জন্য অ্যান্ড্রয়েডের মতোই একটি ভিন্নধর্মী অপারেটিং সিস্টেম চালু করবে গুগল।
[youtube 5R1snVxGNVs?modestbranding=1&rel=0 nolink]