কি আনন্দ !!! এই সুযোগে হয়ত কেউ বাবা মার সাথে দেশে যাবে, অথবা ঘুরতে যাবে দূরে কোথাও। বাবা মার সাথে সময় কাটবে আনন্দে। সময় বিকেল ৫ টার পরে ২২ তারিখ জুনের ৫ টার পরে এ বিষয় নিয়ে একটি মিটিং হয়। উল্লেখ্য যে কোন সভা কোরাম ভিত্তিক হলে আমি সেদিকে যাই না।তবে রমজান মাস আরবি ক্লাস চলবে এই সিদ্ধান্ত উপনিত হওয়ার আগে সভা চলা কালীন ভাল দিকের পাশাপাশি বেদনা বিধুর কিছু কথা আমাকে আঘাত হানে।
যদিও আমি স্কুল পরিচালনা কমিটির একজন সদস্য। এবং ইতালি বোলজানো বাংলাদেশ সমিতির একজন পদাধিকার সিনিয়র সহ সভাপতি। বিবেকের অনুভূতি আমাদের কতটা জানিনা? তবে বিবেকের তাড়না আমাকে কিছুটা কুঁকড়ে খাচ্ছে!! আমদের কমিউনিটির আশানুরূপ কাজে আসতে পারতেছি কিনা জানিনা? তবে ক্ষতি হউক এই কামনা আমার রক্ত কনিকার কোথাও আছে বলে জানা নেই,তারপরেও ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরুধ পাঠক বৃন্দের কাছে।
যেহেতু ২০১৩ এর প্রায় শেষের দিকে বাংলাদেশ সমিতির তত্ত্বাবধানে স্কুল হল। উন্নত বিশ্বে বসবাস করে এখন আর প্রাচীন কালের ইয়াদ আলী মাষ্টারের চেয়ারের চার পায়ের এক পা ভাঙ্গা নেই!! যে নিজেই মানে… ইয়াদ আলী মাস্টার ঠিক করবে হাতুড়ী বাটাল নিয়ে। এ সময় কিংবা মাস্টার প্রতিনিয়তই ডেকে স্কুলে আনবে অথবা মসজিদে হুজুরের বেতনের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান উঠাবে অন্তত এই সময়টা এখন অতীত হয়ে গেছে । যাই হউক প্রসঙ্গ ছেড়ে যাচ্ছি না কারন বাংলাদেশ সমিতির তত্ত্বাবধানে হলেও সিংহ ভাগ দ্বায়িত্বভার অর্পণ করা হয় নির্বাচিত স্কুল পরিচালনা পরিষদের উপর।
আরবি পড়াবে বাংলা স্কুলে এমন একজন শিক্ষক আসার আগেই প্রস্তাব আসে রমজান মাসে আরবি শিক্ষকের বেতন ধার্য চার শত ইউরো সপ্তাহে ২ /৩ অর্থাৎ শনি,রবি অথবা শুক্র,শনি , রবিবার দিন পরাবে ২ ঘণ্টা করে। আমি প্রস্তাব রাখলাম শিক্ষকদের নিয়ম অনুসারে আরবি শিক্ষকের বেতন ধার্য করা হউক!! যেহেতু সুধু রমজান মাসের জন্য। প্রস্তাবিত সমর্থন শেষ হতে না হতেই অধীর আগ্রহে বসে থাকা শিক্ষকগনের মধ্য থেকে সহকারী শিক্ষক বলেন!! উপস্থিত স্কুল পরিচালনা কমিটির কাছে,তাহলে আমাদেরকে শুধু ঠকাইলেন ? সহকারী শিক্ষক হিসেবে একথা যে কোন শিক্ষক বলতেই পারে। উত্তরে আমাদের সমিতির কোষাধ্যক্ষ + বাংলা স্কুলের কো অর-ডিনিটর সাহেব জোক করে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বললেন আপনারা ত ভলান্টিয়ার সার্ভিস দিতেছেন , একজন সহজ সরল মানুষকে যেভাবে জানি ঠিক জোকটাকে এভাবেই উড়িয়ে দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না।
তবে প্রায় ২০১৩ এর শেষের দিক থেকে পারিশ্রমিক সন্মান অর্থনৈতিক শূন্য ছাড়া কিছুই দিতে পারেনি। যুক্তি ত অবশ্যই আছে কারন স্কুলে যোগ দেওয়ার এতটা সময় পার হয়ে গেল প্রায় ৫০ জন ছাত্র ছাত্রীর জন প্রতি চাঁদার হার ১০ ইউরো , এক ফ্যামিলির ২ জন হলে ১৫ ইউরো এবং তিন জন হলে ২০ ইউরো রিছিট দিয়ে পড়া শুনা করার সুজুগ আছে সপ্তাহে এক দিন হলেও। যেখানে এত ছাত্র ছাত্রী হওয়ার পরেও মাত্র ১২০ ইউরো উঠে কিছু খরচ হওয়ার পরেও যা আছে সেই জমা অর্থ শিক্ষকদের ভাগ করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় ,জমা যাদের চিন্তার ফলপ্রসু বের হয়ে আসছেনা অথচ কিভাবে যেখানে ৫ জন শিক্ষকের ধারাবাহিকতা সেখানে একজন কে নিয়ে যিনি আসেননি তাকে নিয়ে শীর্ষে চিন্তা ও চেতনা আমাদের? এ ব্যর্থতার লজ্জ্যা রাখার জায়গা আমার ব্যক্তিগত মস্তিস্কে আছে কিনা জানিনা তবে এ ব্যর্থতা হানা দেয় আমাকে । তাই স্কুল চলার স্বার্থে নয় বাংলাদেশীদের আমাদের সোনামণিদের বাংলা শিখার স্বার্থে আমার আকুল আবেদন ব্যর্থতার সিঁড়ি ও গ্লানি যেন বহন করতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা একান্ত কর্তব্য আমার /আপনার /আমাদের সকলের । তা না হলে স্কুলের শিক্ষকগণ কি তাহলে সোনামণিদের দেখেই স্নেহ মায়ায় ভুলে থাকবেন ? স্কুল পরিচালনা কমিটি কিংবা স্কুলের সোনামণিদের অভিভাবকের দায়িত্ব হীনতার পরিচয় ? নাকি সমিতির সভাপতি সেক্রেটারি সহ পুরু কার্যকরী কমিটির ব্যর্থতা ?
…………………………………………………………………………………………………………….
[[ আপনি জানেন কি? আমিওপারি ওয়েব সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা প্রকাশ করার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে এই লেখায় ক্লিক করে জানুন এবং তুলে ধরুন। নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। আর আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে রয়েছে অনেক মজার মজার সব ভিডিও সহ আরো অনেক মজার মজার টিপস তাই এগুলো থেকেবঞ্চিত হতে না চাইলে এক্ষনি আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে লাইক দিয়ে আসুন এখানে ক্লিক করে। এবং আপনি এখন থেকে প্রবাস জীবনে আমাদের সাইটের মাধ্যমে আপনার যেকোনো বেক্তিগত জিনিসের ক্রয়/বিক্রয় সহ সকল ধরনের বিজ্ঞাপন ফ্রিতে দিতে পাড়বেন বিস্তারিতু জানতে এখানে ক্লিক করুণ। ]]