ইব্রাহিম খলিল: বৃটেনে ইমিগ্রান্টদের জন্য আরো দুর্দিন অপেক্ষা করছে। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি কর্তৃক একের পর এক কঠিন নিয়মের ভেড়াজালে আটকে যাচেছ ইমিগ্রান্টদের জীবন। বৃটিশ সিটিজেন ও বৈধ ইমিগ্রান্টদের ইমিগ্রেশন পদ্ধতিকে ঢেলে সাজিয়ে অবৈধ ইমিগ্রান্টদের বিরুদ্ধে রিতিমতো রেড এলার্ট জারি করতে যাচেছ বৃটিশ সরকার। এ জন্য দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ইমিগ্রেশন বিলকে এবার আইনে পরিনত করেছে হোম অফিস। যে বিলটি প্রয়োগে আদায় করা হয়েছে রাজকীয় অনুমোদন।
হোম অফিস সূত্রে জানা যায়, বৃটেনের বর্ডার ও ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত হোম অফিসের প্রকাশিত ইমিগ্রেশন পদ্ধতিতে ৭৭টি ধারা রয়েছে এবং এসব ধারাতে মৌলিক বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রবর্তিত এই বিলে হিউমেন রাইটসসহ ৪ ধরনের আবেদন ছাড়া বাকী সকল ভিসা আবেদনে আপীলের সুযোগ আর থাকছেনা। একই আইনে বৃটেনের ভিতরে ও বাহির থেকে যারা লিভ টু রিমেইন ও এন্টি ক্লিয়ারেন্স এর জন্য আবেদন করবেন তাদের ক্ষেত্রেও এই আইন প্রযোজ্য হবে। নতুন আইনে আটককৃত ব্যক্তিদের জামিনের আবেদন একবার নাম মঞ্জুর হওয়ার পর আর ২৮ দিনের মধ্যে করা যাবেনা। পূর্বে বৃটেনে ১৭ প্রকার ভিসা আবেদনে আপীলের অধিকার ছিলো তা কমিয়ে ৪টিতে আনা হয়েছে। তা হলো, রিফুজী স্টেটাসের আবেদন প্রত্যাখান, হিউমেন টোরিয়ান প্রটেকশন প্রত্যাখান হিউমেন রাইটস আবেদন প্রত্যাখান এবং কোন ব্যক্তির ব্যক্তিগত প্রটেকশন প্রত্যাখান হলে আপীল আবেদন করতে পারবেন। বাকী সকল ভিসা আবেদনে আপীল করার অধিকার খর্ব করা হয়েছে।
গত ১৪ মে থেকে প্রবর্তিত এই আইনে, অবৈধ ইমিগ্রান্টদের বৃটেন থেকে বের করে দেওয়ার ব্যাপারেও বিধি বিধান প্রর্বতন করা হয়েছে। বিলটিতে ভূঁয়া বিয়ে ও সিভিল পার্টনারশীপের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন সুবিধা নেওয়ার ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। আর্টিকেল ৮ এর হিউমেন রাইটসের ব্যাপারে পার্লামেন্টের ভিউকে কোটের্রর বিবেচনায় আনা যেতে পারে। টেনেন্টদের ভাড়ি ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে তার ইমিগ্রেশন স্টেটাস চেক করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা ছাড়াও এখন থেকে অবৈধ ইমিগ্রান্টরা বৃটেনে চিকিৎসা সেবা পাবেননা। এমনকি ডাক্তারের কাছে রেজিস্টার্ড ও ব্যাংক একাউন্ট খোলার ব্যাপারেও সরাসরি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। অপরাধের সাথে জড়িত ইমিগ্রান্টদের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল ও আটক এবং হোম সেক্রেটারী চাইলে বৃটিশ নাগরিকত্ব না দেয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।