প্রতিদিনকার যত্নঃ
- প্রতিদিন ক্লি নজিং মিল্ক দিয়ে ঠোট পরিষ্কার করুন। মাঝে মধ্যে ব্রাশ দিয়ে ঠোটটা ব্রাশ করে নিবেন। এতে মরা কোষ মরে যায়।
- সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মীর হাত থেকে বাচতে রোদে বেরোবার আগে এসপিএফ যুক্ত লিপ বাম বা নারকেল তেল লাগিয়ে তার উপর লিপস্টিক লাগাবেন।
- রাতে শোয়ার আগে অবশ্যই ক্রিম বা ভেজা তুলোর সাহায্যে লিপস্টিক তুলে ফেলে ভেসলিন লাগিয়ে শোবেন।
- বারবার জিভ দিয়ে ঠোট চাটা বা ঠোট কামড়ানো খুব খারাপ অভ্যাস। এটা পরিত্যাগ করা উচিৎ।
- ভিটামিন সি-র অভাবে ঠোটের কোনা ফেটে যায়। এর জন্য ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
শুষ্ক ঠোটের সমস্যা- ঠোটের শুষ্কতা কমাতে উড় সেসামি সিড অয়েল ব্যাবহার করতে পারেন। এছাড়া সব সময় সঙ্গে ভ্যাসলিন রাখবেন। প্রচুর পরিমানে পানি খাবেন। যাদের ঠোট অতিরিক্ত শুষ্ক তারা প্রতিদিন মধু,গোলাপজল ও কমলালেবুর রস মিশিয়ে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে এলে ধুয়ে ফেলুন।
ফাটা ঠোটের সমস্যা- অনেক সময় নীচের ঠোট থেকে চামড়া উঠে। এতে হাত দেবেননা। বরং ভেসলিন ব্যাবহার করুন। ঘরোয়া লিপ বাম হিসেবে ১ টেবিল চামচ ক্যানবেরি সসের সঙ্গে ২ টেবলচামচ ভেসলিন মিশিয়ে লাগান। এতে ফাটা অনেকটা কমে আসবে।
কালচে ঠোটের সমস্যা- সপ্তাহে দু দিন লিপ প্যাক ব্যাবহার করবেন। দুধের সর আমন্ডবাটা ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে ঠোটে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ভেজা তুলো দিয়ে মুছে ফেলুন। নিয়মিত করতে পারলে কালচে ভাব দূর হবে। ঠোটের কালচে ভাব দূর করতে শুতে যাওয়ার আগে চন্দন বাটা লাগাতে পারেন। ঠোটের কোনা অনেক সময় কালো হয়ে যায়। এর থেকে মুক্তি পেতে শশা ও পাতিলেবুর রস মিশিয়ে দিনে তিনবার ঠোটে লাগান।
ঠোটের মসৃণতা বজায় রাখতে- ঠোটের মসৃণতা বজায় রাখতে স্ট্রবেরির ক্বাথ,মধু ও দুধের সর মিশিয়ে ঠোটে লাগিয়ে রাখুন। মিনিট ২০ পর ধুয়ে ফেলুন। ঠোটের কোমলতা বজায় রাখতে প্রতিদিন অলিভ অয়েল,মধু ও গোলাপজল মিশিয়ে ঠোটে লাগিয়ে রাখুন। মিনিট ১০ পর আলতো ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।