বাংলাদেশীদের জন্য অন এরাইভাল ভিসা দিচ্ছে ভারত।বুধবার ভারতের পরিকল্পনা কমিশন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অন-অ্যারাইভাল (আগমন মাত্রই) ভিসা চালু করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে সীমান্ত কিংবা বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকেই দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি মিলবে।
প্রায় ১৮০টি দেশের পর্যটকদের জন্য নয়া ভিসা পদ্ধতি চালু করতে ভারত এ বৈঠক ডেকেছে। বাংলাদেশও এ সুবিধা পাবে। যদিও নিরাপত্তা বিবেচনায় পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের এ সুবিধা দিচ্ছে না তারা। ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এ ব্যবস্থাতে সম্মতি দিয়েছে।বর্তমানে ভারতে ‘ইমিগ্রেশন ভিসা, ফরেনার্স রেজিস্ট্রেশন ও ট্র্যাকিং (আইভার্ট)’ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এই পদ্ধতিতে ভারতে ভ্রমণে ইচ্ছুক বিদেশি নাগরিকদের নিজেদের দেশের ভারতীয় দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়। যদিও এরআগে গত অক্টোবর মাসে যেকোনো দেশের ষাটোর্ধ্ব বয়সী ভ্রমণকারী ভারতীয় বিমানবন্দরে নামার পর ভিসা (ভিসা অন অ্যারাইভাল) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় পরিকল্পনা কমিশন।
বাংলাদেশসহ ১৮০ দেশের নাগরিকদের ভারতে ‘অন অ্যারাইভাল’ ভিসা পেতে হলে ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। সে আবেদনের ভিত্তিতেই ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অনলাইনে একটি রশিদ দেবে। এই রশিদ থাকলে ভারতীয় হাইকমিশনে গিয়ে পাসপোর্টে ভিসার স্ট্যাম্প লাগাতে হবে না। রশিদের প্রিন্ট কপি দেখালে বিদেশি পর্যটকদের ভারতের বিমানবন্দরেই ভিসা দেওয়া হবে।
ভিয়েতনাম, নিউজিল্যান্ড ও জাপানসহ বর্তমানে এগারোটি দেশের ক্ষেত্রে ভারতে এ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এসব দেশ থেকে ২০১৩ সালে মাত্র ১৮ হাজার পর্যটক ভারত সফর করেছে। অথচ তুলনামূলকভাবে বেশি পর্যটক সফর করেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া থেকে। পরিসংখ্যানে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের পরই তৃতীয় স্থানে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ থেকে গত বছর পর্যটক হিসেবে ভারত সফর করেন প্রায় সাড়ে সাত লাখ।
এ ব্যবস্থা অনুযায়ী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ৮০ শতাংশ দূতাবাস, ভারতের প্রধান শহরের হোটেলগুলোর যোগাযোগ তৈরি করা হয়েছে। ফলে কোনো পর্যটকের হদিস পেতে অসুবিধা নেই বলে মন্তব্য করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ব্যবস্থা চালু হলে পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে ভারতে বিদেশি মুদ্রার আয় বাড়বে বহুগুণ।
প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক ভারত ভ্রমণ করেন। ২০১২ সালে ভারতে পর্যটকের সংখ্যা ছিল প্রায় ৬৫ লাখ। তবে এ সংখ্যা থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার তুলনায় প্রায় এক-চতুর্থাংশ।
[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে এই লেখায় ক্লিক করে জানুন এবং তুলে ধরুন। নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। আর আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে রয়েছে অনেক মজার মজার সব ভিডিও সহ আরো অনেক মজার মজার টিপস তাই এগুলো থেকে বঞ্চিত হতে না চাইলে এক্ষনি আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে লাইক দিয়ে আসুন। এবং আপনি এখন থেকে প্রবাস জীবনে আমাদের সাইটের মাধ্যমে আপনার যেকোনো বেক্তিগত জিনিসের ক্রয়/বিক্রয় সহ সকল ধরনের বিজ্ঞাপন ফ্রিতে দিতে পাড়বেন। ]]