কাব্য কামরুলঃ একটি শিশুকে প্রকাশ্যে নির্যাতন করা হচ্ছে । কেউ কিছু বলছে না। বরং মনে হলো অধিকাংশ লোক তা দেখে এক ধরনের আনন্দ পাচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে কেমন জানি একটা উৎসব উৎসব ভাব। শিশুটিকে মারতে মারতে তার গায়ের পোশাকটিও খুলে ফেলা হলো। একজন বলল,ওরে ল্যাংটা করে ফেল। ল্যাংটা করারও প্রস্তুতি চলছে নিখুঁতভাবে। শিশুটি লোকজনের সংঘবদ্ধ আক্রমনে দিশাহারা। রাত তখন নয়টা। মোহাম্মদপুরের কৃষিমার্কেট। শিশুটির বিকট চিৎকারে আমি এগিয়ে গেলাম। বালক-শিশুটির বয়স আর কত হবে। আট কি দশ। শিশুটি কার নাকি মোবাইল চুরি করেছে। এটুকুই আমার কানে আসলো । একজন বলল,শুয়োরের বাচ্চারে মাইরা ফেল। এবং সত্যি সত্যি তাকে মেরে ফেলারই তৎপরতা চলছে ! দ্রুত আক্রমনকারীর সংখ্যাও বেড়ে গেল। অতি উৎসাহি একজন কেচি তার মাথার চুলও কাটতে লাগলো। যে যেভাবে পাচ্ছে শিশুটিকে প্রহার করছে। ভয়ঙ্কর এক দৃশ্য। আমি তাকে উদ্ধার করতে যাবো,ঠিক সেই মুহূর্তে দুজন পুলিশের আগমন। পুলিশ নির্যাতনকারীদের কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করলো। আইন প্রয়োগকারীদের উপস্থিতিতে আমি স্বস্তিবোধ করলাম। কিছু উত্তেজিত লোক পুলিশের কাছ থেকে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করলো। কিন্তু তা পারলো না।
বাচ্চাটি কারো মোবাইল চুরি করে থাকলে তা অবশ্যই অপরাধের পর্যায়। তাই বলে নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করাওতো এক ধরনের অপরাধ। সর্বপরি সে একটা অবোধ শিশু ।
পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে রাস্তার একটা ফাঁকা জায়গায় নিয়ে আসলো। এবার একজন পুলিশ তুমুলভাবে তার হাতের লাঠি দিয়ে শিশুটিকে প্রহার করতে লাগলো।শিশুটির সে কি চিৎকার ! ঘটনার আকস্মিকতায় আমি হতভম্ভ । পুলিশের ভূমিকা দেখে নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না ! দ্রুত মোবাইল দিয়ে দৃশ্যটি বন্দী করে ফেললাম। অত:পর একজন হৃদয়বান লোকের সহযোগিতায় শিশুটি পালাতে সক্ষম হয়। তারপরও কয়েকজন ধর ধর বলে শিশুটির পিছু ছুটে। পরের দৃশ্য আমার দৃষ্টির সীমানার বাহিরে চলে গেল। কেবল নিজ মোবাইলে বন্দী থাকলো বেদনাদায়ক এক দৃশ্য।
[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে এই লেখায় ক্লিক করে জানুন এবং তুলে ধরুন। নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। আর আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে রয়েছে অনেক মজার মজার সব ভিডিও সহ আরো অনেক মজার মজার টিপস তাই এগুলো থেকে বঞ্চিত হতে না চাইলে এক্ষনি আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে লাইক দিয়ে আসুন। এবং আপনি এখন থেকে প্রবাস জীবনে আমাদের সাইটের মাধ্যমে আপনার যেকোনো বেক্তিগত জিনিসের ক্রয়/বিক্রয় সহ সকল ধরনের বিজ্ঞাপন ফ্রিতে দিতে পাড়বেন। ]]
শিশু নির্যাতনের ভিডিওচিত্র!!
নারীরা যেভাবে রাগ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারেন?
স্ত্রীর ছবি তুলে ভালো করে দেখে এবং অবশেষে ডিভোর্স? কি এমন ছিল ঐ ছবিতে?
ইতালিয়ান পাসপোর্ট পাওয়ার আনন্দ।
অন্য রকম ভালোবাসা
দেশে মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও নিরাময় কেন্দ্রের নামে কি নির্যাতন আর ব্যবসা চলছে ?
এক প্রবাসীর কান্না-নাজমা বেগম,অসুখ হলে মা মা করে চিৎকার করলেও কেউ দেখার নেই।