মায়ের পেটের বোনের কাছে স্বামীকে ভিক্ষা চেয়েছিলেন বড় বোন রিপা। শত শত গ্রামবাসীর সামনেই তার কাছে মিনতি করেছিলেন। চোখের পানিও ফেলেছিলেন। কিন্তু মন গলেনি কারোই।
স্বামীর সঙ্গে তর্কবিতর্ক আর ঝগড়া ঝাটি পরেও সংসার আকড়ে ধরেছিলেন এতদিন। কিন্তু হঠাৎই তার কাছে খবর এল ছোটবোনকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছে তার স্বামী। আপন ছোট বোন হয়েছে তার সতীন! পুরো পৃথিবী অন্ধকারে ছেয়ে যায় তার। দৌড়ে ঘরের মধ্যে গিয়ে আটকে দেয় দরজা। গলায় ফাঁস লাগিয়ে চলে যান না ফেরার দেশে।
মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের মোস্তফাপুর গ্রামে। রিপার মৃত্যুতে তার ৮ বছরের ছেলে বায়েজিদ নির্বাক।নিহত রিপা বেগম (২৬) ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসদরের দত্তপাড়ার আব্দুল খালেকের মেয়ে। আজ থেকে ১০ বছর আগে তার বিয়ে হয় মোস্তফাপুর গ্রামের আফসর উদ্দিনের ছোট ছেলে ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের (৩২) সঙ্গে। বিয়ের দুই বছরের মাথায় জন্ম নেয় বায়েজিদ নামে এক সন্তান। সুখী স্বামী-স্ত্রী হিসেবেই কাটছিল আরো কয়েক বছর।
তিন বছর আগে রিপা বেগমের একমাত্র বোন লাকি আক্তারের সঙ্গে স্বামীর সম্পর্ক গড়ায় ভিন্নদিকে। শ্যালিকা-দুলাভাইয়ের মাখামাখি নিয়ে প্রথম দিকে সন্দেহ দানা না বাঁধলেও এক পর্যায়ে দৃষ্টিকটূ লাগতে থাকে অনেকেরই। এক পর্যায়ে শ্যালিকা-দুলাভাইয়ের পরকীয় প্রেমের বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ে। এ নিয়ে দুই সংসারে শুরু হয় ঝামেলা।দুই পরিবার কয়েক দফায় বসে বিষয়টি থামানোর চেষ্টা করে। সবাই শফিকুল পরামর্শ দেয় সম্পর্ককে সীমাবন্ধ রাখতে। কিন্তু বাধা পেয়ে শফিকুল আর তার শ্যালিকার সম্পর্ক আরো ঘনীভূত হতে থাকে। আবারো দুই পরিবারসহ গ্রামবাসী বসে বৈঠকে। ভরা বৈঠকে রিপা বেগম আপন ছোট বোনের কাছে নিজের স্বামীকে ভিক্ষা চায়। এনিয়ে স্বামী শফিকুলের সাথে রিপার দূরত্ব সৃষ্টি হয়।
এরই এক পর্যায়ে গত ১১ জানুয়ারি কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় শফিকুল। এরপর স্বামীর কোনো খোঁজ না পেয়ে আজানা আতঙ্ক পেয়ে বসে রিপা বেগমকে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার বিকেলে রিপার মোবাইলে ফোন করে তার বাবা আব্দুল খালেক। জানান, রিপার ছোট বোন লাকিকে শফিকুল বিয়ে করে ফেলেছে। খবর পাওয়ার পর দুচোখে অন্ধকার নেমে আসে রিপার।
রিপার ভাতিজা রেজাউল করিম জানান, ফোনে চাচার বিয়ের খবর পেয়ে নিজের সংসার হারিয়ে, লজ্জায় দৌড়ে গিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে ঘরের দরজা ভেঙে তাকে বাঁচানোর জন্য তাড়াতাড়ি ফাঁস লাগানো থেকে নামানো হয়। কিন্তু ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়েছে। রিপার চাচা আব্দুল কাদির জানান, ‘পারিবারিক সমস্যার জন্যই তার ভাতিজি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।’বড়হিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন মণ্ডল জানান, স্বামীর বিয়ের খবরে নিজেকে সামলাতে না পেরে দুঃখে গলায় ফাঁস লাগিয়ে রিপা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে!!এমন বোন যেন আর কারো জিবনে কাল হয়ে না দাড়ায় সেই কামনাই করি!!
[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে এই লেখায় ক্লিক করে জানুন এবং তুলে ধরুন। নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। আর আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে রয়েছে অনেক মজার মজার সব ভিডিও সহ আরো অনেক মজার মজার টিপস তাই এগুলো থেকে বঞ্চিত হতে না চাইলে এক্ষনি আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে লাইক দিয়ে আসুন। এবং আপনি এখন থেকে প্রবাস জীবনে আমাদের সাইটের মাধ্যমে আপনার যেকোনো বেক্তিগত জিনিসের ক্রয়/বিক্রয় সহ সকল ধরনের বিজ্ঞাপন ফ্রিতে দিতে পাড়বেন। ]]