ব্রিটেন থেকে অবৈধ ইমিগ্র্যান্ট তাড়া্নোর ব্যাপারে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যাক্ত করে ডেভিড ক্যামেরুন বলেন” অবৈধদের বিতারনে প্রয়োজনে আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। আমি চাই অবৈধ ইমিগ্র্যান্টদের উপর কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হোক এবং যারা এদেশের বৈধ অধিবাসী নন তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর সকল ব্যবস্থা নেওয়া হোক”।
প্রধানমন্ত্রী অবৈধ ইমিগ্র্যান্ট বিরোধী অভিযানে অংশ নেয়া ইমিগ্রেশন ইনফোর্সমেন্ট অফিসারদের কাজের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন আমি চাই আপনারা আরো অধিক সংখ্যক ইমিগ্র্যান্ট দের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাচ্ছেন।ডেভিড ক্যামেরুন বলেন ব্রিটিশ নাগরিকরা এদেশে সত্যিকারের কর্মক্ষম ও পরিশ্রমি মানুষকেই ইমিগ্রান্ট হিসাবে প্রত্যাশা করে। কিন্তু যারা কোনো কাজ না করে এদেশে এসে শুধু সুবিধা গ্রহন করতে চাইছেন তারা যেন এধরনের সুযোগ গ্রহন করতে পারেন না। আমরা নেট মাইগ্রেশন কমিয়েছি, আজ আপনারা এই অভিযানে দেখলেন অবৈধ ইমিগ্রান্ট বিতারনে ইমিগ্রশন অফিসাররা কিভাবে কাজ করছেন।
অবৈধ ইমিগ্রান্ট বিষয়ে প্রধান্মন্ত্রীর কঠোর ঘোষনায় ধারনা করা হচ্ছে অচিরেই বড় ধরনের ক্র্যাকডাউন আসছে। এছাড়া নতুন ইমিগ্রেশন বিলেও থাকছে অবৈধ ইমিগ্রান্টরোধে নানান কঠোর পদক্ষেপ।
এর মধ্যে যে বিষয়গুলি নতুন বিলে থাকবে বলে নিশ্চিত করে হয়েছে সেগুলো হচ্ছে, বাসা ভাড়া দিতে হলে ব্যাক্তিমালিকানাধীন বাসার মালিককে অবশ্যই ভাড়াটিয়ার ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাস সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। অবৈধ কাউকে বাসা ভাড়া দিলে জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে তাদের। এছাড়া ব্যাঙ্ক একাউন্ট খুলতে হলেও আইডেন্টি চেকের মুখোমুখি হতে হবে। অন্যদিকে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানে ও আনা হচ্ছে বাড়তি কড়াকড়ি। ব্রিটেনে ভিসার মেয়াদ শেষ হলে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাহার করার নতুন ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে কতৃপক্ষ কে। নতুন ইমিগ্রেশন আইনের আওতায় লোকাল জিপি কে ও যাচাই করতে হবে রোগীর ব্রিটেনে থাকার বৈধতা আছে কি না।অবৈধ কেউ জিপি বা হাসপাতালে সাধারন সেবা গ্রহন করতে পারবে না। তবে জরুরী চিকিতসা সেবা গ্রহনের সুযোগটি থাকবে। তবে বিদেশী ছাত্র ও অস্থায়ী অভিবাসীর ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা পেতে হলে এককালীন দুইশত পাঊন্ড ফিস দিতে হবে।
নতুন আইনে ব্রিটেন থেকে বহিস্কার ঠেকাতে সাধারনত যে আইনের অধীনে অবৈধ ইমিগ্রান্টরা আপিল করে থাকেন, সেই আইনে আপিল করার সুযোগ কমিয়ে দেয়া হয়েছে। নতুন নিয়মে অবৈধ ইমিগ্রান্ট বা অপরাধী কে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পরে আপিল শুনানী হবে। আপিল করার ১৭ টি কারনের মধ্যে মাত্র ৪ টি কারনে আপিল করার সুযোগ রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। নতুন নিয়মে এবং কড়াকড়িতে ব্রিটেনে বসবাসরত অবৈধরা আতঙ্কের মাঝেই দিন কাটাচ্ছেন এখন।
[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে এই লেখায় ক্লিক করে জানুন এবং তুলে ধরুন। নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। আর আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে রয়েছে অনেক মজার মজার সব ভিডিও সহ আরো অনেক মজার মজার টিপস তাই এগুলো থেকে বঞ্চিত হতে না চাইলে এক্ষনি আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে লাইক দিয়ে আসুন। এবং আপনি এখন থেকে প্রবাস জীবনে আমাদের সাইটের মাধ্যমে আপনার যেকোনো বেক্তিগত জিনিসের ক্রয়/বিক্রয় সহ সকল ধরনের বিজ্ঞাপন ফ্রিতে দিতে পাড়বেন। ]]